জন্ম: ১৯৫২ সাল, লেনিন গ্রাডে, কম্যুনিস্ট পরিবারে; সেই সময়, সোভিয়েট পলিটব্যুরোর ভেতরে লেনিনগ্রাদ কেন্দ্রিক একটি গ্রুপ গড়ে উঠছিলো।
শিক্ষা: আইনবিদ, জার্মান ভাষায় খুবই দক্ষতা অর্জন করে।
চাকুরী: ১৯৭৫ সালে কেজিবি'তে যোগদান করে, বিদেশী ইনটেলিজেন্স বিভাগ, লেফাটান্যান্ট কর্ণেল হিসেবে ১৯৯১ সালে চাকুরী থেকে রাজনীতি ঢুকে; কেজিবি থেকে অবসর নিয়েছে কখন এখনো পরিস্কার নয়।
রাজনৈতিক ভাবনা: সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেংগে দেয়ার পক্ষে ছিলো, মনে করতো, অকারণে রাশিয়া অন্য বাকী ১৪ রিপাবলিকের বোঝা টানছে; সে রাশিয়ানদের 'সুপার নেশন' মনে করে; রাশিয়ানদের সাথে এশিয়ার আজেরবাইজান, উজবেক, বা বাল্টিকের মানুষকে একত্রে দেখতে চাহে না।
রাশিয়ার ক্ষমতায়: ক্রেমলিনে নিজের ক্ষমতা খাটিয়ে ইয়েলসিনকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করে; ইয়েলসিনের পদত্যাগের পর, ১৯৯৯ সালে ক্ষমতা তার হাতে আসে, এখনো আছে।
ধন ও ক্ষমতা: পুরো রাশিয়ায় যার যা সম্পদ আছে, পুটিন চাইলে সেটা পুটিনের হয়ে যাবে। তেলের খনি, তামার খনী, হীরকের খনি, সোনার খনির মালিকানা তার হাতে। বিশ্বের সুন্দরতম রাজপ্রাসাদ ক্রেমলিনে তার অফিস। সেনা বাহিনী ও কেজিবি তাকে কমান্ডার হিসেবে মানে।
বিরোধী দল: অনেক নেতাকে রাজনীতি থেকে সরায়ে দিয়েছে; কয়েকজন বিষক্রিয়ায় অচল হয়ে গেছে; অনেকে পালিয়ে গেছে দেশ থেকে।
রাজ্য জয়: ইউক্রেনের ক্রিমিয়া প্রথমে দখল করে নিয়ে, পরে গণভোট করে রাশিয়ার অংশ করেছে; এখন সিরিয়ায় অবস্হান নিয়ে আমেরিকাকে দেখালো যে, আজকের রাশিয়া সোভিয়েট আমল থেকে শক্তিশালী।
নিউক্লিয়ার যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি: পুটিন মনে করে যে, রাশিয়ানরা 'সুপার নেশন', তারাই বিশ্বকে নেতৃত্ব দেয়া উচিত; তারা নিউক্লিয়ার যুদ্ধের মাধ্যমে নিজেদের নেতৃত্ব প্রতিস্ঠা করতে সক্ষম হবে। মস্কো, লেনিনগ্রাদ, স্টালিনগ্রাদসহ প্রতি শহরের সব লোকজন "মেট্রোরেলের গুহায়" ১০ মিনিটের মাঝে লুকিয়ে যেতে পারবে; সেখানে ৫ বছর বেঁচে থাকার মতো খাদ্যসহ প্রয়োজনীয় সরবরাহ আছে।
এটোমিক সাবমেরিণ ও মিসাইল: যদি আমেরিকাসহ পশ্চিমকে আক্রমণ করতে হয়; তাদের ঘরের পাশ থেকেই সাবমেরিণ থেকে মিসাইল আক্রমণ করার ক্ষমতা আছে এখন। এখন বিপক্ষীয় মিসাইলকে দেশের বাইরে থাকতে ধ্বংস করার এন্টি-বেলাস্টিক সিসটেম নিয়ে কাজ করছে।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫২