আওয়ামী লীগ কিছুতে নিশ্বাসও নিতে পারছে না, একদিক থেকে ইসরায়েলের মোসাদ সরকারের পতন ঘটায়ে দিচ্ছে; অন্য দিক থেকে পাকিস্তান বসে আছে লেজের উপর। আবার নতুন সমস্যা হলো তুরস্ক, সেটা নিয়ে বড় বড় মাথা খাটাতে হচ্ছে; এই তুর্কীদের বিশ্বাস করতে নেই, এই তো সেদিন রাশিয়ানদের যুদ্ধ বিমান ফেলে দিলো; এরা সবাই আওয়ামী লীগের পেছেন লেগে বসে আছে; ওদের সবার নেত্রী আবার আফোসহীন!
জাতি সংঘে কি একটা লোক আছে, মাংকি না, বাংকি মুন, রাত নাই দিন নাই, সুযোগ পেলে টেলিফোন করে ভয় দেখায়; ঐ লোকের ভয়ে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট হয়তো বন্ধ করতে হবে, শেষে কাকে আবার ঢাকা পাঠায়ে দেয়; সমস্যা ওখানে শেষ হলে চলতো, ওবামার কি সেক্রেটারী একটা আছে, জন কেরী না জন ফেরী উহা নাকি সকাল বিকাল টেলিফোন করতে চায়, আওয়ামীরা উহার জ্বালায় সেক্রেটারিয়েটে ফোন লাইন অফ করে দিবে, মনে হয়।
কিন্ত আওয়ামীদের বড় ভরসা হলো নেত্রী, নেত্রী কাউকে পাত্তাই দেয় না; কেরী ফেরীর ফোন হাতে নেয়নি; উহা ম্যাসেজ রেখেই কেটে পরেছে। এক ব্লগার, নেত্রীর ফ্যান হবে বোধ হয়, সেইদিন এক পোস্ট দিয়েছিলেন, পোস্টের অর্থ হলো নেত্রী আমেরিকা, ইউরোপকে গণনাও করে না, আবার তুর্কী ফুর্কি উববুকেরা কিসব প্যান প্যান করে।
এমনিতে সাধরণ বাংগালীদের সাহস বেশী, বাংগালীদের ভয়ে সুন্দর বনের রয়েলে বেংগলরা ভারতে গিয়ে রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়েছে; সেই বাংগালীদের নেত্রী তো আর সাধারণ বাংগালী নয়, ভয় পাবে কাকে?
আসলে, কিন্ত ভয় পাবার কিছু নেই, ভয়ের গল্পগুলো আওয়ামীরা চালু রেখেছে, তাতে অনেক কাজ হয়, দেশ-প্রেমের কাহিনী বড় হয়, ব্যস্ততা বাড়ে, আর জলও ঘোলা হয়। বাংকি মুন, কেরী, ইইউ কাউকে ভয় দেখায় না, ওরা বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন সরকারকে সাপোর্টার সব সময়। আওয়ামীরা রশিকে সাপ বানায়ে পিটায়ে বীর হয় সব সময়; এতে কাজ দেয়, মানুষ ব্যস্ত থাকে।
আপনি কোন বন্ধু থেকে টাকা ধার নেন; টাকা ফেরত দেয়ার ইচ্ছা না থাকলে, ওকে সকাল বিকাল ফোন করে, নতুন নতুন বিপদের কল্প কাহিনী বলতে থাকেন; এতে কাজ হবে; আওয়ামীরা দিনরাত খালি বিপদের কথাই বলে যাচ্ছে, মানুষ বিপদের কথা শুনে শুনে নিজের কথাই ভুলে গেছে।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই মে, ২০১৬ সকাল ৯:৩৯