নবাবী আমলের মগ-জলদস্যুদের সন্তানেরা এখন বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহন করে জল্লাদ হিসেবে আরাকানে আছে; তারা আদি বাংগালী গোস্ঠী রোহিংগাদের হত্যা করছে। ১৯৭৯ সালে রোহিংগারা নাগরিকত্ব হারানোর পর, রোহিংগারা শিক্ষা দীক্ষা, ব্যবসা বাণিজ্যসহ সকল মৌলিক অধিকার হারিয়ে সেখানে টিকে থাকার চেস্টা করেছে; তারাও অনেক বাংগালীদের মতো অপরাধ-প্রবন ছিলো, এখন প্রতিকুল অবস্হায় টিকে থাকার জন্য অশিক্ষিত ভাবনা থেকে আরো বেশী অপরাধ-প্রবন হয়ে গেছে। তাদের মাঝে সুশিক্ষিত নেতা নেই, আছে আদম বেপারী, মেয়ে পাচারকারী, মাদক পাচারকারী, ইত্যাদি ইত্যাদি; কিন্তু এরা ড: ইউনুসের দাদাদের বংশধর, তথা আদি চট্টগ্রামী।
রোহিংগারা বাংলাদেশে এসেছে ১৯৭৯ সাল থেকে; ১৯৯৩ সালে এসেছে ৩ লাখের বেশী; এই ৩ লাখের জন্য আরবদেশ থেকে জামাতের মীর কাশেম আলী ২ বিলিয়ন ডলারের মতো এনেছিল, সেটার বড় অংশ গেছে ইসলামী ব্যাংকে ও জামাতের ব্যবসায়; বেগম জিয়াও সেখান থেকে ভাগ পেয়েছেন; সেই ডলার সুইস ব্যাংকে আছে; চট্টগ্রামের পুলিশ থেকে সব রাজনৈতিক নেতা সেই টাকার ভাগ পেয়েছে।
বাংলাদেশ, ৫ লাখের কাছাকাছি রোহিংগা আছে; আগামীতে, আরো ২/৩ লাখ ঢুকে যাবে। আমি যখন এই পোস্ট লিখছি, আরবে এদের জন্য চাঁদা নেয়া হচ্ছে, নেয়া হচ্ছে লন্ডনে, নিউইয়র্কে; সীমান্ত রক্ষীদের টাকা দিয়ে এদেরকে বাংলাদেশে আনবে; টাকার বিনিময়ে সাহায্য করবে স্হানীয় আওয়ামী লীগ।
রোহিংগাদের যেভাবে হত্যা করছে মগ দস্যুরা, , ১৯৭১ সাল বাংগালীদের এত সহজে হত্যা করতে পারেনি; কারণ, বাংগালীরা এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় পালায়েছে, মানুষ পরস্পরকে সাহায্য করেছে; রোহিংগাদের পালানোর সুযোগ নেই, যদিকে পালাবে সেখানে বড় জল্লাদ অপেক্ষা করছে।
জাতিসংঘ ব্যাপারটা দেখছে, ও বাংলাদেশকে অনুরোধ করেছে সীমান্ত খুলে দিতে; জাতিসংঘে কাহারা এত বড় বেতনে চাকুরী করে, জানলে হতবাক হবেন, এরা এশিয়া, আফ্রিকা ও ল্যাটিন আমেরিকার সরকারী এলিটদের পোষ্য ইডিয়ট; কোটায় চাকুরী পায়। আমার ঘনিস্ট পরিচিত ২ বাংগালী ওখানে বড় চাকুরী করতো; ওদের ২ জনের বাবা পাকিস্তান সরকারের সময় এলিট ছিল, বাংলাদেশ সরকারের সময় এলিট ছিল; এরা বাংলাদেশের কোটায় চাকুরী পেয়েছিল; একজন সাহিত্যিক ছিলেন, কবিতা লিখতেন; একবার, আমাকে উনার এক বুলশিট প্রেমের কবিতা পড়ে শোনানোর পর, আমার ইচ্ছা হচ্ছিল লাঠি দিয়ে পেটাতে।
যাক, রোহিংগারা বাংগালী, সাধারণ বাংগালী থেকে বেশী অপরাধী; কিন্তু ওদের মাঝে শিশু আছে, কিশোরী আছে, মহিলা আছে; সেদিক থেকে চিন্তা করে, আমাদের সরকার বাকী মুসলমান দেশগুলোর সাথে কাজ করে এদের ভাগ করে বিভিন্ন্ন দেশে দিয়ে দিতে পারে; বড় কাজ হলো মগ দস্যুদের থামানো।
৪২টি মুসলিম দেশ এদের নিলে, প্রতি দেশ ৪০ হাজার করে নিতে পারবে, এটা কারো জন্য বোঝা নয়; আবার একা সৌদী বর্ডার পাহারা দেয়ার জন্য ১০ লাখ লোক লাগবে; মালয়েশিয়ায় লোক লাগছে ক্রমাগতভাবে; এমন কি পাকিস্তানে মানুষ দরকার, স্হানীয় পাকীরা কাজ করতে চাহে না, ওরা টাউটগিরি করে চলতে চায়। বাংলাদেশ থেকেও রোহিংগা কমে যাবে, ৫ লাখের মাঝে ৪ লাখকে অন্য মুসলিম দেশে পাঠিয়ে দেয়া সম্ভব; সরকারকে দক্ষ হতে হবে।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:৪০