সাধারণ মানুষের প্রানের রাজনৈতিক সিস্টেম সোস্যালিজম ভেংগেছে ইয়েলসিন গং; সেই গং এর ২য় ব্যক্তি ছিল কেজিবি'র পুটিন; সোভিয়েত ভাংগা হয়েছিল ৭০ বছরের জমা হওয়া সম্পদকে দখল করার জন্য; সোভিয়েতের ইউনিয়ন ৭০ বছরে, রূপকথার থেকে বেশী সম্পদ জমা করেছিল, সেটা মানুষকে সমানুপাতে দিতে না পারায় সমস্যার সৃস্টি হয়েছিল; ইয়েলসিন ও পুটিনেরা মিলে ২/৩ মিলিয়ন মানুষ সেগুলোকে দখল করেছে।
পুটিন অগণতান্ত্রিক পথে ১৭ বছর ক্ষমতায় আছে; উহার নির্বাচন সাদ্দাম হোসেনের নির্বাচনের চেয়েও নিম্ন স্তরের; উনি কখন কোন পদে আছেন, তা রাশিয়ানরাও ঠিক মতো মুখস্হ রাখতে পারছে না; উহার রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দীদের প্রায় সবাইকে বিষ-প্রয়োগ করে শারীরিকভাবে পংগু করে দিয়েছে। পুরো রাশিয়ায় ২টি সরকার, একটি পুটিনের, অন্যটি মাফিয়াদের। পুটিন পুরো রাশিয়ার সকল তেলের খনি, হীরকের খনি, তামার খনির দখল নিয়েছে; সাধারণ মানুষের থাকার ঘর ও চাকুরী ব্যতিত কিছুই নেই; সবকিছু পুটিনের ও ওর পার্টির।
ওর সমকক্ষ সিরিয়ার বাশার; বাশার ও তার বাবা মিলে ৪৬ বছর ক্ষমতায়; মানব সম্পদ, ঘরবাড়ী ও প্রাকৃতিক সম্পদ মিলে সিরিয়ার ৪ শত ট্রিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হয়েছে; ২ মিলিয়ন তরুণ তরুণী পালিয়ে গেছে, যাদের বয়স ১৬ থেকে ৩২ বছরের ভেতর; পুটিন এই ধরণের লোকদের নেতা হবে; উহা উত্তর কোরিয়ার কিম জং না কিং পং একজন আছে, উহার নেতা হবে।
বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাস ও যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ছে; সন্ত্রাস ও যুদ্ধে প্রাণ হারাচ্ছে সাধারণ মানুষ; আধুনিক যুদ্ধে ও সন্ত্রাসে দেশের সরকার, মিলিটারী, বা পুলিশেরা তেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয় না; কারণ, তারা প্রস্তুত থাকে ও টেকনোলোজী তাদের সাহায্য করছে; আবার বেশীরভাগ সন্ত্রাসী আক্রমণ ও গৃহযুদ্ধে সন্ত্রাসীরা মানুষকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে; এবং বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষকে হত্যা করে সরকারকে বিপদে ফেলার সৃস্টি করছে।
আরব, আফ্রিকা, আফগানিস্তান, পাকিস্তান, বাংলাদেশে সাধারণ মানুষ যদি সন্ত্রাসের হাতে প্রাণ হারায়, সরকার কোনভাবেই ইহাকে বিপদ মনে করে না; ২০১৫ সালে, পেট্রোল বোমা আক্রমণে সরকার বা প্রশাসনের একটা বিড়ালও মারা যায়নি। সিরিয়ায় মারা গেছে সুন্নীরা।
বিশ্ব যেদিকে যাচ্ছে, উহাকে থামাতে ব্যক্তিত্ব ও নেতৃত্বের দরকার হবে; উহা পুটিনের বা রাশিয়ার নেই এই মহুর্তে।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২০