আরাকানের সাধারণ নাগরিক, রাখইন মগেরা যদি রোহিংগা গ্রামকে ঘেরাও করে, রাত ১২টায় আগুন লাগায়, আর গুলি করে মানুষ হত্যা শুরু করে , কোন মানবাধিকার সংস্হার বাবার সাধ্য আছে তাদের ঠেকায়? কুর্দী টেরিটোরীর ৪/৫ মাইলে দুরে অবস্হিত সুন্নী গ্রামের কয়েক কিশারকে যদি কুর্দী মিলিশিয়ারা ধরে তুলে নিয়ে যায়, কে বাধা দিবে? মোসুলে আইএস যদি ধৃত ইয়াজিদীদের খাঁচায় ঢুকায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরায়ে দেয়, কিভাবে আইএসকে ঠেকাবে? সৌদী পাইলট যদি ইয়েমেনের শিয়া এলাকায় বোমা ফেলে, কোন সংস্হা ওদের বাধা দেবে? আলেপ্পোতে কামানের গোলা ফেলছে রাশিয়ান বাহিনী, উহাদের থামাবে কে? আমেরিকা এক বিন-লাদেনকে উৎখাত করতে দেড় লাখ আফগান, ৩ লাখ ইরাকীকে হত্যা করেছে, এবং নিজের ৫০০০ সৈন্য হারায়েছে; আহতদের সংখ্যা ৩ গুণ; এই অবস্হায়, আমাদের ঝোলা-প্যান্ট-পরা ড: মিজানুর রহমান কার মাথার চুল ছিড়বে?
যারা মানবাধিকার সংস্হাগুলোর বেতন যোগায়, তারাই মানুষ মারছে; এবার আপনি থামানোর চেস্টা করেন; যারা মানুষ মারে, তারাই মানবাধিকার সংস্হার বড় বড় পদে চাকুরী দেয়; চাকুরী দেয়ার সময় ওরা সংস্হায় নিজেদের লোক ঢুকায়ে দেয়!
অন্য দেশের কথা ছাড়েন, আমাদের দেশের কথা ধরেন, আমাদের মানবাধিকার সংস্হার প্রধান ড: মিজানুর রহমানকে দেখলে কি আপনার মনে হয়, যদি ব্লগে কিছু লেখার কারণে পুলিশ আপনাকে আটকায়ে রাখে, উহা আপনার খোঁজ নেবে? উহা যেসব কথা বলে, তাতে মনে হয়, উহার বাকী ভায়েরা পুলিশে কিংবা ডিজিআইএফ চাকুরী করে, অথবা আওয়ামী লীগের সেন্ট্রাল কমিটির সদস্য।
ঘুরেফিরে মানবাধিকার সংস্হাগুলো এনজিও, এরা আমেরিকা ও নিজ দেশের সরকারী পয়সায় চলে; জাতি সংঘ থেকে যে পয়সা পায়, উহা আরো খারাপ, এজন্য যে, জাতি সংঘে চাকুরী পায় পরিচিতের মাধ্যমে, ও দেশীয় কোটায়; এভাবে মানব-দরদী মানুষ এসব সংস্হায় যাওয়ার পথ বন্ধ হয়েছে।
বিশ্ব যে রকম হিংস্র অর্থনৈতিক প্রতিযোগীতায় প্রবেশ করেছে, এই অবস্হায়, মানবাধিকার সংস্হার প্রধানকে হতে হবে বার্ট্রান্ড রাসেল, লিও টলস্টয়,মার্ক টোয়েন, স্টিফেন হকিং'এর মতো লোক; কিন্তু ওখানে এখন ঢুকে যাচ্ছে ড: মিজানের মতো লোকেরা; কয়েকদিন পরে হয়তো জাসদের ইনু, রওশন এরশাদ কিংবা ড: কারজাইও ওখানে বড় কর্তা হয়ে যাবে!
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪১