বাবু সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বেশ কিছুদিন ক্যান্ন্সারে ভুগেছেন, আমেরিকায় চিকিৎসা করায়েছেন; উনার মতো একজন পরিচিত মুখ যদি মানুষকে জানাতেন যে, বাংলাদেশে ক্যান্সার ভয়ানকভাবে বেড়ে গেছে, এবং ইহার কারণ খাদ্যে কেমিক্যাল ও বাতাস বিযাক্ত, বিপর্যস্ত পরিবেশ, তা'হলেও হয়তো মানুষের জন্য সামান্য অবদান হিসেবে গণ্য হতো; আরো পারতেন, উনার বয়সের মানুষদের জন্য একটি ক্যান্সার হাসপাতাল, কিংবা ইউনিট খুলে যেতেন।
বাংগালি জাতিে অস্বাস্হ্যকর দাঁতের মুল কারণ হলো পান; উহার বিশেষ উপাদান হচ্ছে সুপারী; আবার কিছু সুপারী গাছ আছে যেগুলো বন্ধ্যা, ফুল দেয় না, ফল দেয় না; সুপারী গাছ ঝড় তুফান ঠেকাতে পারে না, কিন্তু সব গাছের মাথার উপরে উঠে রোদ সংগ্রহ করে ক্লোরোফিল কারখানা চালু রাখে বিনা প্রতিযোগীতায়।
২০০ একরের পার্লামেন্ট ভবন থাকলে, কাউকে না কাউকে 'পার্লামেন্টারিয়ান' ডাকতে হয়; পিন্টু, জয়নাল হাজারী, শামীম ওসমান, আমীর খসরু, ফালু এ ধরণের বদনাম পছন্দ করেনি, তাই এই ভারী শব্দটি সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে বহন করতে হয়েছে। আমার জানামতে, উনি বাংলাদেশের ৪৬ বছরে জাতির জন্য কোন বিল সংসদে আননেনি, বা আনার মত বিচক্ষণ ছিলেন না।
আমাদের ড: কামাল হোসেন আমাদের জাতির জন্য একখানা সংবিধান লিখেছেন, যা আসলে প্রশাসন চালানোর "ম্যানুয়েল"; ইহাতে জাতির অধিকার নিয়ে কোন লাইন নেই, আছে সরকারের কাহিনী; ড: কামাল হোসেন উনার পদ হারানোর পর, বই পড়ে দেখার জন্য আরেকজন লোক দরকার ছিলো, আওয়ামী লীগ সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে সেই ভারটিও দিয়েছিলেন; উনি ছিলেন আমাদের অপ্রয়োজনীয় এই সংবিধানের "বিশারদ"।
উনি ৪৬ বছরের রাজনৈতিক জীবনে, আওয়ামী লীগের কোন সভায়, বা পার্লামেন্টের গালাগালির সেশনে একদিনও আমাদের সংবিধান থেকে মানুষের অধিকার সম্পর্কিত ১টি লাইনও পড়ে শোনাননি। উনার শুরু ছিল পাতি বামনেতা হিসেবে; ফলে, উনার মুখ থাকে ৪ টি শব্দ বের হওয়ার কথা ছিল: শিক্ষা, চাকুরী, চিকিৎসা, বাসস্হান; কিন্তু কোনদিনও এই শব্দগুলো বের হয়নি; মনে হয়, উনি অন্য কিছু নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। উনি আজ নেই, কালকেও উনার থাকার সম্ভাবনা খুবই কম।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৪