somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অভিনব ‘শিক্ষাসফর’

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:১১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

দিল্লির সুলতান কুতুবউদ্দিন আইবেক আজ থেকে প্রায় এক হাজার বছর আগে কুতুব মিনার বানিয়েছিলেন। প্রায় ২০ তলা সমান উঁচু এই মিনার বানাতে অভিজ্ঞতা নিতে ভারতের বাইরে যেতে হয়নি সে সময়ের প্রকৌশলী বা আমাত্যদের। অথচ এই একবিংশ শতাব্দীর বাংলাদেশে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) তিনটি বহুতল ভবন নির্মাণের অভিজ্ঞতা সংগ্রহে বিদেশে যাচ্ছেন আট কর্মকর্তা। তাঁদের এই অভিজ্ঞতা সংগ্রহের খরচ ধরা হয়েছে ৭৭ লাখ টাকা। কারও কারও অভিজ্ঞতার মূল্য এমনই বিপুল!
চট্টগ্রামের নাসিরাবাদে সিডিএ স্কয়ারে ২০, ২২ ও ২৫ তলা ভবন নির্মাণ প্রকল্প চালু করেছে সিডিএ। এর জন্য সুযোগ রাখা হয়েছে কর্মকর্তাদের ‘শিক্ষাসফরের’। যাচ্ছেন আট কর্মকর্তা, যাঁদের মধ্যে মাত্র একজন প্রকল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। আটজনের চারজন দুই মন্ত্রণালয়ের, আর চারজন সিডিএর প্রকৌশলী। এই চার প্রকৌশলীর তিনজনই আবার দুদকের মামলার আসামি। চাকরির বিধি অনুসারে এই তিনজনের এখন সাময়িক বরখাস্ত (সাসপেন্ড) থাকার কথা। কিন্তু অলিখিত নিয়মই লিখিত নিয়মের থেকে বেশি শক্তিশালী। সেই অদৃশ্য ‘নিয়মে’ শাস্তির বদলে এই তিন কর্মকর্তা যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইতালি ভ্রমণের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন। যাঁরা তাঁদের নির্বাচক তাঁরা ভাবার প্রয়োজনই বোধ করেননি যে এই আটজনের সাতজনেরই প্রকল্পের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্ক নেই। তাহলে তাঁদের অর্জিত অভিজ্ঞতা কী কাজে লাগবে?
বাংলাদেশে এখন ২০ থেকে ২৫ তলা ভবনের সংখ্যা অঢেল। খোদ চট্টগ্রাম নগরেই এ ধরনের বেশ কয়েকটি ভবন সম্প্রতি নির্মিত হয়েছে। ‘ঘর হতে দুই পা ফেলিয়া’ যা দেখা সম্ভব, তা দেখতে মুলুক ঘুরতে যাওয়ার অর্থ আসলে ‘দুর্নীতি’। প্রাথমিক খরচ হিসেবে এ ঘুষে ব্যয় হবে ৭৭ লাখ টাকা। এ টাকা যে সরাসরি কর্মকর্তাদের প্রমোদের কাজে ব্যয় হবে, সে বিষয়ে সন্দেহ করার কারণ নেই। জনগণের করের টাকায় এ রকম ভ্রমণ কেবল স্বেচ্ছাচারিতাই নয়, দুর্নীতির শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
এভাবে বিদেশ ভ্রমণ বা প্রশিক্ষণের নামে ব্যক্তিগত ভোগবিলাসের জন্য সরকারি অর্থ খরচ করা মোটামুটি সাধারণ প্রবণতা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রায়ই বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা অভিজ্ঞতা অর্জনে শিক্ষাসফর ইত্যাদি মেকি কারণ দেখিয়ে বিদেশ সফর করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারকে ফাঁকি দেন। তাঁদের লজ্জা হওয়া উচিত, তাঁদের শাস্তি দেওয়া উচিত।



প্রথম আলো- সম্পাদকীয় ২০-১২-২০১২
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কমলার জয়ের ক্ষীণ ১টা আলোক রেখা দেখা যাচ্ছে।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:১৮



এই সপ্তাহের শুরুর দিকের জরীপে ৭টি স্যুইংষ্টেইটের ৫টাই ট্রাম্পের দিকে চলে গেছে; এখনো ট্রাম্পের দিকেই আছে; হিসেব মতো ট্রাম্প জয়ী হওয়ার কথা ছিলো। আজকে একটু পরিবর্তণ দেখা... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৪



সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪১





বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারত থেকে শেখ হাসিনার প্রথম বিবৃতি, যা বললেন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩২



জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২ নভেম্বর) বিকালে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এটি পোস্ট করা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার... ...বাকিটুকু পড়ুন

=বেলা যে যায় চলে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯



রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।

সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×