শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে মাধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করছে চাচ্ছে বাংগালীদের আরব, মালয়েশিয়ায় বিক্রয় করে; উনি, 'বৈদেশিক চাকুরী মন্ত্রনালয়' খুলেছেন, কিন্তু 'চাকুরী মন্ত্রনালয়' খুলেননি। যখনি সরকার খবর দেয় যে, কুয়েত ও মালয়েশিয়া আবার বাংগালী শ্রমিক নেবে, দেশের মগজহীন পিএইডি থেকে গ্রামের দরিদ্র নববধুটির চোখও খুশীতে চিকচিক করে উঠে!
জাতির মানুষকে "পড়ালেখা থেকে বন্চিত করে, তাদেরকে সস্তা শ্রমিকে পরিণত করেছে" , শেখ সাহেব, জিয়া, খালেদা জিয়া ও শেখ হাসিনা; এখন 'সস্তাা শ্রমিক' বিক্রয়ের দোকান খুলে বসেছে।
ঢাকা ইউনিভার্সিটির ফাইন্যান্স বিভাগের শিক্ষকেরা কোনদিন প্রতিবাদ করেনি যে, আমাদের শ্রম কেন 'সস্তায় বিক্রি' হচ্ছে? ঢাকা ইউনিভার্সিটির অর্থনীতি বিভাগের কোন শিক্ষক কোনদিন বলেনি যে, আমাদের দেশের অলস শ্রমকে কাজে লাগিয়ে আমরা ৫ বছরেই নিজ পায়ে দাঁড়াতে পারি; ডোডোগুলো নিজের পরিবার নিয়ে বলদের মত খেটে, ভালুকের মতো কাঁপতে থাকে।
সস্তায় শ্রম বিক্রয়কারী কি 'সস্তায় জীবনের মান' কিনতে পারবে? গ্রামের দরিদ্র ঘরের নববধু হয়তো জানে না যে, তার স্বামীর জন্য আরবদেশে ও মালয়েশিয়ায় আগের মতো আলাদিনের প্রদ্বীপ আর নেই, আছে এক অমানুষিক জীবন; যেই টাকা ঋণ করে, জমি বিক্রয় করে আরব যাবে, মালয়েশিয়া যাবে, শতকরা ৬০ জন সে টাকাই ৫/৭ বছরে তুলে আনতে পারবে না।
আমি ডিটেইলস'এ যাবো না; কিন্তু ভেবে দেখেন, দেশে যেই পরিমাণ বেকার আছে, তাদের পরিবারের হাতে যে পরিমাণ অলস টাকা আছে, এই ২টিকে ব্যবহার করলে, আমাদেরকে ভারতের মোদী পোদীর পেছনে, বা চীনের জিনপিং মিংদের পেছনে পেছনে দৌড়তে হবে না; আমাদের সম্পদ আছে, কিন্তু সরকারের মাথা নেই। সরকারের মাথা নেই মানে এই নয় যে, ১৭ কোটীর মাঝে কারো নেই! সরকারকে মোদী ও জিনপিং খুঁজতে হবে এই ১৭ কোটীর মাঝে!
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:২০