রোগীর পরিবারের সংবাদ সম্মেলন এবং বন্ধুর ফেসবুক স্টাটাস
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
ছবিতে দেখুন কিভাবে বাবার বয়সী, শিক্ষক তুল্য ডাক্তারকে পিটিয়ে আসার উল্লাস প্রকাশ করা হয়েছে। অথচ বারডেম হাসপাতালে মারা যাওয়া সেই রুগীর পরিবার কি নির্লজ্জ মিথ্যাচারটাই না করেছে সাংবাদিক সম্মেলনে! বলা হয়েছে, “অভিযোগ থেকে বাঁচতে বারডেম চিকিৎসকদের নাটক”। হায়, হলুদ সাংবাদিকরা সেটা আবার শিরোনামও করেছে। সাংবাদিক সম্মেলনের লিঙ্ক।
ফেসবুকে এই পোস্ট ছড়িয়ে পড়ার কিছু সময় পর স্টাটাস দাতা তার পোস্টটি সরিয়ে ফেলেন এবং আইডি ডিএক্টিভেট করেন।
এখন আসুন একজন প্রত্যক্ষদর্শীর কাছে থেকে জেনে নিই সেই জঘন্য মিথ্যাচারের বয়ান, পয়েন্ট বাই পয়েন্ট। নিরাপত্তার খাতিরে লেখকের নাম আপাতত গোপন রাখা হল। আরেকটি বিষয় খেয়াল রাখবেন, এই যুদ্ধে আমরা (ডাক্তাররা) খুব একা। প্রশাসন, মিডিয়া, বিএমএ, সুশীল সমাজ, এমন কি আমাদের সিনিয়র ডাক্তাররাও আমাদের পাশে এসে দাঁড়াবেন না। উল্টো পদে পদে আমাদের থামাতে চেষ্টা করবেন, বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করবেন। মাইন্ড ইট। তাই সর্বোচ্চ শেয়ার করুন। চিকিৎসক সমাচার এই ইস্যুতে বারডেমের আন্দোলনরত ডাক্তারদের পাশে সব সময় থাকবে। অফলাইন এবং অনলাইনে। আন্দোলনরতদের প্রতি অনুরোধ, আমাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখুন। অন্যান্য পেইজ এবং গ্রুপগুলোর প্রতি আবেদন, অন্তত এই ইস্যুতে এক হন।
“হাসপাতাল এ দায়িত্ব পালন রত অবস্থায় কোন রোগীর মৃত্যু হলে তা খানিকটা হলেও একজন চিকিৎসক কে মানসিকভাবে আক্রান্ত করে। কিন্তু পেশাটাই এমন যে আপনি চাইলেও মন খারাপ করে বসে থাকতে পারবেন না। চিকিৎসক হিসেবে মৃত্যু কে আমরা খুব কাছ থেকে দেখি। বিগত ১৩/০৪/২০১৪ তারিখে বারডেম হাসপাতাল এর ১৩ তালায় এক রুগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে যে তাণ্ডব ও অত্যাচার কর্তব্যরত চিকিৎসক এর উপর হয়েছে তার চাক্ষুষ সাক্ষী আমি। ঘটনা কি হয়েছিল সেটা আমাদের মিডিয়া এর কল্যাণে সবাই জেনে গেছেন। রোগী'র পরিবার আজ জাতীয় প্রেস ক্লাব এ আজ সংবাদ সম্মেলন ও করেছেন। এই সম্মেলনে নিজেদের ভুল ঢাকার জন্য অসংলগ্ন কোন তথ্য দিতে তারা দ্বিধা বোধ করেননি।
১। "আমার বাবা ভর্তি ছিলেন ১৩ তলায়। অথচ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দাবি করছে, আমরা ৫ম তলায় ভাংচুর করেছি এবং চিকিৎসকদের লাঞ্ছিত করেছি। "
- আজ সকাল এই বারডেম থেকে একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। ওইখানে কোথাও ৫ম তলা'র কোথা বলা হয় নাই। উনি এই তথ্য কোথা থেকে পেয়েছেন সেটা বোধগম্য নয়। এক দিক দিয়ে চিন্তা করলে ঠিক ই আছে। উনারা তো ৫ম তলায় ভাংচুর করেন নাই, করেছেন ১৩ তালায়। উনি জানেন ই ভুল। তাই দিয়েছেন ভুল তথ্য।
২। "ভুল চিকিৎসায় আমার বাবার মৃত্যু হয়েছে- এটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ স্বীকার
করে কোনো টাকা না নিয়েই আমার বাবার লাশ দিয়ে দিয়েছে।"
- ৫০ জন সন্ত্রাসী ও পুলিশ নিয়ে যে অত্যাচার চালিয়েছেন ওই মুহূর্তে আপনাদের
কাছে টাকা চাওয়ার ভুল বারডেম কেন, পৃথিবীর অন্য কোন হাসপাতাল করবে কিনা সন্দেহ আছে।
৩। "হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চিকিৎসকদের লাঞ্ছিত করা বা ভাংচুরের কোনো তথ্য-
প্রমাণ দিতে পারবে না বলেও দাবি করেন তিনি"
- সি সি টিভি ফুটেজ দেখলে নিজেরাই লজ্জা পাবেন। বাধ্য করলে শাহবাগ মোড়ে এল সি ডি স্ক্রীন এ দেখানোর ব্যবস্থা করা হবে।
৪। "১৩ এপ্রিল বিকেল চারটার দিকে হঠাৎ আমার বাবার শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। এ সময় তাৎক্ষণিক কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে বিকেল সাড়ে চারটার দিকে চিকিৎসকরা অক্সিজেন নল দিয়ে চলে যান।"
- শ্বাস কষ্ট হলে অক্সিজেন দিতেই হয়। ভুল কিছু তো করে নাই। অক্সিজেন দেওয়া রোগীর মৃত্যুর কোন কারণ না।
৫। "মৃত্যুর পর আইসিইউ-এর চিকিৎসক জানিয়েছিলেন, অক্সিজেন নল দেওয়ার
সঙ্গে সঙ্গে রোগীকে আইসিইউতে ভর্তি করা জরুরি ছিল। কিন্তু কর্তব্যরত চিকিৎসক এ বিষয়ে কিছু বলেননি।"
- ডাহা মিথ্যা কথা। আই সি ইউতে ভর্তির উপদেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বারডেম এর আই সি ইউ তে কোন বিছানা খালি না থাকায় বাইরের কোন আই সি ইউতে নিয়ে যাওয়ার উপদেশ বিকেল বেলাতেই দেওয়া হয়।
৬। "ইসিজি মেশিন নষ্ট ছিল এমন অভিযোগ করে নাসরিন বলেন, দায়িত্বরত চিকিৎসক সোয়া আটটা ও নয়টায় দু’টি ইসিজি করেন। রিপোর্ট দু’টির মধ্যে কোনো মিল ছিল না।"
- খুব স্বাভাবিক ।
রোগী মারা যাওয়ার ঠিক পর মুহূর্তে করা ইসিজি আর ১ ঘণ্টা পর করা ইসিজি কখনই এক হবে না।
উলটা পালটা তথ্য দিয়ে নিজেদের ভুল ডাকার আগে অন্তত ইসিজি নিয়ে পড়াশোনা করে আসা দরকার ছিল। এই তথ্য দিলে কোর্টেও মামলা টিকবে না।
৮। "এ সময় চিকিৎসার দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন আনোয়ার হোসেন ও কল্যাণ দেবনাথ। এ দু’জনই ছাত্র বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।"
- অসম্পূর্ণ তথ্য। তারা ছাত্র তবে এম,ডী কোর্সের ছাত্র। আরও একজন মহিলা মেডিকেল অফিসার ও দায়িত্বে ছিলেন যাকে আপনার স্বজন রা বাথরুম থেকে টেনে হিঁচড়ে বের করে অপদস্থ করেছেন। তার কথা ভুলে গেলেন কিভাবে?”
(ফেসবুকের চিকিৎসক সমাচার পেজের পোস্ট থেকে সংগৃহিত এবং সম্পাদিত)
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
কমলার জয়ের ক্ষীণ ১টা আলোক রেখা দেখা যাচ্ছে।
এই সপ্তাহের শুরুর দিকের জরীপে ৭টি স্যুইংষ্টেইটের ৫টাই ট্রাম্পের দিকে চলে গেছে; এখনো ট্রাম্পের দিকেই আছে; হিসেব মতো ট্রাম্প জয়ী হওয়ার কথা ছিলো। আজকে একটু পরিবর্তণ দেখা... ...বাকিটুকু পড়ুন
বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?
সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন
শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী
বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন
শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারত থেকে শেখ হাসিনার প্রথম বিবৃতি, যা বললেন
জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২ নভেম্বর) বিকালে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এটি পোস্ট করা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার... ...বাকিটুকু পড়ুন
=বেলা যে যায় চলে=
রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।
সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন