শুনেন ডিয়ার পিতা মাতা ,খানিক ফির্যা চান,
আমার বিয়া দিবেন কবে, একবার কয়্যা যান।
কপাল খানি ফাটা আমার নেইকো মনে সুখ,
ঘুমের মইদ্যে ভাইসা উঠে ঐশ্বরিয়ার মুখ।
আমার ক্লাসের জইল্যাও যে করলো বিয়া কাল
আমার সামনে সুন্দরী বউ, লইয়্যা মারে ফাল।
দোস্ত আবুইল্লার কোল জুড়ে আইছে ফুটফুটে পোলা
আমি অধম মুড়ি মাখাইয়া খাইতাছি সিদ্ধ ছোলা।
ময় মুরব্বি দেখলেই এখন সমানে ঠুকি সেলাম
আশায় আছি কেউ বলবে "বাবা মেয়েটা দিলাম "।
কষ্ট চেপে বুকের মাঝে কী-বোর্ড চেপে যাই
ব্লগের পাতায় আছেন আপু, আছেন দুলাভাই।
বইনের কাছে জানাই শুধু, আব্বারে তুই বুঝা
নইলে আমি যামু ভাগি, পাইবিনা আর খুইজা।
আছেন যতো ব্লগার সমাজ দোয়া করেন খালি,
টিকেট কেটে লাইনে খাড়ান,চান যদি মোর শালী।
ব্লগের যতো আপা আছেন ডাকেন মোরে ভাই
ঘটকের বেশে তোমাদের মাঠে দেখতে চাই ।
কোমরে শাড়ি গুজেঁ আর মুখে দিয়ে পান
চেয়ারম্যানের গতি করে তবেই জিরান।
সোনার ভরি যতোই হোক ডরাই নাকো আমি
ত্রিভুবন বউয়ের চাইতে নেইকো কিছু দামী।
বিয়ের খরচ আমিই দেবো ভাবিস নারে বাপ,
তবুও বিয়ে দাওনা কেনো কি করেছি পাপ ?
মেলা দিন তো করলাম সবুর পেকেঁ গেলো চুল
তবু কেনো ফুটেঁ নাকো আমার বিয়ের ফুল ?
ও বাপ তোর কি নাই নাতি-নাতনীর শখ-আহ্লাদ?
আমার দাঁত নড়ে চড়ে , তোরতো ফোকলা দাঁত ।
আর কত কোল বালিশ ধরে চুপিচুপি কাইৎ
এক দফা এক দাবি চাই আন্ধাইর বাসর রাইত।