২০০৬ সালের ২৮ শে অক্টোবর কিছু নিরীহ মানুষকে প্রাণ দিতে হয়েছে; এর মাঝে জামাতেরও কয়েকজন নিরীহ সাপোর্টার ছিল, ছিল জামাতের ব্যবসার কর্মচারীও; এরা না জেনেই রাস্তায় নেমেছিল জামাতের ডাকে, তারেক জিয়ার ডাকে। আওয়ামী লীগ প্রস্তত হয়েই নেমে এসেছিল; তারা এসেছিল "কাঁটা তারে ঘেরাও করা আওয়ামী লীগের অফিস মুক্ত করতে, তারা এসেছিল ২১ আগস্টের গ্রেনেড মারার প্রতিবাদ করতে, এরা এসেছিল আইভী রহমানের মৃত্যুর প্রতোশোধ নিতে, এরা এসেছিল জর্জমিয়ার প্রতারণার জবাব দিতে"; তারা এসেছিল ঝড়ের মতো, তারা পুলিশের সামনে পড়ার কথা ছিল; কিন্তু জামাত ও তারেকের ষড়যন্ত্রের কারণে এরা জামাত -শিবিরের সামনে পড়ে। আওয়ামী লীগ যে আসবে বিএনপি, জামাত-শিবির জানতো; তাই ছাত্রদল, যুবদল, শিবির সামনে যায়নি; তারা জামাত, বিএনপি ও শিবিরের বেকুব নিরীহদের সামনে দিয়ে অবস্হা বুঝতে চেয়েছিল; অবস্হা দেখে তারা কেটে পড়েছিল; জামাত যাদিগকে স্রোতের সামনে দিয়েছিল, জেনেশুনেই দিয়েছিল; তখনো ডিজিএফআই ও পুলিশ বিএনপি-জামাতের ছিল, তারা সব রিপোর্ট পেয়েছিল; সব জেনেই জামাত ও তারেক জিয়া ঝড়ের সামনে দরিদ্র ঘরের জামাতী সাপোর্টারদের নামায়ে দিয়েছিল। জামাত ও তারেক জিয়ার অনেক প্ল্যান ছিল; তারা ভেবেছিল যে, লাশ কাজে লাগায়ে তারা আবারো ক্ষমতায় চলে আসবে।
আওয়ামী লীগের তৃণমুলে ১৯৭১ সালের জেনারেশনের লোকজন ছিলো, যারা আসলে আওয়ামী লীগের ধার ধারতো না, তারা আওয়ামী লীগের কারো ডাকের জন্যও অপেক্ষা করতো না; আওয়ামী লীগও তাদেরকে খুব একটা চিনে না; ২০০৬ সালে, এই মানুষগুলো রাস্তায় নেমে এসেছিলো; এরা জামাত-ফামাত, বিএনপি-মিএনপি'কে কোনদিন মানুষ হিসেবে গণ্য করেনি, এরা বাংগালী, এরা বাংগালীদের জন্য সব সময় রাস্তায় নেমে আসছিলো; অসহায় কিছু জামাতী এদের থামাতে গিয়েছিল সামান্য রিভলবার ও তলোয়ার দিয়ে; যেখানে তারেকের পুলিশেরা পালায়ে গিয়েছিল, সেখানে এই বেকুবেরা জামাতের পক্ষে শহীদ, বা গাজী হওয়ার চেস্টা করছিল।
যাক, জামাতের ৭৮ বছরের রাজনীতির সোনালীদিন এসেছিল ২০০১ সালে, সেটার অবসান হওয়ারও দরকার ছিলো, তাই জামাতের নতুন নতুন পাখা গজায়েছিল, গ্রেনেড হত্যা, বাংলাভাই, অনেক প্রজেক্ট; ২৮ অক্টোবরই মনে হয় জামাতের সোনালী যুগের শেষদিন ছিল।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ২:৫০