somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নোবেল পুরস্কার-প্রাপ্ত তিউনিসিয়ান কোয়াট্রেট মডেলের গণতান্ত্রিক প্রতিস্ঠান বাংলাদেশে দরকার।

১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বাংলাদেশের সরকার ও মানুষের মাঝে এ মহুর্তে কোন সম্পর্ক ও বাঁধান নেই; সেটার প্রমাণ হচ্ছে, বিনা ভোটে ১৫২ জন সাংসদের নির্বাচন; আবার বৃহৎ দল বিএনপি'ও মানুষের সাথে কোনভাবে সম্পর্ক রাখেনি; এটার প্রমাণ, খালেদা জিয়ার '৯১ দিনের তান্ডব' এতে মানুষ তো অংশ গ্রহন করেনি, বরং মানুষই পেট্রোল বোমার শিকার হয়েছে; খালেদা জিয়া নিজেই ৯১ দিনের বেশী অফিসে জীবন যাপন করে তান্ডব পরিচালনা করেছে, মানুষ এতে উৎসাহিত হয়নি।

শেখ হাসিনা আমাদের জন্য পুরস্কারের পর পুরস্কার আনছেন, মানুষ উনাকে কোন সংবর্ধনা দেয়নি, দলের লোকেরা দিয়েছে; ক্রিকেটার ফ্রিকাটেরদের নিয়ে এসেছে সংবর্ধনায়; আর নিজের থেকে এসেছে বোধ হয়, লেখক সৈয়দ শামসুল হক।

এগুলো প্রমাণ করছে যে, সরকারসহ কোন রাজনৈতিক দলের সাথে মানুষের রাজনৈতিক বন্ধন নেই; রাজনৈতিক দলগুলোর এজেন্ডা মানুষের এজেন্ডা নয়।

সামরিক সরকারের আমলে ড: ইউনুস একটা রাজনৈতিক দল গঠন করতে গিয়ে পিছু হটে যান; কেন পিছু হটেছেন, সেটা উনি পুরোপুরিভাবে ব্যাখ্যা করেনি; কিন্তু পরে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামাত উনাকে চাপে রেখেছিল, উনি যেন কোন দল গঠন করতে না পারেন; এবং অনেক পরিচিত মুখ উনাকে পরিহাস করেছেন।

ফলে দেখা যাচ্ছে, নতুন কোন রাজনৈতিক দল গঠনও সোজা হচ্ছে না; আওয়ামী লীগ ও বিএনপি চাইবে না যে মাঠে নতুন কেহ আসুক।

এটা ঠিক যে, এখন আওয়ামী লীগ জন সাধারণের স্বার্থের রাজনীতি করছে না; এখন তারা যা করছে, তা মওলানা ভাসানী, শেখ সাহেব, তাজুদ্দিন সাহেবের মনোভাবের রাজনীতি নয়; এটা দলের কিছু লোকের স্বার্থের রাজনীতি; এদের স্বার্থ পুরণের সময়ে ছিটেফোটা মানুষের হাতে আসছে।

বিএনপি সব সময়েই মিলিটারী গোস্টীর রাজনৈতিক প্রতিস্ঠান ছিলো, তাতে কিছু সিভিলিয়ান অভিনেতাও নেয়া হয়েছিল; তারা মানুষের জন্য অভিনয় করে, নিজের পকেট ভারী করেছে; সাথে সাথে দেশে পরগাছা শ্রেণী গড়ে তুলেছে। জামাত বিএনপি'কে কন্ট্রোল করে, আমাদেরকে উনাদের পাকী-আফগান ব্রাদারহুডে নিয়ে গেছে।

এই অপরাজনীতি থেকে বের হতে হলে, তিউনিসিয়ার মডেলে, সমাজের শক্তিশালী গ্রুপগুলোকে একত্রিত হতে হবে; আমাদের সমাজের সবচেয়ে শক্তিশালী গ্রুপ চাষীরা, কিন্তু উনাদের বড়-কলমী করে রেখেছে সরকারগুলো ৪৪ বছর; তারপরও ওখানে এখন সাধারণ ভাবনার মানুষ আছে; পরবর্তী শক্তিশালী গ্রুপ শ্রমিক, তারপর প্রফেশালে গ্রুপ, তারপর শিক্ষকেরা। এই কয়েক গ্রুপকে রাজনৈতিক গ্রুপ হিসেবে গড়ে তুললে, এঁরা দেশের গণতন্তরের মুল রচনা করতে পারবেন।












সর্বশেষ এডিট : ১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৩
৮টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

একটি ছবি হাজার কথা বলে

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৩:৫৩

আগস্টের ৩ তারিখ আমি বাসা থেকে বের হয়ে প্রগতি স্মরণী গিয়ে আন্দোলনে শরিক হই। সন্ধ্যের নাগাদ পরিবারকে নিয়ে আমার শ্বশুর বাড়ি রেখে এসে পরদিনই দুপুরের মধ্যেই রওনা হয়ে যাই। আগস্টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

অদ্ভুতত্ব.....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪৩

অদ্ভুতত্ব.....

আমরা অনিয়ম করতে করতে এমন অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি যে, অনিয়মকেই নিয়ম আর নিয়মকে অনিয়ম মনে হয়। নিয়মকে কারো কাছে ভালো লাগে না, অনিয়মকেই ভালো লাগে। তাই কেউ নিয়ম মাফিক... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের কালো রাজনীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত অধ্যাপক ইউসুফ আলী !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৫৮




অধ্যাপক ইউসুফ আলী মুজিবনগর সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ করেন।

উনি ছিলেন বাংলার অধ্যাপক। ৬২ সালে পূর্ব পাকিস্তান আইনসভার সদস্য হন। ৬৫ সালে পাকিস্তান গণপরিষদের সদস্য,... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। নিজের বানানো টেলিস্কোপ দিয়ে কালপুরুষ নীহারিকার ছবি

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৩৯






ঢাকায় নিজের বাসার ছাদ থেকে কালপুরুষ নীহারিকার ছবি তুলেছেন বাংলাদেশি অ্যাস্ট্রোফটোগ্রাফার জুবায়ের কাওলিন। যে টেলিস্কোপ দিয়ে তিনি এই ছবি তুলেছেন, সেটিও স্থানীয় উপকরণ ব্যবহার... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার দশটা ইচ্ছে

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:৩১



প্রত্যেক রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে মনে হয়-
যদি সকালটাকে দেখতে না পাই। কেউ যদি জিজ্ঞেস করেন, পৃথিবীর সবচেয়ে বিস্ময়কর জিনিস কি? তাহলে বলব মানুষের বেচে থাকা। মরে গেলেই তো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×