আমরা ব্রিজ পাড় হয়ে ফ্রান্সে চলে এসেছি। ব্রিজ থেকে ঠিক নামার পরেই সামনের দিকে গার্ডেন থেকে বের হবার পথটা মোটামুটি ভাল দুরেই আছে।
আমরা প্রথমে সেই দিকেই যাব। এখানেও বের হবার পথটা বেশ সুন্দর । বিশাল চওড়া জায়গায় মাঝখানে সুন্দর সুন্দর ঘাসজাতীয় ফুল আর কিছু ফুল গাছ দিয়ে উচু করে রেখেছে আর বাম পাশ ও ডানপাশ দিয়ে মোটামুটি চওড়া একটা রাস্তা ও তৈরি করে দিয়েছ।
আমরা ডানদিকের রাস্তাটা দিয়ে একদম গার্ডেন থেকে বের হবার গেট পর্যন্ত যাব। আর বামদিকের রাস্তা দিয়ে ফেরত আসব। তাহলে আমাদের দুদিকের সুন্দর্যই দেখা হবে।
চলুন তাহলে ডান দিকের রাস্তা দিয়ে গার্ডেন থেকে বের হবার পথ ধরে সামনে এগুনো যাক
একটু সামনে এগুতেই দেখতে পেলাম একটা কৃত্রিম ফোয়ারা যেটি কিনা দু পাশেই আছে মানে ডান ও বাম পাশে একই ধরনের ফোয়ার আর মাঝখান দিয়ে রাস্তা ।
সিড়ি দিয়ে উপরে উঠে দেখা যাক
উপের দিকের ছবি ও সেখান থেকে ব্রিজের ভিউ
এবার তাহলে সামনের দিকে এগুনো যাক। দূরে গার্ডেন থেকে বের হবার পথ দেখা যাচ্ছে। গেটে ৩ টি পতাকা উড়ছে। মাঝখানে ইউ এর পতাকা রেখে দুপাশে দুদেশের পতাকা।
মজার ব্যাপার হচ্ছে গেটে কোন ইমিগ্রেশন অফিসারতো দুরের থাক। পুলিশ দারোয়ান কিছুই নেই। একদেশ থেকে আরেক দেশে যাবার জন্য দিনে রাতে যখন খুশি তখনই যাওয়া যাচ্চে। সারা ইউরোপেই এমন। আফসোস লাগে বাংলাদেশ আর ইন্ডিয়া এর বর্ডারের কথা মনে করে।
আমরা বাইরে যাচ্ছি না। যেহেতু আমরা ডানদিকের রাস্তা ধরে এসেছি, এবার বাম দিকের রাস্তা ধরে ফেরা যাক।
বাম দিক দিয়ে ঢুকতেই গেটে পুরু গার্ডেনের ম্যাপ দেয়া আছে জার্মান ও ফ্রান্সের অংশও এই ম্যাপে দেয়া আছে।
পেছনের দিকের আর একটা ছবি
যেহেতু এব্রিজ দিয়ে গাড়ি নিয়ে যাওয়া যায় না, তাই পাশেই গাড়ি পার্কিংয়ের জায়াগা আছে।
যেহেতু বাম দিকে কার পার্কিং দেখা যাচ্চে তাই চলুন আমরা এবার আবার ঘাসে ঘেরা মাঝ খানের পথা ধরে সামনে এগুই
এবার আবার বাম দিকের পথ টাতেই এগুই
যারা জগিং বা বিকেলে হাটার জন্য আসে তাদের জন্য সুন্দর করে পথের নির্দেশনা দেয়া আছে।
অনেকক্ষন হেটে আপনারা হয়ত ক্লান্ত। ঐতো সামনে বেঞ্চ দেখা যাচ্চে । সারা পার্ক জুড়েই এরকম বেঞ্চ আর তার পাশে ডাস্টবিন ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। তাহলে এবার বেঞ্চে বসে একটু জিরিয়ে নেয়া যাক আর নদীর খোলা হাওয়ার সাথে সাথে কিছু অপরুপ সোন্দর্য উপভোগ করা যাক।
নদীতে নামা নিষেদ
আজ তাহলে এখানেই থামা যাক। সামনের লেখায় পার্কের জার্মানের অংশে ঘুরে দেখাব। সবাই ভাল থাকবেন। ধন্যবাদ
প্রবাসে পরিভ্রমন ৩- দুই দেশ এক বাগান ( Deux-Rives garden ) (শেষ পর্ব )
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৫