জিন্নাহ'কে রাণী ও বৃটিশ পার্লামেন্ট সহানুভুতি দেখাতে গিয়ে পাকিস্তান করতে দিয়েছিল; ফলে, জিন্নাহ যতটুকু পেয়েছে, সেটা নিয়ে খুশী ছিল; বাংলাকে পাকিস্তানের অংশ করা যাবে কিনা, জিন্নাহ ঠিক মতো জানতো না; সেখানে কাজ করেছিলেন শেরে বাংলা; কাশ্মীর থেকে কেহ জিন্নাহের সাথে ঘনিস্টভাবে কাজ করেনি; ফলে, জিন্নাহ কাশ্মীরের ব্যাপারে বৃটিশ ও কংগ্রেসকে চাপ দেয়নি; তদুপরি, বৃটিশের বিভক্তি প্ল্যানে, কাশ্মিরের রাজার ক্ষমতা ছিল নাগরিকদের থেকে বেশী; কাশ্মীরকে রাজার অধীনে থাকতে দিলে, সেখানকার মানুষেরা রাজার অধীনেই ভালো থাকতো, এক সময় রিপাবলিক হয়ে যেতো।
পাকিস্তান কাশ্মীর সমস্যাকে এমন পর্যায়ে নিয়ে গেছে যে, ভারতের মানুষের মনে সেটা পাকিস্তানী জংগি আস্তানা হিসেবে স্হান করে নিয়েছে; ফলে, কাশ্মীরের মানুষের জন্য ভারতীয় সৈন্য বাহিনী, পুলিশ ও সাধারণ মানুষের কোন সহানুভুতি নেই। পাকিস্তানী মিলিটারীর নিজ দেশ শাসন, মিলিটারী কর্তৃক নিজ দেশের নাগরিকদের সময়ে সময়ে হত্যা, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে গণহত্যা ও কাশ্মীরের লোকদের সামরিক সহায়তা, ভারতের শত্রু চীনের সাথে ঘনিস্ঠতা, সব মিলে পাকিস্তানীদের উপর ভারতীয়দের কোন আস্হা নেই, এবং পাকিস্তানকে তারা জাতীয় শত্রু মনে করে; সেই পাকিস্তানীদের সাথে সম্পর্ক রাখায়, ভারতীয়রা কাশ্মীদের ঠিক পাকিস্তানীিদের মত ঘৃণা করে। শিখ, আসামী, নাগারাও সময়ে সময়ে ভারত থেকে আলাদা হওয়ার চেস্টা করে পরাজিত হয়েছে; কিন্তু কাশ্মীরীদের মতো কেহ এত খারাপ অবস্হায় যায়নি।
ভারত কাশ্মীরের প্রতি ভয়ানক অন্যায় করে চলেছে; শত যুদ্ধ ও গেরিলা যুদ্ধের মাঝেও, ভারতের উচিত ছিল কাশ্মীরের মানুষকে শিক্ষিত করা, ভারতের অন্য এলাকার মতো উন্নত করার চেস্টা করার দরকার ছিলো; প্রথমদিন থেকে তারা কাশ্মীরের মানুষের জন্য কাজ করলে, সমস্যা এমন পর্যায়ে যেতো না। সামান্য মানুষ ও পাকিস্তানের কারণে ভারত কাশ্মীরের মানুষকে কোনরূপ সুযোগ দেয়নি; ক্রমাগতভাবে জরুরী অবস্হার কারণে সাধারণ মানুষ সৈনিকদের দ্বারা ভয়ংকরভাবে নিগৃহিত হয়েছে। গেরিলা যুদ্ধে ধৃত কাশ্মীদের প্রতি কখনো সাধারণ ক্ষমা প্রদর্শন করেনি, জেলের ভেতরে শিক্ষার সুযোগ দেয়নি, শুধু শাস্তি দিয়েছে; তাদের সাথে রাজনৈতিক বন্দী হিসেবে ব্যবহার করেনি।
ভারত থেকে যেহেতু শিখ ও আসামীরা আলাদা হতে পারেনি; কাশ্মীর গেরিলা যুদ্ধ করে এখন আর আলাদা হতে পারবে না; মানুষ যদি সরকারের সাথে বসে, পাকিস্তানের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে, নিজেদের সমাজকে গড়ে তোলার জন্য কাজ করে, এটাই সঠিক কাজ হবে। তারা যদি উন্নত হয়ে উঠে, তারা সময়ের সাথে ভারতের সাথে কথা বলে ও ইউএন'এর সাহায্য নিয়ে স্বাধীনতার কথা ভাবতে পারে।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ভোর ৫:৫৪