২০০ কোটী ডলারে নির্মিত হবে রামপাল বিদ্যুত কেন্দ্র; ১৬০ কোটী ডলার দেবে বাংলাদেশ সরকার, এটা হচ্ছে মুলধনের ৭০ ভাগ; মুলধনের শতকরা ১৫ ভাগ(২০ কোটী ডলার) দিবে পিডিপি, বাকী ১৫ ভাগ( ২০ কোটী ডলার) দেবে ভারতের 'ন্যাশনাল থারমাল পাওয়ার কোম্পানী'; তা'হলে, বাংলাদেশ সরকারের মালিকানা হওয়ার কথা ৭০%, পিডিপি'র মালিকানা হওয়ার কথা ১৫%, ভারতের কোম্পানীর মালিকানা হবে ১৫%।
কিন্তু মালিকানা ডলারের অনুপাতে হচ্ছে না: পিডিপি পাচ্ছে ৫০% মালিকানা, ভারতের কোম্পানী পাচ্ছে ৫০%; এটা কিভাবে সম্ভব? বাংলাদেশ সরকার যদি নিজের মালিকানা নিজেদের আধা-সরকারী সংস্হা পিডিপিকে দিয়ে দেয়, পিডিপি'র মালিকানা হবে ৮৫%; ভারতের কোম্পানীর মালিকানা হবে ১৫%; যেহেতু ঋণ নিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার; ঋণ থেকে মুলধন দিচ্ছে, ভারতের কোম্পানী কিভাবে বাংলাদেশ সরকারের দেয়া মুলধনের মালিকানা পাচ্ছে? উহা কি বাংলাদেশ সরকারের 'পুত্র' নাকি 'কন্যা'? উহার মালিকানা ১৫% থেকে বেড়ে কি করে ৫০% হয়ে যাচ্ছে?
বাংলাদেশ সরকারের ২৬ লাখ কর্মচারীর সবাই কি ফাঁস-করা প্রশ্নপত্র দেখে অংকের পরীক্ষা দিয়েছিলেন? এসব হবুগিরি কিভাবে হচ্ছে দেশে?
এসব বন্ধ করা হোক, জাতির নামে ঋণ নিয়ে ভারতীয় কোম্পানীকে পুত্র বা কন্যা বানার দরকার নেই; বাংগালীর ১১ লাখ কিশোরী কন্যা মানুষের ঘরে ঘরে চাকরাণী হয়ে আছে; সবচেয়ে বেশী আছে ব্যুরোক্রেট ও ব্যবসায়ীদের ঘরে; আরও ৩৫ লাখ কন্যা সকাল বিকেল সেলাইর মেশিন চালাচ্ছে! এদের ঘাঁড়ে ঋণের বোঝা চাপিয়ে দিয়ে ভারতের বিলিওনিয়ারদের ডলার দেয়ার কোন কারণ নেই।
আরও খারাপ খবর হচ্ছে, ভারতের কোন এক হেভি ইলেকট্রিক রামপালে বিদ্যুত কেন্দ্র বানাবে। মনে হয়, সরকারের লোকেরা ভাবছে, এই কেন্দ্র নির্মাণের সময় পরিত্যক্ত হবে; ফলে, যাই খরচ হোক না কেন, বাকী ডলার অনেকের পকেটে যাবে! না হয়, অন্য কোনভাবে এসব লজিক হজম করা মুশকিল; কিংবা সরকারের লোকেরা ভাবছে, দেশে ১৭ মানুষ নেই, আছে ১৭ কোটী ইডিয়ট!
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ ভোর ৬:৪৪