জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে(গ্লোবেল ওয়ার্মিং) বাংলাদেশের মানুষ ভবিষ্যতে ভয়ংকর ভুমি সংকটে পড়বে, দেশের ৪ ভাগের একভাগ লোনা পানির নীচে চলে যাবে; এরজন্য প্রস্তুতি শুরু করার দরকার ছিল ২০০০ সাল থেকে! বাংলাদেশ প্রস্তুতির কাজে হাত দিতে পারেনি, কারণ পশ্চিম টাকা দেবে বলে, গত সপ্তাহ অবধি দেয়নি; ১৬ বছর অপেক্ষা করে, এখন ২ বিলিয়ন ডলার পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ!
মানব সভ্যতার জীবনধারা জলবায়ুর উপর প্রভাব ফেলছে, ফলে প্রকৃতির স্বাভাবিক পরিবর্তন ত্বরান্নিত হচ্ছে!
প্রস্তুতিগুলো কি কি? বাংলাদেশের প্রস্তুতিগুলো অন্যদেশ থেকে একটু আলাদা হবে; যেমন, মালদ্বীপ ডুবে গেলে, এসব মানুষকে পৃথিবীর অন্যদেশগুলো ভাগ করে নিয়ে যাবে; কারণ, কয়েক লাখ মানুষ, তাও আবার বাংলাদেশ থেকে বেশী শিক্ষিত। ফ্লোরিডা পুরোটা ডুবে গেলেও আমেরিকার মাথা ব্যথা থাকবে না, সেই রকম ১০ রাজ্যের লোককে একা আলাস্কায় যায়গা দিতে পারবে। কিন্তু বাংলাদেশের বেলায় আলাদা; ২০৫০/৬০ সালের দিকে যদি সমস্যা শুরু হয়, তখন যদি লোক সংখ্যা ৩০ কোটী হয়, ৭/৮ কোটী লোকের এলাকা পানির নীচে চলে যাবে; ৭/৮ কোটী বাংগালী কেহ নিবে না।
বাংলাদেশের জন্য প্রথম প্রস্তুতি হলো, মানুষকে উচ্চ ও কারিগরি শিক্ষা দেয়া, যাতে অন্যদেশগুলো এই মানুষগুলোকে নিয়ে যেতে আগ্রহী হয়; দ্বিতীয় প্রস্তুতি হলো, সমুদ্রের খুবই নিকটবর্তী মানুষের জমিগুলো কিস্তিতে সরকারের কেনার শুরু করা; সরকার এইসব জমির মালিকগুলোকে জমির কিস্তি হিসেবে টাকা দেবে, যেই টাকা তারা শিক্ষা ও উঁচু এলাকায় সমবায় ব্যবসায় প্রয়োগ করবে; জমিগুলো ডুবে যাবার উপক্রম হলে, সেগুলো সরকারী সম্পত্তিতে পরিণত হবে; সরকার সেখানে লবন পানিতে টিকে থাকার মতো টেকনোলোজৈিক্যাল গ্রাম গড়ে তুলবে; যেখানে আগে ৫ লাখ মানুষ বাস করা সম্ভব ছিলো, সেখানে ১ লাখের মতো মানুষ বাস করার ব্যবস্হা করা সম্ভব হবে। ডুবন্ত এলাকায় সামুদ্রিক মাছ চাষ সম্ভব হবে।
ডুবন্ত এলাকাকে ব্যবহার করতে হলে বিপুল টাকা ও টেকনোলোজীর দরকার হবে। দেখা যাক, এখন ২০০ কোটী ডলার পেলো, সেইগুলো দিয়ে কি কাজ শুরু করে, কি টেকনোলোজী কিনে! আশাকরি, সরকারের লোকেরা নিউইয়র্ক, লন্ডন ও মালয়েশিয়ায় বাড়ী কেনা শুরু করবে না।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:১২