আকামের দিন গুলো যাচ্ছে। কোন কাজ করা হয় না। নায়িমের মেস এ গিয়ে খালি গেমস খেলা হয়।
আমার ভাল লাগে না আমার কাছের মানুষদের দুরে যেতে দেখলে।আজ আদনান ভাইয়াকে ঢাকায় যেতে দেখে খারাপ লাগল। সবাই একসাথে ছিলাম আগে। এরপর ভাইয়া রয়ে গেল শ্রীমঙ্গলে। আর আমরা চলে আসলাম সিলেট এ। আমি আর আম্মু। আব্বু ট্রান্সফার হয়ে অন্য বাগানে বরলেখা চলে গেলেন।তারপরে ভাইয়া আসল আবার আমাদের সাথে সিলেটে।আবার কিছুদিন পর কলেজে ভর্তির জন্য ঢাকায় । আমি তারপরের বছর কলেজে ভর্তির জন্য গেলাম ঢাকায়। তারপরে ভাইয়ে চলে গেল পারমানেন্টলী আর্মিতে। শেষ একসাথে থাকার দিন আমাদের। আমরা আমাদের স্বপ্ন গুলো যেভাবে দেখি সব সময় বাস্তবতা তা হয় না।এখন আমি আর আম্মু এক জায়গায়,আব্বু এক জায়গায়, আর ভাইয়া এক জায়গায়। ভাল লাগে না। আমার সবাইকে কাছে পাইতে ইচ্ছা করে। যাদের আমি ভালবাসি তাদের আমি কাছে চাই সবসময়।
আজকে নায়িম বলল একটা ছেলে আর মেয়ের মধ্যে ভালবাসার প্রধান অাকর্ষন শারিরীক আকর্ষন।আর আমি এই কথার মধ্যে দিয়ে একটা জিনিষ উপলব্ধি করলাম আরেকবার। সব কিছু যা আমরা মনে করি তা না। আমাদের বুঝতে হলে আগে সেটার অভিগ্গতা নিতে হবে। তাই নায়িম কে শুধু বললাম আমরা যা মনে করি নিশ্চিত ভাবে ঠিক, তা সবসময় ঠিক না।
আমার বাসের ঘটনাটা সব সময় মনে থাকবে যেটা আমাকে পজিটিভ চিন্তা করতে শিখাইছিল। মেগাসিটি বাস তাজমহল রোড থেকে উঠছিলাম। একটা মধ্যবয়সী লোক উনি বাসের ডানপাশে বসা । তিনি দেখলামা বামপাশে জানালার পাশে বসা এক সুন্দরী মেয়ের দিকে দেখতেছেন। আমি চিন্তা করলাম দেখ হালা লুচ্চা মাইয়া দেইখা পাগল হইছে। এবং একটু পরেই মেয়েটা বাস থেকে নেমে গেল আর লোকটা এসে মেয়েটার সিটে বসল। আর তখন অসম্ভব লজ্জা নিয়ে আমি খেয়াল করলাম আসলে লোকটা মেয়েটার দিকে দেখছিল না শুধু। সে আসলে বাম পাশে বসার সিট দেখছিল আর মেয়েটার সিট টাই সিঙ্গল সিট ছিল ,কারন ডান পাশে অনেক রোদ পড়ছিল। আমি নিজেই বাম পাশে এই জন্য বসছিলাম । এখান থেকে দুইটা জিনিষ শিখছিলাম। এক পজিটিভ চিন্তা করা উচিত। আর আরেকটা হচ্ছে মানুষকে তার অবস্থান ব্যাখ্যা করার সুযোগ দেয়া উচিত যতই তার সম্পর্কে নিজে সিউর হইনা কেন।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:০২