প্রান বাঁচানোর জন্য পলায়নপর রোহিংগারের জন্য একামাত্র নিরাপদ দেশ হচ্ছে বাংলাদেশ; মানুষ যখন প্রাণ বাঁচাতে পালায়, তাদের কাছে বর্ডার, আইন কিছুই না; সুতরাং ধরে নেন যে, রোহিংগারা বাংলাদেশেই আসবে; সরকার ওদের ঢুকতে দেয়নি, তাতেই মনে হয় ৫ লাখ ঢুকে গেছে; আরো ঢুকবে। সর্বোপরি, বাংলাদেশ সরকার ও জনতার মাঝে দেশ নিয়ে কোন ঐক্য নেই; ফলে, সরকার কি করতে চাচ্ছে, তাতে মানুষের মাথা ব্যথা নেই!
বাংলাদেশে প্রতি বর্গমাইলে গড়ে প্রায় ৩০০০ মানুষ বসবাস করে; এদের ৫০% খুবই দরিদ্র, সর্বোপরি নিরক্ষর; ফলে, নতুন ১ জন রোহিংগাও এদেশের জন্য বোঝা। এদেশের কিছু মানুষ এসব সমস্য বুঝে, কিন্তু সরকারের সাথে মানুষের কোন কম্যুনিকেশন চ্যানেল নেই; মানুষ চাইলেও এসব ইস্যুতে সরকারকে সাহায্য করতে পারে না।
ব্লগের অনেকে আরেকটা সমস্যার কথা বলছেন, রোহিংগারা ভয়ংকর অপরাধ-প্রবন জাতি; এ কথার কিছু সত্যতা আছে; তবে, এখানে কিছু ভুল ধারণা কাজ করছে, এসব দরিদ্র সাধারন মানুষ কতটুকুই বা চুরি করবে, রাজনোতিক অপরাধ করছে, কতটুকুই বা জংগী হবে? আমাদের জাতি জামাত, শিবির, ছাত্রলীগ, ছাত্রদল, হেফাজত, পুলিশ, ব্যুরোক্রেটদের মতো ভয়ংকরদের টেক্কা দিয়ে টিকে আছে; সব রোহিংগা মিলেও হলমার্কের সমান টাকা নিয়ে যেতে পারবে না; সব রোহিংগা মিলে চুরি করলেও শিল্প ব্যাংক বা সোনালী ব্যাংক থেকে খোয়া যাওয়া টাকার ১%'এর সমান চুরি করতে পারবে না।
কেহ দুস্ট লোককে আশ্রয় দিতে চাহে না; কিন্তু দুস্টরা প্রাণ হারানোর আগে, বাঁচার চেস্টা করে, নিরাপদ আশ্রয় খোঁজে; রোহিংগাদের জন্য বাংলাদেশই একমাত্র নিরাপদ দেশ, মরে বেঁচে তারা এখানেই আসবে।
আমাদের সরকারকে মাথা খাটায়ে এর সমাধান খুঁজতে হবে, যদিও উনাদের মাথা সম্পর্কে আমরা বেশ সান্দিহান; আমরা দেখে এসেছি, উনাদের মাথার থেকে গলায় জোর বেশী।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৩৮