১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানী সৈন্য নিহত হয়েছে মাত্র ৫০০০ থেকে ৫৫০০, আহত হয়েছে ১১০০০ হাজারের কাছাকাছি; এই সৈন্যগুলো পাকিস্তানের মানুষের কাছে, পরিবারের কাছে, সরকারের কাছে বীর; যদিও এরা বেতন-ভোগী সৈন্য ছিলো ও মানসিকতার দিক থেকে হায়েনা ও শয়তান থেকেও নীচু স্তরের প্রাণী ছিলো; পাকিস্তানী সৈন্যরা কোন ধরণের সৈনিক ছিলো না, ওরা জেনেভা কনভেনশন বুঝতো না, ওরা হালাকু খানের সৈন্যদের মতো জল্লাদ ছিলো।
পাকিস্তান আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের বাংলায় নাম দিয়েছিল "দু:স্কৃতিকারী"; ওরা নিশ্চয় আমাদের বীর সন্তানদের "সুর্য-সন্তান" নাম দেয়ার কথা নয়। পাকিস্তানী সৈনিকেরা যখন প্রাণ হারায়েছে, ওদের মা-বাবা, স্ত্রী-সন্তানদের কাছে আমাদের মুক্তি-বাহিনী ও জনতা সম্পর্কে কি ধারণা হয়েছে? ওরা আমাদের বীর সন্তান ও জনতাকে কি নামে সম্বোধন করেছে? মাথায় লজিক থাকলে অনুমান করা সম্ভব; ওরা আমাদের বিপরিত অবস্হানে ছিল।
পাকিস্তানীদের লেখা কি এক বই নাকি আমাদের সরকারের কাছে এসেছে, নাকি পাকিস্তানী দুতাবাসে এসেছে; সেই বইয়ে কি লেখা আছে, তা কুটনীতিবিদদের পড়ে দেখার দরকার আছে, কিন্তু সেটা নিয়ে পার্লামেন্টে আলাপের দরকার আছে?
বইটা পড়ার পর, পুড়িয়ে ছাইগুলো দুতাবাসে পাঠিয়ে দিলে কাজ শেষ; এবং এই সম্পর্কে মানুষকে জানালে হতো যে, বইটি পাকিস্তানের দৃস্টিকোণ থেকে লেখা হয়েছে, আমরা পোড়ায়ে সন্মান দেখায়েছি।
আমাদের প্রাইম মিনিস্টার উহাকে পার্লামেন্ট অবধি আনলেন কেন? উনি সুযোগ পেয়েছেন কিছু অপ্রয়োজনীয় বিষয়ে দেশ-প্রেম দেখানোর; অপ্রয়োজনীয় বিষয় এনে পার্লামেন্টকে পল্টন ও লালদীঘি বানানোর আসলে আমাদের পার্লামেন্টটা জীবনে সন্মান পেলো না।
এ ধরণের বই দিলে উহাকে সাথে সাথে নালা নর্দমা বা গার্বেজে ফেলে দিলে, ওরা ভবিষ্যতে আর দিতো না; পাকিস্তানী বানরেরা বাঁদরামী করার বন্ধু পেয়েছে ঢাকায়।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৫:৫৭