জেনারেল জিয়ার নামে এতিমখানা করার জন্য বেগম জিয়া কুয়েত থেকে ২ কোটী ১১ লাখের মতো টাকা পেয়েছিলেন, বেগম জিয়া সেই ট্রাষ্টের সভাপতি; এখন এতিমখানা নেই, অডিটের সময় ট্রাষ্টের একাউন্টে টাকাও ছিল না; মিলিটারী সরকার ২০০৮ সালে দুর্নীতির মামলা করেছিল; মিলিটারী সরকার চলে যাবার পর, উহা শেখ হাসিনার সরকারের সময় দুদকে যায়। দুদকে এই রকম শতশত মামলা আছে, ওগুলোর বিচার হচ্ছে না, এটার কেন হচ্ছে? বিচার না হলেই তো ভালো ছিলো!
সমস্যা হচ্ছে, টাকাটা কয়েক জর্জ মিয়া নিয়ে গেছে, শেষে সভাপতি হিসেবে বেগম জিয়া ফেঁসে গেছেন!
২০০৮ সালে শেখ হাসিনার বিজয়ের পর ৩/৪ কোটী টাকা খরচ করে "জিয়া এতিমখানা" খুলে ফেললে কি হতো? বিচার হলেও, কমপক্ষে বলতে পারতো যে, কিছু লোকজন টাকাগুলো নিয়ে গিয়েছিল; কিন্তু বেগম জিয়া এতিমদের জন্য ব্যবস্হা করেছেন! কিছু বলার তো থাকতো; এখন জাতি দেখছে যে, এতিমখানা নেই, টাকাও নেই; এরপর কত আইনী যুক্তি দেয়া যায়?
৮ই ফেব্রুয়ারী মামলার রায় হবে; বেগম জিয়ার জেল হওয়ার সম্ভাবনা; জেল নিয়ে মাথা ব্যথা নেই, মাথা ব্যথা হলো উনি হয়তো আগামী ভোটে দাঁড়াতে পারবে না। এটা উনার জন্য সমস্যা কেন, ইহা তো শাপে বর হতে পারে: ৩ বারের প্রধানমন্ত্রী, ২ বারের বিরোধী-দলীয় নেত্রীকে জেলে নেয়ায় বিএনপি'র ভোট হয়তো অনেক বেড়ে যাবে!
উনি জেলে গেলেও দলের সবাই তো বাহিরে থাকছে; একজনের জন্য কি ভোট কমে যাবে? উনি না থাকলে বিএনপি কি ভোট করতে পারবে না? উনার এই বয়সে তো এমনিতেই অবসরে থাকার কথা; এটাও এক ধরণের অবসর, পার্থক্য হচ্ছে, ঘরের বদলে লালঘরে থাকবেন, সবই ফ্রি!
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:১০