ট্রাম্পের সরকার ইরানকে ধরার পথ বের করতে হবে, নাকি ইরান নিজেই সেই পথ বের করে দেবে? মনে হচ্ছে, ট্রাম্পের লোকজনকে কস্ট করতে হবে না, ইরান নিজেই জার্মানী ও জাপানের পথ ধরে, নিজকে নিশেষ করার পথ নিজেই বের করে দেবে। যেখানে বিশ্বে নতুন করে আর একটি এটম বোমার বানানোরও দরকার নেই; সেখানে বিশ্ব নতুন এক এটোমিক জাতিকে দেখতে চাহে না; বিশেষ করে আহমেদী নেজাদের এটম বোমার টার্গেট ঘোষণার পর, ইরানের জন্য এটমবোমা বানানোর পথ বন্ধ হয়েছে। আবার ইরানের বর্তমান অবস্হায়, তাদের হাতে এটমবোমা তো দুরের কথা, রুটি কাটার চুরিও নিরাপদ নয়।
গতকাল, ট্রাম্পের মিলিটারী উপদেস্ঠা জেনারেল ফ্লিন ইরানকে "নোটীশ দিয়েছে", ইরান যেন বেলাস্টিক মিসাইল পরীক্ষা বন্ধ করে; গত বরিবার ইরান বেলাস্টিক মিসাইল পরীক্ষা করেছে; হোয়াইট হাউসে ফ্লিন বলেছে, এতে জাতি সংঘের কোন এক রেজুলেশান ভংগ হয়েছে; ইরান বলেছে, এতে জাতি সংঘের কোন রেজুলেশান ভংগ হয়নি।
আজকে ইরান বলেছে, তারা এই ধরণের "নোটীশ" মানবে না; তারা তাদের জাতীয় প্রতিরক্ষার জন্য বেলাস্টিক মিসাইল পরীক্ষা চালু রাখবে।
এই ধরণের ঘোষণা জাপানের পার্ল হারবার আক্রমণের মতো বেকুবী, কিংবা হিটলারের ২য় বিশ্বযুদ্ধে যাওয়ার মতো আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত; জাপান জানতো না, পার্ল হারবারে বিজয়ের পর, তাদের ভবিষ্যত কি; অথবা হিটলার কিভাবে ভাবলো যে, সে সোভিয়েত দখল করবে!
ট্রাম্প ভোটের আগে বলেছে যে, সে জয়ী হলে, ইরানের সাথে ওবামার চুক্তি বাতিল করা হবে, ইরানকে কোনদিন এটমবোমা বানাতে দেয়া হবে না; ট্রাম্পের জয়ের পরপরই ওবামা হোয়াইট হাউসে থাকাকালীন সময়ে চুক্তিটি বদলায়ে, এটমবোমা বানানোর অধিকার বিলোপ করার দরকার ছিলো ইরানের; এতে করে চুক্তি টিকে থাকতো, ইরান তার ডলারগুলো ফেরত পেতো, পশ্চিমের সাথে সম্পর্ক ভালো হয়ে যেতো।
এখনো ইরানের হাতে সময় আছে, বোমা না বানানোর ঘোষণা দিয়ে, ও বেলাস্টিক মিসাইল পরীক্ষা বন্ধ করে দিয়ে, চুক্তিটাকে রক্ষা করতে পারে।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৪:৪৪