চরম ক্লান্ত । কিন্তু মাথায় শয়তানি বুদ্ধি ঘুরপাক খাইতেছে। ঘুমাতে ইচ্ছা করতেছে না।
বেশি অনূভুতি একটা পেইন ব্যাপার। এত ফিল করলে প্রবলেম। কিছুটা গাছ টাইপের হইলে ভাল। হাবা প্রকৃতির। আমি অবাক হই আমি কেন কখনই খারাপ স্বপ্ন দেখি না এটা ভেবে। এত বড় বড় ঘটনা অথচ আমার স্বপ্ন গুলা সব পজিটিভ। এই জন্যই আমি স্বপ্নবাজ । আমার মধ্যে কি এমন ক্ষমতা আছে যার জোরে আমি এত প্রতিকূলতার মধ্যেও আশা দেখি!!! এর অস্তিত্ব ভালভাবে টের পেলে হয়ত আমি আরও অনেক কিছু করে ফেলতাম।
এই এক সমস্যা। এটা পাইলে ঐটা করতাম এটা হলে সেটা হত এই কথা গুলা বেশি বলা হয়। খালি অজুহাত। কাজে ভালবাসা নাই। এটা হচ্ছে বড় সমস্যা।
স্রেয়ার কথা মাঝে মাঝে মনে হয়। বেচারি কেমন আছে কোন কিছুই জানি না। ওর যদি খারাপ কিছু হয় তাহলে আমি জীবনেও কিছু জানতে পারব না। ওর কোন যোগাযোগের ঠিকানা আমার জানা নাই। এই এক সুন্দর একটা ব্যাপার। ইন্টারনেট কত দুরের মানুষকেও কত কাছে নিয়ে আসে। হাংগেরীতে আমার বন্ধু আছে। ইরানে আছে। যাদের সাথে আমার কখন হয়ত লাইফে যোগাযোগ হত না। কিন্তু এখন দিব্বি গল্প গুজব হয় ।
একটা ব্যাপার খেয়াল করবার মত। যে নিজে অন্যের খেয়াল রাখে তার খেয়াল অন্য খুব কমই রাখে। যেমন বাসায় একজন মা। তিনি সবার খাওয়া দাওয়া অসুখ বিসুখ সব কিছুর খেয়াল রাখেন। কিন্তু আমরা খেয়াল রাখি না উনি খেয়েছেন নাকি বা গোসল করছেন নাকি কিংবা আজকে উনার দিনটা কেমন কাটল এসব। আসলে প্রত্যেকের নিজের ব্যবস্থা নিজেকে করতে হবে । জীবন মাঝে মাঝে খুব সাধারন ঘটনার মধ্যে দিয়ে অনেক বড় নির্মমতা প্রকাশ করে ফেলে।
আমার কাছে সেই ছোটবেলা থেকে মানুষ অনেক কিছু বলত। অনেক গোপন কথা যা সে কাউকে বলে না। মানুষের প্রকাশ করা বা বলে ফেলার ইচ্ছা অনেক প্রবল। এত কথা শুনি আর সবাইকে সাপোর্ট দিতে চেষ্টা করি। কিন্তু এখন অনেক ক্লান্ত আমি। আমার অনেক বন্ধু আছে যারা এর ভাগ নিতে চাইবে। আমাকে সাপোর্ট দিতে চাইবে। কিন্তু আমি কাউকে বলি না। আমার অনেক ইচ্ছা করে সব বলে ফেলতে । স্রোতের মত ভিতরের সব কিছু বের করে দিতে। কিন্তু পারি না। এটা আমার দ্বারা সম্ভব হয় না। দিনে দিনে বোঝার ভারে ক্লান্ত হচ্ছি। তবে আমি এখন আমার আশে পাশের রত্নগুলোকে চিনতে পারছি। আমার যা আছে তার মঝেও অনেক আনন্দ আর আশা আছে। এগুলো হচ্ছে আমার ক্লান্তির সময়ের প্রতিষেধক। মানুষ হারানোর আগে সহজে সম্পদ গুলোকে চিনে না। আমি চেষ্টা করছি চেনার।
বেশ কিছুদিন আগে এক মায়ের কথা পড়ছিলাম পেপারে। খুব সাধারন হবে উনি সেটা খবর থেকেই বুঝা গেছে। গরিব ঘরের সাধারন এক মা। অথচ উনার মধ্যেই কত অসাধারনত্ব ছিল সেটা খবর পড়ে বুঝতে পারলাম। উনার বাচ্চা কিভাবে যেন বড় রাস্তায় চলে আসছিল। এবং উনি বাচ্চাকে খুজে না পেয়ে রাস্তায় এসে দেখেন একটা ট্রাক আসছে । এবং উনি দৌড়ে গিয়ে বাচ্চাকে ধাক্কা দিয়ে রাস্তা থেকে সরিয়ে দিলেন। কিন্তু নিজে পারলেন না। কি অসাধারন একজন মানুষ । আমাদের চারপাশে এরকম সাধারনের মধ্যেই অসাধারন লুকিয়ে আছে। শুধু দেখার চেষ্টা করতে হবে।আমি সেই চেষ্টাই করি এখন। সবচেয়ে অন্ধকারেও আমি আশা খুজব। এটাই আমার ধাত । আমি বদলাতে চাই না। যা আছি তাই থাকতে চাই।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই মে, ২০১০ ভোর ৪:১১