১৯৯৮ - ১৯৯৯ সালে যে, বিশ্বের অন্য এলাকার চেয়ে আমাদের এলাকায় বেশী শিশু জন্ম নিচ্ছে, এটুকু আমি জানতাম; আমার জানা, না জানা এসব শিশুদের জন্য বিরাট কিছু ছিলো না; কিন্তু সেই সময় যিনি দেশের সরকার প্রধান ছিলেন, আমার মতে, তাঁর জন্য এটা একটা বিরাট তথ্য হওয়ার কথা ছিল; আমার মনে আছে, সেই সময় এগুলো কোন ব্যাপারই ছিলো না উনার জন্য; এমন কি আজো কোন ব্যাপার না। সেই সময়ে ২২ লাখ শিশু জন্ম নিয়েছিলেন; আজ তাদের মাঝ থেকে ৯ লাখ এইচএসসি পাশ করেছেন, ৩ লাখ ফেল করেছেন, ৮ লাখ এতদুর আসেননি, ২ লাখ জীবিত নেই।
শেখ হাসিনা সেই সময়ে দেশের প্রাইম মিনিস্টার ছিলেন, তিনি কি সেই দিনগুলোর কোন এক সময়ে ভেবেছিলেন যে, ২২ লাখের মাঝে ১০/১২ লাখ হলেও ১২ ক্লাশ পাশ করবে, ওদের উচ্চ-শিক্ষার ব্যবস্হা করতে হবে? উনি কি ১৮ বছর সামনে দেখতেন? আমার মনে হয় না; অবস্হা দেখে মনে হচ্ছে উনি ২/১ বছর সামনেও দেখেন না; দেখলে, ২০১৪ সাল থেকে প্রস্তুতি নিতে পারতেন কমপক্ষে ৯ লাখের জন্য। যদিও উনি ২০২১ সাল দেখছেন বলে বলছেন, আসলে এগুলো নির্বাচনী কথার কথা, প্ল্যানের কথা নয়; প্ল্যান থাকলে সেটা নিয়েও কথা বলতেন, লুকায়ে রাখতেন না।
জাতির কাছে সবই আছে, জাতির জীবন ধারণের মান অনুযায়ী প্রয়োজনের বেশী জমাও আছে, উহা হলো রিভার্ভ; রিজার্ভ একটা নিদ্দিস্ট পরিমাণে রাখতে হয়; মনে হয়, বাংলাদেশের জন্য সেটা আনুমানিক এই বছর ২৩ বিলিয়ন ডলারের মতো হবে; আমাদের রিজার্ভ ৩০ বিলিয়নে পৌঁচেছে এ বছর ।
সেভিংস থাকলে সাহস বাড়ে, দুর্দিনের জন্য ভয় থাকে না, এটা ফাইন্যান্সের প্রাকৃতিক নিয়ম; কিন্তু এটা শুধু মাত্র ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও কর্পোরেশনের জন্য সত্য; রাস্ট্রের বেলায় এটা ভুল, প্রয়োজনের বেশী রিজার্ভকে, আমাদের মতো দেশে শিক্ষায় ও বেকারত্ব সমস্যা সমাধানে ব্যবহার করা উচিত। সরকার অকারণে, ৮ বিলিয়ন ডলার অলস করে রেখেছে; এটা ফাইন্যান্সের দিক থেকে ভুল, রাস্ট্রীয় দিক থেকে অন্যায়ের সামিল।
আগামী বছর ৮ লাখ পাশ করবে, সেটা নিয়ে আজকে ব্যবস্হা নেয়া দরকার; দেশের সব অন্চলে সরকারী ইউনিভার্সিটিগুলো ক্যাম্পাস খোলার দরকার যাতে আগামী বছরের ৮ লাখের শিক্ষা সরকারী ইউনিভার্সিটির অধীনে শুরু হতে পারে।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৮:৩৫