ভাংগা শামুকে বেগম জিয়ার পা কাটছে, মনে হয়; কয়েক হাজার কোটী টাকার দুর্নীতি হয়েছে উনার দ্বিতীয় টার্মে; কিন্তু সামরিক সরকার মাত্র ২ কোটী ১১ লাখের দুর্নীতির মামলাটি করেছে ঠিক মতো: ট্রাষ্টের ফান্ডে যখন টাকা ছিলো না, তখন সেই টাকার পরিমাণ সম্পদও ছিল না ট্রাষ্টে, আজকেও এতিমখানা নেই।
তবে, এই ছোট্ট মামলার ভেতরে অনেক ক্ষোভ জমা হয়েছে সন্দেহ নেই: ১৫ আগষ্টের জন্মদিনের কেক, ৩৪ বছরের সভাপতিত্ব, জর্জমিয়া, জামাতের মন্ত্রীত্ব, হাওয়া ভবন, প্রেসিডেন্ট ইয়াজুদ্দিনকে তত্বাবধায়ক বানানো, আরো অনেক কিছু। মির্জা ফখরুলের অনুমান হয়তো সত্য, উনার অনেক ধারণা থাকার ক্থা।
শনিবারে বেগম জিয়া বিএনপি'র নেতাদের সভা ডেকেছেন; মনে হচ্ছে, দলের ক্ষমতা হস্তান্তরের ব্যাপারে আলাপ হবে; এখন ভোট টোট আর বিষয় নয়, এখন বিষয় হচ্ছে মামলার রায়! এই ধরণের মিটিং করার দরকার ছিলো কমপক্ষে সামরিক সরকার আসার পর; তখন সরে গেলে এসব ঝামেলা হয়তো হতো না; শেষ সময় ছিলো ২০১৫ সালের ১ দফা রফা হওয়ার পর।
কোন রাজনীতি না জেনে, একটা দরিদ্র দেশের রাজনৈতিক দল চালানো কঠিন হওয়ার কথা ছিলো; কিন্তু বাস্তবে দেখা গেলো, রাজনীতি করার জন্যই উনার জন্ম হয়েছিল। প্রতি ভোটে ৫ টি করে সীট পেয়েছেন বেগম জিয়া; জেনারেল জিয়া কিংবা শেখ সাহেবও এত জনপ্রিয় ছিলেন না। বিচারপতি সাত্তারের মত শক্ত মানুষ বিএনপি'র সভাপতির পদ ভয়ে ছেড়ে দিয়ে দিয়েছেন বেগম জিয়াকে। রাজনীতি এত সহজ হওয়া, এক বারেই ৫ সীট পাওয়া, সভাপতির পদ হেলায় পাওয়া, জাতির জন্য ভয়ানক ছিল।
যাক, প্রাপ্তির শেষ নেই, ২ টাকায় ২টি বাড়ীও পেয়েছিলেন; এখনও ১ টা আছে। আজকে ব্লগে একটা পোষ্ট আছে, মা-বাবা রেললাইনের পাশে খোলা আকাশের নীচে সংসার পেতে খাচ্ছে; পাশে ১ বছরের বাচ্ছা নির্মল হাসছে; ব্লগারেরা সবাই খুশী; এই রকম হাসি নাকি কোটিপতিদের মুখেও নেই (এই পোষ্টের পরের পেইজে আছে, ব্লগার বরকত সাহেব দিয়েছেন )।
বেগম জিয়ার এত প্রাপ্তির পর ছোট একটা বিল তো আসতেই পারে! সময় হয়েছে পকেটে হাত দেয়ার!
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৩৭