প্রাচীন গ্রীসের অনুকরণে আধুনিক আমেরিকা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডিবেইটকে বিরাট স্হান দিয়েছে; ডিবেইটে জয়ী হলে যে প্রেসিডেন্ট হবেন, তার নিশ্চয়তা নেই; তবে, ডিবেইটে পরাজিত হলে, পরাজিত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।
আধুনিক লজিক্যাল ডেবেইটের জন্মস্হান গ্রীস; সক্রেটিস ও উনার ছাত্ররা মিলে সেই সময়কার সার্বিক বিষয়ে আলোচনা করতেন, বিতর্ক করতেন; সক্রেটিস সেই সময়কার সেরা ডিবেইটার ছিলেন।
আমেরিকান প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ক্যান্ডিডেটেরা দেশের রাজনৈতিক এজন্ডাগুলোর উপর নিজের অবস্হান, সেগুলো কার্যকরীর রোড-ম্যাপ নিয়ে আলাপ করেন, দেশের বিবিধ পলিসির উপর বিতর্ক করেন, নিজের অবস্হান পরিস্কার করে; মানুষ ক্যান্ডিডেটদের সামনা সামনি তুলনা করার সুযোগ পায়।
এবারের আমেরিকান নির্বাচনটা একটু আলাদা, ২ জন দুর্বল ক্যান্ডিডেটের প্রতিযোগীতা হচ্ছে, যেখানে ১ জন আবার প্রফেশানেল রাজনীতিবিদ নন। তবুও আমেরিকান নিয়মানুসারে সবকিছু এগুচ্ছে; সেই অনুসারে ২৬ শে সেপ্টেম্বর অনিস্ঠিত হচ্ছে ১ম ডিবেইট।
আমেরিকার ইতিহাসে, এবাের ডিবেইটি সবচেয়ে বেশী আমেরিকান দেখবেন, ১২ কোটী মানুষ দেখবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রাইমারীতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ডিবেইটের স্টাইল ছিলো মানুষের ধারণার বাহিরে; তিনি মোটামুটি অরাজনৈতিক ভাষায় ডিবেট করেও প্রতিপক্ষদের কুপোকাৎ করেন; এবং সেটাই মানুষকে ডিবেইটে আকর্ষণ করছে।
হিলারী ক্লিনটনকে অনেকেই প্রশিক্ষণ দিচ্ছে; উনার আগের ইতিহাস ডিবেইটার হিসেবে ভালো নয়, এবারের প্রাইমারীতে প্রায় প্রতি ডিবেইটে উনি বার্ণি সেন্ডার্সের কাছে পরাজিত হয়েছে। এদিকে ট্রাম্প মোটামুটি প্রস্তুতি নিচ্ছে না, তিনি বলে বেড়াচ্ছেন যে, ডিবেইট হলো 'কমনসেন্সের' ব্যাপার, সাথে ব্যক্তিগত বিশ্বাসই যথেস্ট। অবশ্য, প্রাইমারীর ডিবেইটে ট্রাম্প নাম-করা সিনেটর ও গভর্ণরদের তুলা-ধুনো করে বাতাসে উড়ায়ে দিয়েছে অরাজনৈতিক ভাষায়।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৪