ওবামার প্রেসিডেন্ট হওয়া, আমেরিকার চাঁদের যাওয়ার মত একটি গৌরবের বিষয় ছিল, এখনো তার কিছুটা আমেজ আছে; ওবামা খুবই বড় জনপ্রিয়তা নিয়ে প্রেসিডেন্ট পদ থেকে অবসর নেয়ার কথা ছিল; এখন মনে হয়, তা ঘটবে না। একই সাথে, মিসেল ওবামা এই মহুর্তে আমেরিকার সবচেয়ে জনপ্রিয় মহিলা; নভেম্বরের ভোটের পর, জনপ্রিয়তা বিশালভাবে কমে যাবে; ডোনাল্ড ট্রাম্প পরাজিত হলে, মিসেলের জনপ্রিয়তা অর্ধেকর চেয়ে কমবে; কারণ, ডোনাল্ডের সাপোর্টারেরা মিসেলকে বিশালভাবে দায়ী করবে। আবার, হিলারী পরাজিত হলে, ট্রাম্পের লোকেরা ওবামাদেরও পরাজিত হিসেবে ধরে নেবে।
ওবামারা অকারণে হিলারীর পক্ষে বিভিন্ন রাজ্যে গিয়ে সভা করে ভোট চাচ্ছে ও ট্রাম্পকে দোষারূপ করছে; ডেমোক্রেট হিসেবে এটা করা সম্ভব, কিন্তু অপ্রয়োজনীয়; কারণ, হিলারী শুধু অদক্ষ নয়, বরং পৃথিবীর জন্য ভয়ানক বিপদ হতে পারে। ৩০ বছর সে রাজনীতিতে থেকে, নিজে লাভবান হয়েছে; তার অদক্ষ পদক্ষেপের জন্য আজ লিবিয়া ও সিরিয়া মাটির সাথে মিশে গেছে; ইরাক ও আফগানিস্তানে শান্তি ফিরে আসেনি। এই ধরণের মহিলার জন্য ভোট চাওয়া সঠিক হচ্ছে না; হিলারী পারলে পার্টির সাহায্য নিয়ে নির্বাচিত হোক; প্রেসিডেন্ট সবার জন্য নিরপেক্ষ থাকাই ভালো।
ওবামা প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমেরিকার জন্য বিশাল বিশাল অবদান রেখেছেন; কিন্তু পেছনে পড়ে থাকা আফ্রিকান আমেরিকানদের জন্য আলাদাভাবে কিছুই করেনি; ওবামাদের শহর শিকাগো এখন মোটামুটি আমেরিকার সোমালিয়া; শিকাগোর জন্য কিছুই করেননি আলাদাভাবে; এর পেছনে কারণও থাকতে পারে, বদনাম হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। আসলে, আফ্রিকান আমেরিকানরা এতো পেছনে পড়ে আছে যে, ওবামা তাদের জন্য যদি কিছু করতো, সাদা আমেরিকা হয়তো খুশী হতো।
আফ্রিকান আমেরিকানদের কিছু করেননি, ওকে; করার সময় সামনেও ছিল; ওবামার মত জনপ্রিয় লোক প্রেসিডেন্ট না থাকলেও শিকাগোর জন্য অনেক করার সুযোগ থাকার কথা; কিন্তু জনপ্রিয়তা হারায়ে ফেললে, পরে কিছুই করতে পারবেন না; কমপক্ষে হিলারীর মত মিথ্যুক, লোভী ও অদক্ষের জন্য মাঠে নামা ঠিক হয়নি।
ট্রাম্প ওবামার জন্মের সার্টিফিকেট নিয়ে পাগলামী করেছিল; সেটা নিয়ে ট্রাম্পের উপর রেগে মাঠে নামা ওবামাদের সাজে না; মনে হয়, বড় ধরণের ভুল হচ্ছে!
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৪