১৯৭৯ সালে জয় টেম্পেস্ট তার বন্ধু জন নুর্ম কে নিয়ে ফোর্স নামে একটা হার্ডরক গানের দল গঠন করেন। তখন জয় টেম্পেস্ট গানের পাশা পাশি কি বোর্ডও বাজাতো আর জন নুর্ম ছিলেন লিড গিটারের দায়িত্বে। প্যাকটিসপ্যাড ভাড়া করে তারা অন্যদের গান কাভার করা শুরু করেন। এ সম্পর্কে জয় টেম্পেস্ট বলেন - "আমরা আসলে গান শেখার জন্য আর ইন্সট্রুমেন্ট গুলো ঠিক মতো বাজানোর জন্যই দলটি গঠন করেছিলাম।"
গানের জগতে কিছুটা পাকা পোক্ত হবার পরে তারা নিজেদের লিখা গান গাওয়া শুরু করেন এবং কিছু ডেমো রেকর্ডিং করে রেকর্ড কোম্পানিকে শুনতে দেন। তাদের গান শুনে প্রডিউসার বলেন -
"তোমরা ভালো গান গাও, তবে তোমাদের গান পাবলিস্ড করতে হলে সুইডিশ ভাষায় গান গাইতে হবে এবং তোমাদের বাবড়ি চুল কেটে ভদ্রভাবে আসতে হবে"
১৯৮২ সালে টেম্পেস্ট গার্লফ্রেন্ড ফোর্সএ যোগদেন, তারা সুইডিশ রক ট্যেলেন্ট কন্টেস্ট "রক-এসএম" এ অংশ গ্রহন করে ৪০০০ ব্যান্ডের মধ্যে "ইন দ্যা ফিউচার টু কাম" এবং "দি কিং উইল রিটার্ন" গান দুটি গেয়ে জাজদের মনে জায়গা করে নেন।
ভিডিও- রক-এসএম কন্টেস্টে ফোর্স
টেম্পেস্ট ব্যক্তিগত ভাবে বেস্ট লিড সিংগার এবং জন নুর্ম বেস্ট গিটারিস্ট এওয়ার্ড পান। তারা দলেন নাম ফোর্সএ বদলে ইউরোপ নামে নিজেদেরকে প্রকাশ করেন। তখন ব্যান্ডের লাইন আপে ছিলোঃ
জয় টেম্পেস্ট - লিড ভোকাল এবং কি বোর্ড
জন নুর্ম - লিড গিটার
পিটার অলসন - বেইজ গিটার
টনি রিনো - ড্রামস

(ইউরোপ - লাইনআপ ১৯৮৬)
পরের বছর, অর্থাৎ ১৯৮৩ সালে তারা সেল্ফ টাইটেল্ড এলবাম "ইউরোপ" বের করেন। এলবামটি খুব অল্প সময়ের মধ্যেই সুইডেন আর জাপানে খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠে। এই এলবামের উল্লেখযোগ্য গান হলোঃ
সেভেন ডোর্স হোটেল
ওয়ার্স ওব উইসডম
.jpg)
(ইউরোপ এলপি কভার - রিলিজঃ ২৪ ফেব্রুয়ারী, ১৯৮৩)
এর পরে ১৯৮৪ সালে সিবিএস রেকর্ডস তাদের "উইংস অফ টুমোরো" এলবামটি রিলিজ করে। উল্লেখ যোগ্য গান গুলো হলো
১) স্টোর্মউইন্ড
২) ওপেন ইউর হার্ট
৩) উইংস অফ টুমোরো
৪) ড্রিমার
৫)লাইং আইস
এর মধ্যে ওপেন ইউর হার্ট গানটি তরুন প্রজন্মের কাছে খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠে।
এই এলবামটি সম্পর্কে জয় টেম্পেস্ট বলেন -
"এলবামটি আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপুর্ন, কারন এটা রিলিজ করার পরে আমর আমরা বুঝতে পারি, আমরা আস্তে আস্তে গান লিখা এবং গান গাওয়া শিখতে শুরু করেছি।"
এই সময় মাইক মিখাইল ব্যান্ডে যোগদেন আর টেম্পেস্ট কি বোর্ডের দায়িত্ব তার হাতে ছেরে দিয়ে গান গাওয়ার দিকে আরো মনোযোগী হন। কিন্তু ব্যান্ডের সকল সদস্য যখন মনপ্রান দিয়ে রিহার্সেলে ব্যস্ত, তখন তাদের ড্রামার টনি চরম বেপরোয়া হয়ে উঠেন এবং নিয়মিত রিহার্সেল ফাঁকি দেওয়া শুরু করেন। বাধ্য হয়ে তাকে দল থেকে বহিস্কার করা হয় এবং তার জায়গাতে আয়েন হিউজল্যান্ড ড্রাম্সের স্টিক হাতে তুলে নেন।
এর পরে ১৯৮৫ সালে প্রথমবারের মতো তারা "অন দ্যা লুজ" সিনেমার জন্য "রক দ্যা নাইট" গানটি গেয়ে হাজার কোটি শ্রোতার মন জয় করে নেন। ইথোপিয়ার দুর্ভিক্ষপীরিতদের জন্যও তারা বিভিন্ন চ্যারেটী প্রোগ্রামে অংশ নেন সেই বছর।
এর পরে ১৯৮৬ সালে দি ফাইনাল কাউন্টডাউন এলবামটি রিলিজ হবার পরে তাদের সুনাম ইউরোপ ছেরে গোটা বিশ্বে ছরিয়ে পরে। দি ফাইনাল কাউন্টডাউন গানটি এখোনো বিভিন্ন স্পোর্টিং ইভেন্টে, নতুন বর্ষের শুরুতে এমনকি সেলফোনের রিংটোন হিসেবে শুনা যায়।
বলিউডের মিউজিক প্রডিউসার "মেনে পেয়ার কি য়া" ছবিতে এই গানের ইন্ট্রো মিউজিকটি কপি করেন......সম্ভবত এই কারনে বাংলাদেশের গ্রাম গন্জের মানুযের কাছেও গানের সুরটি খুব পরিচিত।
এছাড়া এই এলবামের উল্লেখযোগ্য গান গুলো হলো
১)কেরি
২)রক দি নাইট
৩)চেরোকি
৪)নিন্জা
৫)লাভ চেইসার
৬)টাইম হেজ কাম
দি ফাইনাল কাউন্টডাউন এলবামটি বের হবার পরে একটা দুর্ঘটনা ঘটে - নুর্ম ইউরোপ ব্যান্ড ছেরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। কারন হিসেবে তিনি বলেন -
"কিবোর্ড নির্ভর এই ব্যান্ডে কাজ করে মজা পাচ্ছিলাম না, এটাকে এখন আমার চুইংগাম চিবানো বাচ্চাদের ব্যান্ড বলেই মনে হচ্ছে, আমি আরো ভালো কিছু করতে চাই"
তার বদলে কি মার্সেলো ইউরোপের জন্য গিটার হাতে তুলে নেন।
তকে সাথে নিয়ে ১৯৮৮ সালে তারা বের করেন "আউট ওফ দিস ওয়ার্ড" এলবামটি। এতে স্হান পায় বিভিন্ন সময়ে তাদের রিলিজ পাওয়া কিছু সিংগেল্স যেমন
১)টুমোরো
২)মোর দেন মিট দি আইস
৩)ওপেন ইউর হার্ট (পার্ট ২)
এর পরে তারা ডেফ লেপার্ড, বন জভি, টেসলা,নির্ভানা, সাউন্ডগার্ডেন, মেটালিকা, স্কিড রো ইত্যাদির মতো বড় বড় ব্যান্ডের সাথে বিভিন্ন বিগ গিগে (বড় কন্সার্ট) অংশ নিতে শুরু করে।
১৯৯১ সালে তারা প্রিজেনার ওব প্যারাডাইস রিলিজ করেন।
২ অক্টবর ২০০৩ সালে তারা আবার পুরাতন লাইনাপ অনুযায়ী অফিসিয়ালি রিউনিয়নের ঘোষনা দেন এবং ওয়ার্ল্ডটুর করেন।

এর পরে জন নুর্ম কে সাথে নিয়ে ২০০৪ সালে স্টার্ট ফ্রম ডার্ক এবং ২০০৬ সালে সিক্রেট সোসাইটি এলবাম দুটি রিলিজ করেন। বর্তমানে তারা লাস্ট লুক এট ইডেন এলবামের কজে ব্যস্ত আছেন.....এই বছরের সেপ্টেম্বর-অক্টবরের দিকে এলবামটি রিলিজ হওয়ার কথা আছে।
ব্যক্তিগত জীবনে ব্যান্ডের প্রতিটি সদস্যই জিবনের কোন না কোন সময় সুইডেনে থেকেছেন।
জয় টেম্পেস্ট:

১৯ অগাস্ট ১৯৬৩ সালে স্টকহোমে তার জন্ম। ছোটোবেলা থেকেই লেড জেপলিন ছিলো তার আদর্শ। ভোকালের পাশাপাশি তিনি কিবোর্ড এবং গিটারও বাজাতে পারেন। তিনি দি ফাইনাল কাউন্টডাউন এবং কেরী এই দুটি গানের লিরিক্স লিখেছেন। অবশ্য নুর্ম এই দুইটি গানের কো রাইটার হিসেবে কাজ করেছিলেন।

(টেম্পেস্ট এবং লিসা)
বর্তমানে তিনি ইংল্যান্ডে তার স্ত্রী লিসা ও একমাত্র ছেলে জেমস জোকিম কে নিয়ে বসবাস করছেন।
জন নুর্ম:

২৩ ফেব্রুয়ারী ১৯৬৪ সালে তিনি নরওয়েতে জন্মান, তবে তিনি বড় হন সুইডেনে। টেম্পেস্টের সাথে তিনি ইউরোপের কো-ফাউন্ডার এবং লিড গিটারিস্ট হিসেবে কাজ করেন। ইউরোপের পাশা পাশি তার সলো এলবামও আছে। তাছাড়া তিনি ডোকেন সহ আরো কিছু হার্ডরক ব্যান্ডের হয়েও কাজ করেন। ২০০০ সালের পরে তিনি কিছুদিন আমেরিকায় বসবাস করেন। সেখানে তার সাথে পরিচয় হয় হেভিমেটাল ব্যান্ড মিলড্রামের লিড গিটারিস্ট মাইকেল মিলড্রামের সাথে। পরে তাদের বিয়ে হয়। ২১ মে ২০০৮ সালে মস্তিস্কে রক্তক্ষরনের ফলে মিলড্রাম মারা জান।
জন লিভিন:

২৫ অক্টবর ১৯৬৩ সালে স্টকহোমে তিনি জন্মান। ১৯৮১ সালে তিনি বেইজ গিটারিস্ট হিসেবে ব্যান্ডে যোগ দেন এবং এখন পর্যন্ত টেম্পেস্ট এবং লিভিন এই দুইজনই ইউরোপের সবকটি স্টুডিও এলবামে কাজ করেন। তার অনুপ্রেরনায়ই দি ফাইনাল কাউন্টডাউন গানটির জন্ম হয়। ইউরোপ ছাড়াও তিনি বিভিন্ন সময় ব্ল্যাকসাবাত, ডিপ পার্পেল সহ বেশ কিছু ব্যান্ডে কাজ করেন।
মিক মিখাইল:

১১ নভেম্বর ১৯৬২ সালে স্টকহোমে তার জন্ম। ১৯৮৪ সালে তিনি টেম্পেস্টের বদলে ইউরোপের কিবোর্ডিস্ট হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্ত হন। তিনি হিট ব্যালেড "কেরী" গানটির কো-রাইটার হিসেবেও কাজ করেন। তিনিও লিভিনের সাথে ব্ল্যাকসাবাত, ডিপ পার্পেলের সাথে কাজ করেন। স্ত্রীর সাথে ছারাছারি হয়ে যাওয়ার পরে এখন তিনি তার তিন সন্তান মার্কাস, মো এবং মাটিল্ডাকে নিয়ে স্টকহোমেই আছেন।
আয়েন হিউজল্যান্ড:

১৩ অগাস্ট ১৯৬৩ সালে নরওয়েতে তার জন্ম। তার বয়স যখন মাত্র ৮ মাস, তখন তার বাবা মা সুইডেনে চলে আসেন। ১৯৮৪ সালে টনির বদলে তাকে ইউরোপের ড্রামস বাদক হিসেবে নেওয়া হয়। ইউরোপ ছারাও তিনি বিভিন্ন সময়ে মামস্টিনের দলে ড্রামস বাজিয়েছেন। বর্তমানে তিনি তার স্ত্রী মারিটা এবং তিন সন্তান - মিমন, জেনি, নিনা কে নিয়ে সুইডেনেই বসবাস করছেন।
আজ থেকে ২৩ বছর আগে, ঠিক এই দিনটিতে, অর্থাৎ মে ২৬, ১৯৮৬ সালে - ইউরোপ যখন তাদের দি ফাইনাল কাউন্টডাউন গানটি রিলিজ করে.....সারা বিশ্বে তাদেরকে নিয়ে রীতিমতো হৈচৈ পরে যায়। খুব অল্প সময়ের মধ্যে গানটি আমেরিকায় ট্রিপল প্লাটিনাম সার্টিফিকেট পেয়ে যায় এবং বিলবোর্ড ২০০ চার্টে ৮ নম্বর অবস্হানে চলে আসে। মুলত তাদের গান শুনেই আমি ব্যক্তিগতভাবে হার্ডরক শুনা শুরু করি।
১৯৭৯ সালে জয় টেম্পেস্ট তার বন্ধু জন নুর্ম কে নিয়ে ফোর্স নামে একটা হার্ডরক গানের দল গঠন করেন। তখন জয় টেম্পেস্ট গানের পাশা পাশি কি বোর্ডও বাজাতো আর জন নুর্ম ছিলেন লিড গিটারের দায়িত্বে। প্যাকটিসপ্যাড ভাড়া করে তারা অন্যদের গান কাভার করা শুরু করেন। এ সম্পর্কে জয় টেম্পেস্ট বলেন - "আমরা আসলে গান শেখার জন্য আর ইন্সট্রুমেন্ট গুলো ঠিক মতো বাজানোর জন্যই দলটি গঠন করেছিলাম।"
গানের জগতে কিছুটা পাকা পোক্ত হবার পরে তারা নিজেদের লিখা গান গাওয়া শুরু করেন এবং কিছু ডেমো রেকর্ডিং করে রেকর্ড কোম্পানিকে শুনতে দেন। তাদের গান শুনে প্রডিউসার বলেন -
"তোমরা ভালো গান গাও, তবে তোমাদের গান পাবলিস্ড করতে হলে সুইডিশ ভাষায় গান গাইতে হবে এবং তোমাদের বাবড়ি চুল কেটে ভদ্রভাবে আসতে হবে"
১৯৮২ সালে টেম্পেস্ট গার্লফ্রেন্ড ফোর্সএ যোগদেন, তারা সুইডিশ রক ট্যেলেন্ট কন্টেস্ট "রক-এসএম" এ অংশ গ্রহন করে ৪০০০ ব্যান্ডের মধ্যে "ইন দ্যা ফিউচার টু কাম" এবং "দি কিং উইল রিটার্ন" গান দুটি গেয়ে জাজদের মনে জায়গা করে নেন।
ভিডিও- রক-এসএম কন্টেস্টে ফোর্স
টেম্পেস্ট ব্যক্তিগত ভাবে বেস্ট লিড সিংগার এবং জন নুর্ম বেস্ট গিটারিস্ট এওয়ার্ড পান। তারা দলেন নাম ফোর্সএ বদলে ইউরোপ নামে নিজেদেরকে প্রকাশ করেন। তখন ব্যান্ডের লাইন আপে ছিলোঃ
জয় টেম্পেস্ট - লিড ভোকাল এবং কি বোর্ড
জন নুর্ম - লিড গিটার
পিটার অলসন - বেইজ গিটার
টনি রিনো - ড্রামস

(ইউরোপ - লাইনআপ ১৯৮৬)
পরের বছর, অর্থাৎ ১৯৮৩ সালে তারা সেল্ফ টাইটেল্ড এলবাম "ইউরোপ" বের করেন। এলবামটি খুব অল্প সময়ের মধ্যেই সুইডেন আর জাপানে খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠে। এই এলবামের উল্লেখযোগ্য গান হলোঃ
সেভেন ডোর্স হোটেল
ওয়ার্স ওব উইসডম
.jpg)
(ইউরোপ এলপি কভার - রিলিজঃ ২৪ ফেব্রুয়ারী, ১৯৮৩)
এর পরে ১৯৮৪ সালে সিবিএস রেকর্ডস তাদের "উইংস অফ টুমোরো" এলবামটি রিলিজ করে। উল্লেখ যোগ্য গান গুলো হলো
১) স্টোর্মউইন্ড
২) ওপেন ইউর হার্ট
৩) উইংস অফ টুমোরো
৪) ড্রিমার
৫)লাইং আইস
এর মধ্যে ওপেন ইউর হার্ট গানটি তরুন প্রজন্মের কাছে খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠে।
এই এলবামটি সম্পর্কে জয় টেম্পেস্ট বলেন -
"এলবামটি আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপুর্ন, কারন এটা রিলিজ করার পরে আমর আমরা বুঝতে পারি, আমরা আস্তে আস্তে গান লিখা এবং গান গাওয়া শিখতে শুরু করেছি।"
এই সময় মাইক মিখাইল ব্যান্ডে যোগদেন আর টেম্পেস্ট কি বোর্ডের দায়িত্ব তার হাতে ছেরে দিয়ে গান গাওয়ার দিকে আরো মনোযোগী হন। কিন্তু ব্যান্ডের সকল সদস্য যখন মনপ্রান দিয়ে রিহার্সেলে ব্যস্ত, তখন তাদের ড্রামার টনি চরম বেপরোয়া হয়ে উঠেন এবং নিয়মিত রিহার্সেল ফাঁকি দেওয়া শুরু করেন। বাধ্য হয়ে তাকে দল থেকে বহিস্কার করা হয় এবং তার জায়গাতে আয়েন হিউজল্যান্ড ড্রাম্সের স্টিক হাতে তুলে নেন।
এর পরে ১৯৮৫ সালে প্রথমবারের মতো তারা "অন দ্যা লুজ" সিনেমার জন্য "রক দ্যা নাইট" গানটি গেয়ে হাজার কোটি শ্রোতার মন জয় করে নেন। ইথোপিয়ার দুর্ভিক্ষপীরিতদের জন্যও তারা বিভিন্ন চ্যারেটী প্রোগ্রামে অংশ নেন সেই বছর।
এর পরে ১৯৮৬ সালে দি ফাইনাল কাউন্টডাউন এলবামটি রিলিজ হবার পরে তাদের সুনাম ইউরোপ ছেরে গোটা বিশ্বে ছরিয়ে পরে। দি ফাইনাল কাউন্টডাউন গানটি এখোনো বিভিন্ন স্পোর্টিং ইভেন্টে, নতুন বর্ষের শুরুতে এমনকি সেলফোনের রিংটোন হিসেবে শুনা যায়।
বলিউডের মিউজিক প্রডিউসার "মেনে পেয়ার কি য়া" ছবিতে এই গানের ইন্ট্রো মিউজিকটি কপি করেন......সম্ভবত এই কারনে বাংলাদেশের গ্রাম গন্জের মানুযের কাছেও গানের সুরটি খুব পরিচিত।
এছাড়া এই এলবামের উল্লেখযোগ্য গান গুলো হলো
১)কেরি
২)রক দি নাইট
৩)চেরোকি
৪)নিন্জা
৫)লাভ চেইসার
৬)টাইম হেজ কাম
দি ফাইনাল কাউন্টডাউন এলবামটি বের হবার পরে একটা দুর্ঘটনা ঘটে - নুর্ম ইউরোপ ব্যান্ড ছেরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। কারন হিসেবে তিনি বলেন -
"কিবোর্ড নির্ভর এই ব্যান্ডে কাজ করে মজা পাচ্ছিলাম না, এটাকে এখন আমার চুইংগাম চিবানো বাচ্চাদের ব্যান্ড বলেই মনে হচ্ছে, আমি আরো ভালো কিছু করতে চাই"
তার বদলে কি মার্সেলো ইউরোপের জন্য গিটার হাতে তুলে নেন।
তকে সাথে নিয়ে ১৯৮৮ সালে তারা বের করেন "আউট ওফ দিস ওয়ার্ড" এলবামটি। এতে স্হান পায় বিভিন্ন সময়ে তাদের রিলিজ পাওয়া কিছু সিংগেল্স যেমন
১)টুমোরো
২)মোর দেন মিট দি আইস
৩)ওপেন ইউর হার্ট (পার্ট ২)
এর পরে তারা ডেফ লেপার্ড, বন জভি, টেসলা,নির্ভানা, সাউন্ডগার্ডেন, মেটালিকা, স্কিড রো ইত্যাদির মতো বড় বড় ব্যান্ডের সাথে বিভিন্ন বিগ গিগে (বড় কন্সার্ট) অংশ নিতে শুরু করে।
১৯৯১ সালে তারা প্রিজেনার ওব প্যারাডাইস রিলিজ করেন।
২ অক্টবর ২০০৩ সালে তারা আবার পুরাতন লাইনাপ অনুযায়ী অফিসিয়ালি রিউনিয়নের ঘোষনা দেন এবং ওয়ার্ল্ডটুর করেন।

এর পরে জন নুর্ম কে সাথে নিয়ে ২০০৪ সালে স্টার্ট ফ্রম ডার্ক এবং ২০০৬ সালে সিক্রেট সোসাইটি এলবাম দুটি রিলিজ করেন। বর্তমানে তারা লাস্ট লুক এট ইডেন এলবামের কজে ব্যস্ত আছেন.....এই বছরের সেপ্টেম্বর-অক্টবরের দিকে এলবামটি রিলিজ হওয়ার কথা আছে।
ব্যক্তিগত জীবনে ব্যান্ডের প্রতিটি সদস্যই জিবনের কোন না কোন সময় সুইডেনে থেকেছেন।
জয় টেম্পেস্ট:

১৯ অগাস্ট ১৯৬৩ সালে স্টকহোমে তার জন্ম। ছোটোবেলা থেকেই লেড জেপলিন ছিলো তার আদর্শ। ভোকালের পাশাপাশি তিনি কিবোর্ড এবং গিটারও বাজাতে পারেন। তিনি দি ফাইনাল কাউন্টডাউন এবং কেরী এই দুটি গানের লিরিক্স লিখেছেন। অবশ্য নুর্ম এই দুইটি গানের কো রাইটার হিসেবে কাজ করেছিলেন।

(টেম্পেস্ট এবং লিসা)
বর্তমানে তিনি ইংল্যান্ডে তার স্ত্রী লিসা ও একমাত্র ছেলে জেমস জোকিম কে নিয়ে বসবাস করছেন।
জন নুর্ম:

২৩ ফেব্রুয়ারী ১৯৬৪ সালে তিনি নরওয়েতে জন্মান, তবে তিনি বড় হন সুইডেনে। টেম্পেস্টের সাথে তিনি ইউরোপের কো-ফাউন্ডার এবং লিড গিটারিস্ট হিসেবে কাজ করেন। ইউরোপের পাশা পাশি তার সলো এলবামও আছে। তাছাড়া তিনি ডোকেন সহ আরো কিছু হার্ডরক ব্যান্ডের হয়েও কাজ করেন। ২০০০ সালের পরে তিনি কিছুদিন আমেরিকায় বসবাস করেন। সেখানে তার সাথে পরিচয় হয় হেভিমেটাল ব্যান্ড মিলড্রামের লিড গিটারিস্ট মাইকেল মিলড্রামের সাথে। পরে তাদের বিয়ে হয়। ২১ মে ২০০৮ সালে মস্তিস্কে রক্তক্ষরনের ফলে মিলড্রাম মারা জান।
জন লিভিন:

২৫ অক্টবর ১৯৬৩ সালে স্টকহোমে তিনি জন্মান। ১৯৮১ সালে তিনি বেইজ গিটারিস্ট হিসেবে ব্যান্ডে যোগ দেন এবং এখন পর্যন্ত টেম্পেস্ট এবং লিভিন এই দুইজনই ইউরোপের সবকটি স্টুডিও এলবামে কাজ করেন। তার অনুপ্রেরনায়ই দি ফাইনাল কাউন্টডাউন গানটির জন্ম হয়। ইউরোপ ছাড়াও তিনি বিভিন্ন সময় ব্ল্যাকসাবাত, ডিপ পার্পেল সহ বেশ কিছু ব্যান্ডে কাজ করেন।
মিক মিখাইল:

১১ নভেম্বর ১৯৬২ সালে স্টকহোমে তার জন্ম। ১৯৮৪ সালে তিনি টেম্পেস্টের বদলে ইউরোপের কিবোর্ডিস্ট হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্ত হন। তিনি হিট ব্যালেড "কেরী" গানটির কো-রাইটার হিসেবেও কাজ করেন। তিনিও লিভিনের সাথে ব্ল্যাকসাবাত, ডিপ পার্পেলের সাথে কাজ করেন। স্ত্রীর সাথে ছারাছারি হয়ে যাওয়ার পরে এখন তিনি তার তিন সন্তান মার্কাস, মো এবং মাটিল্ডাকে নিয়ে স্টকহোমেই আছেন।
আয়েন হিউজল্যান্ড:

১৩ অগাস্ট ১৯৬৩ সালে নরওয়েতে তার জন্ম। তার বয়স যখন মাত্র ৮ মাস, তখন তার বাবা মা সুইডেনে চলে আসেন। ১৯৮৪ সালে টনির বদলে তাকে ইউরোপের ড্রামস বাদক হিসেবে নেওয়া হয়। ইউরোপ ছারাও তিনি বিভিন্ন সময়ে মামস্টিনের দলে ড্রামস বাজিয়েছেন। বর্তমানে তিনি তার স্ত্রী মারিটা এবং তিন সন্তান - মিমন, জেনি, নিনা কে নিয়ে সুইডেনেই বসবাস করছেন।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৪:৩৯