১৯৪১ সালের ৭ই ডিসেম্বর সকাল ৮'টায় জাপানীরা বিমান আক্রমণ চালায় পার্ল-হারবারে; দিনটি ছিল রবিবার, সবাই ছুটিতে, জাপানী পাইলটেরা মোটামুটি বিনা বাধায় বন্দরের ৫/৬টি যুদ্ধ জাহাজ, পাশের ২টি এয়ারপোর্টের সব যুদ্ধ বিমান ধ্বংস করে দেয়; ২৪০৩ জন আমেরিকান নিহত, ১১৭৮ আহত হয়েছে; জাপান বিজয়ী, জাপানী নেভী বিজয়ী!
এই বিজয় কি কোনভাবে ধরে রাখা সম্ভব? এই বিজয় ধরে রাখতে হলে আমেরিককে পরাজিত করতে হবে; যদি তা না ঘটে, আমেরিকা জাপান দখল করবে; জাপান সরকার ও জাপানী মিলিটারী কি ভেবে পার্ল-হারবার আক্রমণ করলো? তারা কি শেষ ফলাফল নিয়ে ভাবেনি?
জাপানী মিলিটারীর জেনারেলারা প্রায় বছর খানেক সময় নিয়ে আমেরিকা আক্রমনের প্ল্যান করেছে, তাদের হাতে আক্রমনের দিন প্রথম বোমা ফেলার ১ মিনিট পুর্ব পর্যন্ত সময় ছিলো; ১ম বোমা ফেলার পর, জাপানের পরাজয় নির্ধারিত হয়েছিল; এটি ছিল ১ম ভুল।
২য় বিশ্ব যুদ্ধকালীন জাপান সরকার, হাজার জেনারেল যেই ভুলটি করেছিল, আজকের ১০ম শ্রেণীর ছাত্রও এই ভুলটা করার কথা নয়।
১৯৪৫ সালের ৭ই মে জার্মানী সারেনডার করে, এরপর জাপানের জন্য কোন পথ খোলা ছিল? জাপানের জন্য একমাত্র পথ ছিল আমেরিকার কাছে সারেন্ডার করে চীন ও পাশের এলাকা থেকে সৈন্যদের উইথড্র করা; জাপান সেটি না করে ২য় ভুল করলো।
আমেরিকা পার্ল হারবারের পরাজয়ের প্রতিশোধ নেয়ার জন্য মরিয়া হয়ে মানবিক গুণ হারায়ে দৈত্যে পরিণত হলো, তারা ১৯৪৫ সালের ৬ই আগস্ট হিরোশিমায় এটম বোমা ফেললো 'সাধারণ মানুষের' উপর; ৮০ হাজার মানুষ প্রাণ হারালেন; এখানে থেমে গেলে চলতো, আমেরিকান সরকারের বেকুবেরা ২য় বোমা ফেললো ৯ই আগস্ট নাগাসাকীতে, ৪০ হাজার মানুষ প্রাণ হারালেন, মগজহীনতার উদাহরণ মানব সভ্যতায় যোগ করলো আমেরিকার সরকার ও মিলিটারী।
এটম বোমা বানানোর পর, আমেরিকার সরকারের লোকেরা ইহাকে ব্যবহার করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিল; জাপানকে থামানোর চেয়ে, সোভিয়েতকে এই বোমা দেখানোর দরকার ছিল হয়তো; কম-বুদ্ধিমানরা রাজনীতির সিড়ি বেয়ে উপরে উঠে এই কম-বুদ্ধিমত্তার স্বাক্ষর রেখে গেছে ধরণীর বুকে।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৫৮