সেদিন কোথায় দেখলাম, প্রেসিডেন্ট হামিদ সাহেব বলেছেন, উনি কাজ করতে চাচ্ছেন, কিন্তু কাজ পাচ্ছেন না; কাজ উনার আছে, কিন্তু উনি দেখেন না, তাই আমাদেরকে দায়িত্ব নিতে হলো, উনাকে কাজটা বুঝায়ে দেয়ার জন্য; উনি পদাধিকার বলে, দেশের ৮৩টা বিশ্ব বিদ্যালয়, বা ব্যাংগের ছাতাগুলোর মাথা, চ্যানচেলর; ঐ তথাকথিত ইউনিভার্সিটিগুলোতে 'ইয়াবা' বেশী বিক্রয় হচ্ছে, বেশী খাওয়া হচ্ছে; ক্লাশ রুমে পড়ালেখার মুড থেকে ভালোবাসার মুড বেশী, ছাত্র থেকে কবি বেশী। ইয়াবা খাওয়ার পর, ব্ল্যাকবোর্ডের দিকে তাকালে দেখে দুনিয়া ঘুরছে, লাল, নীল পরীরা উড়ছে; নিউটন আইন স্টাইনদের জোকার মনে হয়; এক পংগু জেনারেশন তৈরি হচ্ছে!
এই ইয়াবা ব্যবসাতে নাকি সবাই আছে, সবার টাকা দরকার, জিং জিং মুড দরকার; প্রেসিডেন্ট সাহেবের ২টার মধ্যে কোনটাই এখন আর দরকার নেই; তাই উনি চাইলে ইহাকে বন্ধ করতে পারবেন; কমপক্ষে ছাত্রদের মাঝে ইয়াবা বিরোধী মনোভাব গড়ে তুলতে পারেন।
ড্রাগস বন্ধ করা কঠিন কাজ, কিন্তু দেশের মাথার জন্য উহা কঠিন হওয়ার কথা নয়; তা,ছাড়া উনার জীবনে উনি হাজারবার এমপি হয়েছেন, বড় কিছু করছেন বলে শোনা যায়নি; এবার এই কাজটা হাতে নিলে, একটা বড় কাজ হবে।
উনি যদি ১ দিন এক ইউনিভার্সিটিতে গিয়ে ছাত্রছাত্রীদের সাথে বসে ১ কাপ চা খান, ছেলেমেয়ারা উৎসাহিত হবে; উনি ছেলেমেয়েদের ইয়াবা ত্যাগ করে, শক্তিশালী জেনারেশনে পরিণত হয়ে, জাতিকে সাহায্য করার জন্য উপদেশ দিতে পারেন, তাদের সাথে কিছু প্রোগ্রামে কাজ করতে পারেন; কিছু রিসার্চ প্রোগ্রাম চালু করতে পারেন; এতে বছরে উনার ৮৩ দিনের কাজ জুটে যাবে, উনি বেকারের মত ঘুরবেন না।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ২:১৬