আজকে ২ দিন হল এত ঠান্ডা পড়ছে !!!! আজকে রাতে নায়িমের মেস থেকে আসার সময় এত ঠান্ডা লাগছিল মাবুদ!!! আরেক রাতের কথা মনে পড়ে গেছিল। সেটাও ঠান্ডার রাত। তবে এখনকার মত এত ঠান্ডা না। তবে সেটা পুশিয়ে নিয়েছিল কারন সেই রাতে বৃষ্টি ছিল। আর আমার গায়ে একটা শার্ট ছাড়া কিছু ছিল না। রাত ১ / ২ টার মত হবে। মটরসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলাম। এত ঠান্ডা লাগতেছিল যে শরীরে সাড়া পাচ্ছিলাম না। ভয় পাচ্ছিলাম একসিডেন্ট করব।
শালার প্রজেক্ট নিয়া আরেক ভেজালে পড়ছি। আমি কিছুই করি না।খালি প্রদীপ আর নায়িম করে।আর আমার নিজেরে গাধা মনে হয়। আমি কি করব কিছু বুঝিনা।কিছু পারিও না অবশ্য!!!
কালকে আমার কপালে খারাপি আছে। আব্বু আমারে নিয়া মারকেটে যাবার ইচ্ছা ব্যাক্ত করিয়াছেন। আমাকে একটা অতীব ভাল জ্যাকেট কিনে দিবেন। আমি শেষ। উনার যেইটা পচ্ছন্দ হয় সেটা আমার পচ্ছন্দ হয় না। আর আমার যেটা হয় সেটা উনার প্রায় সময়ি পছন্দ হয় না। আর একটু পর পর বলবেন উনি আর আমার সাথে ঘুরতে পারবেন না। আমার নাকি কিছুই পছন্দ হয় না। আর আমি শেষমেশ প্রেশার সহ্য না করতে পেরে কোনমতে একটা কিনে ফেলি। আল্লাই জানেন কি আছে কপালে।
আজকাল নিজের ছোটবেলার কথা মনে হয় অনেক। কাউকে বলতে ইচ্ছা হয় । বাট সবাই এখন বলতে চায়। কেই শুনতে চায় না। ভাবতেছি ডাইরী মশাই তোমার সাথে শেয়ার করব। লিখব ঐসব দিন গুলোর কথা।
হয়ত আজ থেকে অনেক দিন পরে আমি আমার লিখা গুলো পড়ে অনেক মজা পাব। আজকাল এই কথাটা প্রায়ই মনে হয়। আমি ছবি তুলতে পছন্দ করি না। কিন্তু এখন মনে হয় কিছু পিক তুলা দরকার। পরে এগুলো দেখলে অসম্ভব ভালোলাগে। এইটা বুজছি সেদিন হটাৎ করে আমার ক্লাস সিক্সের ছবি দেখে। এত ভাল্লাগছিল!!!
এখন অনেক একা লাগে। ভাইয়া চলে গেল আরমিতে। ও যখন ছিল তখন ওর সাথে শুধু ঝগড়া করতাম। কিন্তু আমি একা ছিলাম না। যা করার দুই জন একসাথেই করতাম। আমাদের পছন্দও কমন ছিল। দুই জনেই বই পছন্দ করতাম। আমাদের প্রিয় জায়গা ছিলা নীলখেত আর বাংলাবাজার। কারন এই দুই জায়গায় বই অনেক সস্তা। আর এত বই দেখে মনে হত স্বর্গে আসছি। অসম্ভব ভাল লাগার একটা অনূভুতি আসত মনে। দুইজনে কম্পিউটার গেমসও পছন্দ করতাম। আর ছিল দুইজনেরই কমন অভ্যাস বিয়ে টিয়ে এসব অনুষ্ঠান এভয়েড করা।
লিখব আরও অনেক কিছু লিখব। কত কিছু বলার আছে আমার!!! সব বলব।