somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

স্বাধীনতার মাসে বাঙালীর আরেকটি বিজয়

১৫ ই মার্চ, ২০১২ সকাল ১০:৫০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা বিরোধ মামলায় বাংলাদেশের পক্ষে রায় দিয়েছেন সমুদ্র আইন-সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল (ইটলস)। গতকাল বুধবার জার্মানির হামবুর্গে ট্রাইব্যুনাল এ রায় দেন। ফলে উপকূল থেকে ২০০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত সমুদ্রসীমায় বাংলাদেশের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হলো। সমুদ্রসীমা বিরোধ নিয়ে ভারতের সঙ্গে অপর একটি মামলা রয়েছে বাংলাদেশের। জানা গেছে, এ মামলার রায় হতে পারে আগামী বছর।
ইটলস রায়ে বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের ন্যায্যতাভিত্তিক সমুদ্রসীমার দাবি সমুন্নত রেখেছেন। এর ফলে বঙ্গোপসাগরে ২০০ নটিক্যাল মাইল অর্থনৈতিক এলাকায় এবং এর বাইরে মহীসোপান এলাকায় বাংলাদেশের নিরঙ্কুশ অধিকারের আইনগত স্বীকৃতি মিলল। এ রায়ের মধ্য দিয়ে বঙ্গোপসাগরের জলরাশি এবং তলদেশের সম্পদরাজিতে (তেল-গ্যাসসহ সামুদ্রিক সম্পদ) বাংলাদেশের সার্বভৌম অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। একই সঙ্গে গভীর সমুদ্রে তেল-গ্যাসের জন্য ব্লক ইজারা-জটিলতারও অবসান হবে। রায় বাংলাদেশের পক্ষে আসায় প্রধানমন্ত্রী খুশি হয়েছেন। রায়ে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি রায়কে ঐতিহাসিক হিসেবে আখ্যা দিয়ে বলেছেন, এটি
একটি অবিস্মরণীয় দিন।
হামবুর্গে ইটলসের প্রধান আদালত কক্ষে স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১১টায় (বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৪টায়) বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সমুদ্রসীমা নির্ধারণ নিয়ে বিচার কার্যক্রম শুরু হয়। এ আদালত কার্যক্রমে সভাপতিত্ব করেন বিচারক জোসে লুইস জেসাস। তিনি ১৫১ পৃষ্ঠার রায়টি পড়ে শোনান।
এই রায় প্রদান অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও ডেপুটি এজেন্ট অতিরিক্ত পররাষ্ট্র সচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মোহাম্মদ খুরশেদ আলম (জাতিসংঘ সমুদ্র আইনের আওতায় পরিচালিত কার্যক্রমে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি)। এ ছাড়া বাংলাদেশের পক্ষে নিযুক্ত ব্রিটিশ অ্যাটর্নি জেমস ক্রফর্ড, ফিলিপ স্যান্ডস ও অ্যালান বয়েল, যুক্তরাষ্ট্রের পল রিখলার ও লরেন্স মার্টিন এবং কানাডার পায়াম আখাভান। অন্যদিকে মিয়ানমারের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সে দেশের অ্যাটর্নি জেনারেল তুন শিন। এ ছাড়া ডেপুটি এজেন্টস হিসেবে ফ্রান্সের অ্যালান পিলেট এবং ম্যাথাইস ফর্তিও, ব্রিটিশ আ্যাটর্নি স্যার মাইকেল উড ও যুক্তরাষ্ট্রের কোয়ালটার ল্যাথরপ।
২০০৯ সালের ৮ অক্টোবর মিয়ানমারের বিপক্ষে জার্মানির হামবুর্গের ইটলসে দু'দেশের মধ্যে সমুদ্রসীমা নির্ধারণ বিষয়ে একটি মামলা দায়ের করে বাংলাদেশ। ২৩ সদস্যবিশিষ্ট ট্রাইব্যুনাল বুধবার মিয়ানমারের প্রস্তাবিত সমদূরত্ব পদ্ধতি, যা বাংলাদেশের সমুদ্র এলাকাকে ১৩০ নটিক্যাল মাইলের মধ্যে সীমাবদ্ধ করে দেয়, তা প্রত্যাখ্যান করে ন্যায্যতার ভিত্তিতে দু'দেশের সমুদ্রসীমা চূড়ান্তভাবে নির্ধারণ করে দেন।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, হামবুর্গে শুনানি শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, 'এ দিনটি বাংলাদেশের জন্য একটি আনন্দের দিন।' যে রায়টি হয়েছে তা চূড়ান্ত। এখানে কোনো আপত্তি জানানো যাবে না। অর্থাৎ এখানে আপিল করার কোনো সুযোগ নেই। তিনি বলেন, 'আমাদের সব কৌশলগত লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে।'
দীপু মনি বলেন, এ রায় উভয় দেশের জন্যই বিজয়। কারণ আন্তর্জাতিক আইনে সমস্যার সমাধান শান্তিপূর্ণভাবে হয়েছে; যে সমস্যাটি গত তিন দশক ধরে উভয় দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ক্ষতির কারণ হিসেবে চিহ্নিত ছিল। মিয়ানমারকে ধন্যবাদ জানাই, তারা আইনি পথেই সমস্যার সমাধান চেয়েছেন এবং ট্রাইব্যুনালের রায় মেনে নিয়েছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ইটলস এবং এর বিচারকদের অভিজ্ঞতা, নিরপেক্ষতা এবং যোগ্যতায় আমরা খুবই খুশি। দু'বছরের মধ্যে এ মামলার রায় হওয়াটা নজিরবিহীন হিসেবে বর্ণনা করেন তিনি।
সমুদ্রসীমা নিয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে ২০০৮ সালে সাগরে একবার যুদ্ধ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। বাংলাদেশের সেন্টমার্টিনের অদূরে বাংলাদেশের দাবি করা সীমানায় মিয়ানমার তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য রিগ জাহাজ আনে। বাংলাদেশ এর প্রতিবাদ করলে মিয়ানমার সেখানে যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করে। পাল্টা বাংলাদেশও চারটি যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করে সেখানে। তবে উল্লেখযোগ্য কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। দু'দেশ আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
তিন দশকের বেশি সময় ধরে প্রতিবেশী মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমার বিরোধ নিষ্পত্তি না হওয়ায় ২০০৯ সালের অক্টোবরে আন্তর্জাতিক সালিশি আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। এরপর এ বিরোধ নিষ্পত্তিতে ইটলসের বিচারিক এখতিয়ার মেনে নিতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে বিশেষ মতৈক্য হয়। ইটলসের ১৬তম মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়। ২০১০ সালের ১ জুলাই বাংলাদেশ নিজের পক্ষে সব দালিলিক প্রমাণ আদালতে উপস্থাপন করে। মিয়ানমার তাদের প্রমাণ জমা দেয় সে বছরের ১ ডিসেম্বর। মিয়ানমারের দাবির বিপক্ষে বাংলাদেশ বক্তব্য উপস্থাপন করে ২০১১ সালের ১৫ মার্চ। আর বাংলাদেশের যুক্তির বিপক্ষে মিয়ানমার তাদের বক্তব্য তুলে ধরে ২০১১ সালের ১ জুলাই।
যেভাবে আন্তর্জাতিক আদালতে যাওয়া : ২০০৯ সালের ৮ সেপ্টেম্বর ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে যে বিরোধ রয়েছে তা নিষ্পত্তির জন্য জাতিসংঘের সালিশ আদালতে নালিশ জানানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে বাংলাদেশ। ওইদিন দুপুরে ঢাকায় তৎকালীন ভারতের হাইকমিশনার পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তী ও মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত ফায়ে থান উ'কে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডেকে এনে তাদের কাছে আরবিটারি ট্রাইব্যুনালে (সালিশ আদালত) যাওয়ার নোটিফিকেশন হস্তান্তর করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
বাংলাদেশ জাতিসংঘ সালিশ আদালতে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়ার পর মিয়ানমার দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় আগ্রহ দেখায়। আলোচনার এক পর্যায়ে মিয়ানমারকে বেশ ইতিবাচক মনে হওয়ায় উভয় দেশ সমুদ্রসীমা নির্ধারণের বিষয়টি জাতিসংঘ সালিশ আদালত থেকে সরিয়ে এনে জাতিসংঘের সমুদ্র আইন বিষয়ক আন্তর্জাতিক আদালত ইটলসের কাছে হস্তান্তর করে। ইটলসের বিচার প্রক্রিয়ায় বিরোধের সঙ্গে জড়িত কোনো পক্ষের অর্থ ব্যয় করতে হয় না। মিয়ানমার ইন্টারন্যাশনাল ট্রাইব্যুনাল ফর ল' অব দ্য সিতে যেতে চায়। বাংলাদেশও এতে সম্মত হয়। ভারতকেও আসতে বলা হয়। জার্মানি, ডেনমার্ক ও নেদারল্যান্ডস যেভাবে সমস্যার সমাধান করেছিল, সেভাবে তিনটি দেশ একযোগে সমুদ্রসীমা নিষ্পত্তি করার চিন্তাভাবনা করে। ভারত তাতে রাজি হয়নি। এ জন্য আদালত হয়ে যায় দুটো। মিয়ানমারের সঙ্গে হলো ট্রাইব্যুনাল আর ভারতের সঙ্গে থেকে গেল হেগের পারমান্যান্ট কোর্ট অব আরবিট্রেশন।
বাংলাদেশ সমুদ্র আইনের 'ন্যায়সঙ্গত' ধারার আওতায় সুরাহা চেয়েছে আগে থেকেই। ন্যায়সঙ্গত প্রক্রিয়ায় সমুদ্রসীমা নির্ধারণে আইনে কোনো সূত্র নেই। সে কারণে একটা 'বাই সেক্টর' পদ্ধতি অনুসরণের কথা বলে বাংলাদেশ। যেমন বাংলাদেশ ও মিয়ানমার থেকে দুটি কোস্ট লাইন নেওয়া হয়। এ অ্যাঙ্গলটা ভাগ করার নাম বাই সেক্টর। হন্ডুরাস ও নিকারাগুয়ার সমস্যা এভাবে সমাধান করা হয়েছে। তাতে বাংলাদেশ ২০০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত যেতে পারবে।
শুনানিতে মিয়ানমার যা বলেছে : মিয়ানমার পক্ষ বলে, সেন্টমার্টিন একটি দ্বীপ এবং মিয়ানমার একটি মূল ভূখ । সুতরাং দ্বীপ আর ভূখ একই গুরুত্ব বহন করে না। তাই এখন তারা বাংলাদেশকে ১২ মাইল নয়, ছয় মাইল দিতে চায়। বাংলাদেশ এটা মেনে নেয়নি।
জবাবে বাংলাদেশ বলেছে, তাদের কাছে কিছুতেই সমদূরত্ব পদ্ধতি গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। বিচারকরা সমদূরত্ব পদ্ধতি স্থির করলে বাংলাদেশের বিরাট ক্ষতি হবে। বাংলাদেশ খুবই আশাবাদী যে, ১৯৮২ সালের জাতিসংঘ সমুদ্র আইনের আওতায় 'ন্যায়সঙ্গত পদ্ধতিতে এর মীমাংসা হবে।' ইটলসের দেওয়া রায় মানা বাধ্যতামূলক। এ রায় চূড়ান্ত। এর বিরুদ্ধে আর কোনো আপিলও চলবে না।
শুনানিতে বাংলাদেশ যা বলেছে : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্রগুলো জানায়, গত সেপ্টেম্বরে হামবুর্গে সমুদ্র আইন বিষয়ক আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে প্রায় দুই সপ্তাহের শুনানিতে মহীসোপান ও ২শ' নটিক্যাল মাইলের বিশেষ অর্থনৈতিক জোন (ইইজেড) নির্ধারণ ন্যায্যতা নীতির ভিত্তিতে হওয়ার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করে বাংলাদেশ। ব্রিটিশ বারের সদস্য প্রফেসর ফিলিপ স্যান্ডস, যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট বারের সদস্য লরেন্স মার্টিন ফোলে হগ ও একই বারের সদস্য পল রিচলার বাংলাদেশের পক্ষে এ যুক্তি তুলে ধরেন। তারা যুক্তরাষ্ট্র, আফ্রিকা, ক্যারাবিয়ান ও ইউরোপের সমুদ্রসীমা বিরোধের বিভিন্ন তথ্য, কেস ল' ও আগের বিচারের রায়ের নজির দিয়ে এ যুক্তি তুলে ধরেন। ইজেড ও মহীসোপানের জন্য উপযোগী আন্তর্জাতিক আইনের নিয়মবিধি তুলে ধরেন প্রফেসর স্যান্ডস। প্রফেসর স্যান্ডস সাম্প্রতিক সময়ের দুটি কেস_ নিকারাগুয়া বনাম হন্ডুরাস এবং গিনি/গিনিবিসাউ কেসের সমাধানের বিষয়টি উদাহরণ হিসেবে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের ক্ষেত্রে উপযুক্ত বলে উল্লেখ করেন। যেখানে ন্যায্যতা ভিত্তিতে বিরোধ নিষ্পত্তিতে 'অ্যাঙ্গল বাই-সেক্টর মেথড' ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে। আইন ব্যবহারের আগে বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থানকে বিবেচনায় নেওয়ার জন্য আদালতের প্রতি অনুরোধ জানান প্রফেসর স্যান্ডস। ব্যারি মার্টিন তার বক্তব্যে কেন বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে সমুদ্রসীমা নির্ধারণের ক্ষেত্রে সমদূরত্ব নীতি উপযুক্ত নয় তার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন। তিনি নজির হিসেবে নর্থ সি, গিনি/গিনিবিসাউ, সেনেগাল/গাম্বিয়া, ডমিনিকা/ফ্রান্স, ফ্রান্স/মোনাকা এবং মালয়েশিয়া/ব্রুনাই_ এসব ক্ষেত্রে সমুদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তির বিষয়টি তুলে ধরেন। এসব ক্ষেত্রে সমদূরত্ব নীতির প্রয়োগ হয়নি।
পেছনের কথা : ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ প্রথম সংসদে টেরিটরিয়াল ওয়াটার ও মেরিটাইম জোনস অ্যাক্ট পাস করে। তখন ভারত ও মিয়ানমার বিশেষ করে বাংলাদেশের ঘোষিত বেইজ লাইনের বিষয়ে প্রতিবাদ করে।
১৯৭৪ সালেই মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা হয়। এতে কিছু অগ্রগতি ঘটে। এরপর ১৯৭৫ থেকে ১৯৮৬ সালের মধ্যে সাত-আটবার আলোচনা হয়েছে, কিন্তু কোনো অগ্রগতি হয়নি। ১৯৮৬ সালের পর ২২ বছর সমুদ্রসীমা নিয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে আর কোনো আলোচনা হয়নি। এরপর নতুন করে আলোচনা শুরু হয় ২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসে সে আলোচনার ধারাবাহিকতা বজায় রাখে।
প্রধানমন্ত্রী খুশি : মামলার রায় বাংলাদেশের পক্ষে যাওয়ায় রীতিমতো উৎফুল্ল ও খুশি হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার এ রায়ের খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, শেখ হাসিনা আজ বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাতে পারেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য : টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে হামবুর্গ থেকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি সমকালকে জানান, আজকের দিনটি বাংলাদেশ ও তার জনগণের জন্য অত্যন্ত আনন্দের দিন। ঐতিহাসিক দিন। আমরা যে চেয়েছি, তাই পেয়েছি। আমরা যে ন্যায্যতার ভিত্তিতে সমুদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তি চেয়েছিলাম, সে অনুযায়ীই ইটলস রায় দিয়েছেন। ভারত ও মিয়ানমার সমদূরত্ব নীতির ভিত্তিতে এ নিষ্পত্তি চেয়েছিল।
তিনি বলেন, ন্যায্যতার ভিত্তিতে সমুদ্রসীমা নির্ধারিত হলে ১ লাখ ৭ হাজার বর্গমাইল সমুদ্র এলাকা পর্যন্ত আমরা পাব ধারণা করেছিলাম। আর ইটলসের রায়ের পর আমরা পেতে যাচ্ছি ১ লাখ ১১ হাজার বর্গমাইল সমুদ্র এলাকা।
দীপু মনি বলেন, আমরা আশা করছি ন্যায্যতার ভিত্তিতে ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তি হবে এবং বাংলাদেশ তার অধিকার অর্জন করবে।


৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কমলার জয়ের ক্ষীণ ১টা আলোক রেখা দেখা যাচ্ছে।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:১৮



এই সপ্তাহের শুরুর দিকের জরীপে ৭টি স্যুইংষ্টেইটের ৫টাই ট্রাম্পের দিকে চলে গেছে; এখনো ট্রাম্পের দিকেই আছে; হিসেব মতো ট্রাম্প জয়ী হওয়ার কথা ছিলো। আজকে একটু পরিবর্তণ দেখা... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৪



সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪১





বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারত থেকে শেখ হাসিনার প্রথম বিবৃতি, যা বললেন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩২



জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২ নভেম্বর) বিকালে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এটি পোস্ট করা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার... ...বাকিটুকু পড়ুন

=বেলা যে যায় চলে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯



রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।

সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×