ট্রাম্পের ভয়ে হিলারীর কাঁপাকাঁপি শুরু হয়ে গেছে; গত কয়েকদিনে হিলারীর কয়েকটি ছোটখাট ইন্টারভিউ নেয়া হয়েছে, সবগুলিতে হিলারী বলে চলেছে যে, সে ট্রাম্পের গালাগালীর উত্তর দেবে না, সে ট্রাম্পের ভয়ে ভীত নয়, ব্লা ব্লা। আসলে, এই কথাগুলোই তার ভয়কে মানুষের সামনে তুলে ধরছে।
সে যদি বলতো যে, ট্রাম্পই রিপাবলিকানদের ক্যান্ডিডেট হবে; ডেমোক্রেটদের ক্যান্ডিডেট হিসেবে, ট্রাম্পের সাথে ডিবেইটে মুখোমুখি হবো; আমি মানুষের সমর্থন নিয়ে, ট্রাম্পের সাথে সব ধরণের প্রতিযোগীতা করে নির্বাচিত হওয়ার জন্য প্রচেস্টা চালিয়ে যাবো; তা'হলে তার কথায় দৃঢ়তা ফুটে উঠতো।
ট্রাম্প এবার আমেরিকান প্রাইমারীকে তৃতীয় বিশ্বের নির্বাচনের স্তরে নিয়ে এসেছে; অবশ্য সে একা নয়, এতে না বুঝে যোগ দিয়েছিল ফ্লোরিডার সিনেটর মার্কো রুবিও; রুবিও নিজে ওবামার বক্তৃতা মুখস্হ করে, প্রথম দিকে বেশ ভাঁজ দিচ্ছিল; একদিন ট্রাম্পের আক্রমণের সামনে রুবিও নিজ মুর্তিতে আবির্ভুত হয়, সে ট্রাম্পকে নিয়ে মুর্খ জোক শুরু করে; সেখানেই উহার শেষ, ট্রাম্পের ক্রমাগত আক্রমনের মুখে, রুবিও নিজের রাজ্যেই পরাজিত হয়ে, নির্বাচন থেকে সরে পড়ে।
হিলারী যদি ট্রাম্পকে কোনভাবেই আক্রমণ করে, হিলারীর পতন হতে সময় লাগবে না; আবার ট্রাম্পকে ভয় পেলে ট্রাম্প সেই সুযোগই নেবে।
আমেরিকায় ডেমোক্রটদের সংখ্যা বেশী; ডেমোক্রেটরা ভোট দিলেই হিলারী হয়ে যায়; সমস্যা কোথায়, ডেমোক্রেটরা তো চুপচাপ ইলেকশানে গেলেই চলে! আসলে সমস্যা আছে, ৫০% মানুষও ভোট দিতে যায় না; এটা কি রিপাবলিকানদের সমস্যা নয়? না, রিপাবলিকানরা অবশ্যই ডেমোদের থেকে শতকরা হারে ভোট বেশী দেয়; এবং এবারের সমস্যা হচ্ছে, কিছু ডেমোও ট্রাম্পকে ভোট দেবে, মনে হচ্ছে।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই জুন, ২০১৬ রাত ২:২০