ভারতীয়রা আমাদের পানি কেন দিচ্ছে না? চল চল, ফারাক্কা চল, ভাংগো ফারাক্কা নামুক ঢল; টিপাইতে বাঁধ দিলে, ভেংগে দিবো সবাই মিলে; করবো সবাই দেশের কাজ, ঘাস খেলেও থাকবে না লাজ; সুন্দর বন, বান্দর বন, বাঘ-হরিণ জাতীয় ধন; ফেলানীকে মেরেছে যারা, শুলেতে ছড়বে তারা; কাঁটাতার, মাটাতার, ছিঁড়ে করবো একাকার; এই রকম কোন কিছু জাতির মনের ভেতর এখনো আছে?
অথবা, সবাই মিলে গড়বো দেশ, দু:খের দিনের হবে শেষ; দাসত্বের হোক শেষ, ব্উ ফেলে যাবো না বিদেশ; ভোট দিতে না দিলে, পাকাবো কাঁঠাল হাতের কিলে! এই রকম মনোভাবের কিছু কি আজকেও আছে?
১৯৭৩ সালে, শেখ সাহেব বলেছিলেন ৩ বছর অপেক্ষা করতে, ১৯৭৫ এর ডিসেম্বর অবধি; অপেক্ষা করা মানে অপেক্ষা করা; জাতি যখন কাজ করতে প্রস্তত ছিল, জাতি যখন পোড়া বাড়ীতে ঘর বানানোর কথা, জাতির যখন সোনালী ব্যাংকে একাউন্ট খোলার কথা, জাতি যখন ভাংগা কালভার্ট মেরামত করার কথা; তখন শেখ সাহেব জাতিকে অপেক্ষা করতে বললেন। সেই অপেক্ষা আজো চলছে!
জাতি বিশাল এক স্বপ্নে বিভোর ছিল ১৯৭০ ও ১৯৭১ সালে; এই জাতির ছেলেরা যুদ্ধে গিয়েছিল, কি ছিল তাঁদের মনে! আজকে ট্রাম্প ট্রুম্পের কারণে যদি কিছু ঘটে, কারো দেখা মিলবে?
জাতীয় প্রেরণা গড়ে উঠে যখন জাতির সামনে আশা থাকে, উদ্দীপনা থাকে, স্বপ্ন থাকে! আরবে গিয়ে রাস্তা পরিস্কার, এয়ারপোর্টে সিমেন্ট ঢালা, মালয়েশিয়া গিয়ে পাম গাছে পানি দেয়া কি উদ্দীপনার ব্যাপার! রওশন এরশাদের বক্তৃতা শোনা কি কারো জন্য স্বপ্ন হতে পারে? এক রুমে ১০জন ঘুমায়ে চাকুরী করা কি কারো স্বপ্ন?
মানুষে মানুষে, পরিবারে পারিবারে প্রতিযোগীতা চলছে; প্রেরণা দেয়ার মতো কিছু নেই; জাতীয় ঐক্য না থাকলে, সঠিক উদ্দেশ্য, আশা ও স্বপ্ন না থাকলে, জাতীয় প্রেরণা থাকতে পারে না। যাকগে, উপরে যেগুলো বলেছি, সবগুলো জাতীয় প্রেরণার কথা নয়, হুজুগও যোগ করেছি, যাতেএনার্জি বাড়ে। প্রেরণা না থাকলে জাতির আত্মা ক্রমেই ক্ষীণবল হয়ে যায়।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৩:৫২