অমুসলিমদের মক্কা ও মদিনায় বসবাস করার অনুমতি নেই; ইরানের মাটি কামড়ে পড়ে থাকা সর্বশেষ ইহুদীকেও চলে যেতে হয়েছে; পাকিস্তান নিজকে হিন্দু মুক্ত করেছে, বাংলাদেশের মুসলমানেরা পাকিস্তানী ভাইদের অনুসরণ করে চলেছেন; আফগানিস্তান থেকে সর্বশেষ বৌদ্ধকে বের করে দেয়ার পর, গৌতম বুদ্ধের পর্বত-সম মুর্তি ভাংতে ডিনামাইট ও কামান ব্যবহার করা হয়েছে; এগুলো হলো মুসলমানদের ক্রিয়া, তারা কি কোন প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষা করছে?
এই ব্লগে হাজার পোস্ট দেয়া হয়েছে, যেগুলোতে সুরাহ থেকে আরবীসহ কোট করা হয়েছে এই বলেছে যে, "মুসলমানদের অন্য ধর্মীদের সাথে বন্ধুত্ব করতে সাবধানতা অনুসরণ করতে হবে।" জাতিদের মাঝে সদ্ভাব ও বন্ধুত্ব বজায় রাখার কাজ করছে জাতি সংঘ; জাতি সংঘের বড় বড় পোস্টগুলোতে কাজ করে আব্রাহাম, উইলিয়ম, জন ও উথান্টেরা; তাদের সাথে মুসলমানদের বন্ধুত্ব করা ঠিক না, তাই তারা কিছুতেই বন্ধুত্ব করতে পারছে না মুসলমানদের সাথে।
সম্প্রতি নাকি অন্য সব ধর্মের লোকেরা কোরানের বাণীকে কাজে লাগায়ে বড় বড় কাজ করে বেড়াচ্ছে; মংগলে মানুষ পাঠাচ্ছে; হাজার রকমের ঔষধ বানাচ্ছে; রাজনৈতিক ধারণা নিচ্ছে; মনে হয়, মগেরাও হয়তো মুসলমানদের ধর্মীয় বাণী অনুসরণ করছে; তাই রোগিংগাদের সাথে বন্ধুত্ব করতে চাচ্ছে না।
আসলে, অন্য-ধর্ম-শুন্য মক্কা-মদিনা, হিন্দু-শুণ্য পাকিস্তান, বৌদ্ধ-শুন্য আফগানিস্তান, ইহুদী-শুন্য ইরান নীতি অনুসরণ করছে মগেরা; রোহিংগারা সবার হয়ে রক্তের ঋণ পরিশোধ করছে।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:১৯