চীনের পার্লামেন্টের ১৫০ জন সদস্য আমরিকান ডলারে বিলিওনিয়ার; তা'হলে পলিট ব্যুরোর সদস্যদের কি অবস্হা? এরা কম্যুনিস্ট পার্টির সদস্য, যারা 'শুন্য থেকে' শুরু করেছিল; এরা তিব্বত দখল করে নিয়েছে, এরা উইগরের লোকদের নিজ শহরে থাকতে দেয় না। উত্তর পশ্চিম চীনের লোকেরা এখনো গড়ে ১২ ঘন্টা কাজ করে। আমেরিকান সব ইউনিভার্সিটিতে এখন চীনের প্রশাসনের লোকদের ছেলেমেয়েরা পড়ে।
চীন ১৯৯০ সালে সোসয়ালিজম থেকে বেরিয়ে গেছে; তখন থেকে শুরু হয়েছে কম্যুনিস্ট পার্টির লোকদের জন্য অন্য একটা প্রবাহ, সোস্যালিজমের নামে বাকীদের শ্রমে জাতীয়বাদী নতুন ক্যাপিটেজিম; পার্টির লোকেরা ক্রমেই জাতির সম্পদগুলো নিজেদের দখলে নিচ্ছে। পার্টির লোকেরা নতুন নতুন কর্পোরেশন গঠন করে, সরকারের নামে ব্যবসা করছে।
চীনারা পৃথিবী ৫ ডলারে রোলেক্স ঘড়ি বানায়ে দিচ্ছে, ১ ডলারে মাইক্রোসফটের 'অফিস' সফটওয়ার বিক্রয় করছে; বিশ্বের যেকোন ব্রান্ডের টেলিভিশন থেকে যেকোন ইলেকট্রোনিক বানায়ে দিচ্ছে।
এরা বিশ্বের সব ডাকাতি প্রশাসনের জন্য "ওভার ইনভয়েস" করে দিচ্ছে; ৫ ডলারের মালের জন্য ৫০০০ ডলারের রশিদ দিচ্ছে। বাংলাদেশ সরকার ও প্রশাসন এদের জাতির পিতার থেকেও ভালোবাসে; এরা বাংলাদেশ সরকারের সবচেয়ে বড় বড় প্রজেক্টে ৬/৭ বিলয়ন ডলারের কাজ করে দিচ্ছে। বাংলাদেশ সরকার কত বিলিয়নের ওভার ইনভয়েস নিচ্ছে কে জানে!
চীনাদের ব্যবসা দিয়ে, বাংলাদেশ প্রশাসন লাভবান হচ্ছে, চীনা ক্যাপিটেলিজম লাভবান হচ্ছে; শি জিনপিং মনে হয়, ধন্যবাদ বলার জন্য আসছে।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৭:০১