বাংলা ব্লগ-দিবস এসে চলে গেলো, নিরপত্তার কারণে বাংলাদেশে ব্লগ-দিবস পালন করা সম্ভব হয়নি; এ ঘটনা জাতির ভয়ংকর দিকটা তুলে ধরেছে, জাতির ভেতরে ভয়ংকর মানুষ আছে, যারা ব্লগারদের ক্ষতি করতে পারে; জাতিকে এই অপবাদ মাথায় নিয়ে বাঁচতে হবে কমপক্ষে আগামী বছর অবধি।
আগে যাঁরা খাতায়, ডাইরীতে লিখতেন, আগামীকালের নজরুল ইসলাম, বার্ট্রান্ড রাসেল, যাঁরা পরিচিতদের নিজের লেখা দেখাতেন, মাঝে মাঝে প্রকাশের জন্য পত্রিকায় পাঠাতেন, এবং ৯৯.৯৯৯ ভাগ ক্ষেত্রে প্রকাশিত হতো না, আজ তারাঁ কম্প্যুটারের ওয়েভ-সাইটে লেখেন, এবং প্রকাশের সাথে সাথে বিশ্বের ৭ বিলিয়ন মানুষের কাছে লেখাটা চলে যায়, তাঁরাই ব্লগার। ব্লগারদের লেখা প্রকাশ হওয়ার পর, অন্য ব্লগারেরা পড়েন ও ফিডব্যাক দেন; ফলে, লেখক ও পাঠক মত-বিনিময় করে নিজদের ক্রমাগতভাবে রিফাইন করেন।
বেগম রোকেয়া, নজরুল ইসালাম, ওমর খাইয়াম, বারট্রান্ড রাসেল, লিও টলস্টয়, রবী ঠাকুর বেঁচে থাকলে, আজ উনারা ব্লগিং করতেন। উনারা বেঁচে থাকলে আজকে আমরা এবারের ব্লগ দিবস অবশ্যই পালন করতাম।
বাংলাদেশের ব্লগারেরা দক্ষ, লজিক্যাল ও এনালাইটিক্যাল ভাবনার ধারক, চিন্তাশীল, জ্ঞানী এক নতুন ও বিশেষ জেনারেশনের সদস্য; এরা খুবই শক্তিশালী সমাজ ব্যবস্হা গড়ে তুলতে সাহায্য করবেন।
একজন কম শিক্ষিত রাজনীতিবিদ, ধর্মীয় এক অপনেতা ও হলুদ মিডিয়ার এক ষড়যন্ত্রকারী বাংলাদেশের ব্লগারদের লেখায় দিশা হারায়ে ব্লগারদের সম্পর্কে ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে অশিক্ষিত ও কমশিক্ষিতদের মাঝে এই নতুন জেনারেশন সম্পর্কে সংশয়ের সৃস্টি করেছে; তাই সাময়িভাবে ব্লগ দিবস পালন সম্ভব হয়নি। সরকার নিরপত্তা দিলে দিবসটি পালন সম্ভব হতো।
শক্তিশালী ভাবনাকে সাময়িকভাবে থামানো যায়, কিন্তু কমশিক্ষিতদের সকল প্রচেস্টা একদিন অকেজো হয়ে যাবে; আধুনিক ভাবনার লোকদের সাথে কেহ পেরে উঠার কথা নয়; মাত্র আগামী এক বছরের মাঝে কথিত অপশক্তি দুর্বল হয়ে দৃস্টপট থেকে তিরোহিত হবে।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ ভোর ৬:৫১