সিরিয়ানরা কি কোনদিন ভেবেছিল যে, তারা রাশিয়ান বোমায় ও রাশিয়ান সৈনিকের হাতে মারা পড়বে? তাদের ভয় ছিলো যে, তারা ইসরায়েলী, আমেরিকান বা হয়তো ইরানীদের আক্রমনে প্রাণ হারাতে পারে; কিন্তু রাশিয়ার কথা ভাবেনি কোনদিন, আজকের বিশ্ব বড়ই কমপ্লেক্স।
বুশ জুনিয়র বিশ্বে যে ধরণের হানাহানির সৃস্টি করে গেছে, ওবমার মতো বিচক্ষণ ও মানবতাবাদী প্রেসিডেন্ট ৮ বছরের উহার কোন কুল-কিনারা করতে পারেনি; আরও ৮ বছর থাকলে, হয়তো আশার আলো দেখা যেতো; কিন্তু তা ঘটছে না, ঘটছে ভয়ংকর উল্টো কিছু; এবার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট যিনি হবেন, উনি বুশ থেকে কয়েক হাজার গুণ খারাপ ও বেকুব হওয়ার সম্ভাবনা। হিলারী ক্লিনটন আমেরিকার সবচেয়ে মিথাবাদী ও লোভী মহিলা হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে; সে সরকারী পদকে কাজে লাগিয়ে নিজে লাভবান হতে গিয়ে, ই-মেইল স্কানডাল করেছে। ৩ বছর ধরে তাকে সব ইমেইল জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হলেও, সে সব ইমেইল দেয়নি; গতকালও হিলারীর এডভাইজার হুমা আবাদীনের ডিভাইসে ইমেই পাওয়া গেছে, যা সরকারী ব্যাপারের হতে পারে।
হিলারী লোভ ও বেকুবীর দিক থেকে বাংলাদেশের খালেদা জিয়া ও ফিলিপাইনের ইমেলদা মার্কোসের সমান। বিশ্ব এই রকম মহিলা কয়েক কোটী আছে, কিন্তু সমস্যা হচ্ছে যে, সে আগামী ১০ দিনে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হয়ে যাওয়ার মোটামুটি সম্ভাবনা আছে।
এই মহুর্তে বিশ্বের সবচেয়ে দুস্ট ক্ষমতা, দুস্ট ধনী ও হাজার হিটলারী মনের লোক পুটিন রাশিয়াকে সামনে আনার জন্য একটা বড় যুদ্ধ করার জন্য তৈরি হচ্ছে; হিটলারের মতো তার মাথায় ঢুকেছে যে, রাশিয়ানরা বিশ্বের এক মহান ও শক্তিশালী জাতি, এবং আমেরিকার কারণে তারা নিজেদের স্হান হারায়েছে, তাদেরকে সামনে আসতে হলে, একটা যুদ্ধ করে, শক্তি নিয়ে বিশ্বকে কন্ট্রোলে আনতে হবে। আজ আমি যখন এই পোস্ট টাইপ করছি, পুটিন আনবিক আক্রমণ নিয়ে ক্রেমলিনে মিটিং করছে।
একই সময়ে, আমেরিকায় আজ ক্ষমতায় যাওয়ার চেস্টা করছে আরেক ব্যক্তি, ব্যবসায়ী ট্রাম্প, যে বিশ্বাস করে যে, আমেরিকা অকারণে বিশ্বকে বেশী দিয়ে ফেলছে, এটার সুরাহা হওয়ার দরকার; এবং আরবে যুদ্ধ বন্ধ করতে হলে বড় যুদ্ধ করতে হবে; আরো খারাপ দিক হলো, সে বলছে পুটিন যেভাবে এগুচ্ছে, তা সঠিক আছে।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০১