পাকিস্তানের জাতীয় বিমান সংস্থা পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স পিআইএ’কে দিল্লির সম্পত্তি ফিরিয়ে দেয়ার নোটিশ দিয়েছে ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। অনুমোদিতভাবে এ সব সম্পত্তি কেনা হয় নি উল্লেখ করে তা ফিরিয়ে দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। নোটিশে বলা হয়েছে, ভারতীয় ফরেন একচেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট অধ্যাদেশ লঙ্ঘন করে এবং রিজার্ভ ব্যাংক ইন্ডিয়ার অনুমোদন না নিয়ে এ সম্পত্তি ক্রয় করেছে পিআইএ।
কিন্তু উত্তর ভারতের পিআইএ’র ম্যানেজার সাঈদ আহমেদ খান ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, দিল্লির কনেট প্লেসে পিআইএ’র চারটি দফতর ক্রয়ের জন্য ২০০৫ সালে অনুমোদন দেয়া হয়েছিল। গত প্রায় এক দশক ধরে দিল্লিতে তৎপর রয়েছে পিআইএ। ইডি’র নোটিশে বিস্ময় প্রকাশ করে খান বলেন, কেনো তারা এ সময়ে তৎপর হয়ে উঠেছে বুঝতে পারছি না। তারপর তিনি প্রশ্ন করেন, বিপণন এবং বিক্রয় অফিস না থাকলে দিল্লিতে পিআইএ কি করে তৎপরতা চালাবে? এদিকে,নোটিশ প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে পিআইএ বলেছে, এতে দুই দেশের জনগণকে যে সেবা দেয়া হচ্ছে তা ব্যাহত হচ্ছে।
এ বিষয়ে গত দু’মাস ধরে পাকিস্তান ও ভারতের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হলেও সমস্যার কোনো সমাধান হয় নি। বিষয়টি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাক সরকার।
পাকিস্তান সূত্রগুলো মনে করছে, রাজনৈতিক কারণে পিআইএ’কে নোটিশ দেয়া হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ বন্ধ করাই এ নোটিশের উদ্দশ্য। মুম্বাই -করাচি এবং দিল্লি-লাহোর পথে সপ্তাহে একটি করে ফ্লাইট চালায় পিআইএ।
এ দুই ফ্লাইট বন্ধ হয়ে গেলে, ওয়াগা-আত্তারি সীমান্ত দিয়ে পা হেঁটে যাতায়াত করা ছাড়া সহজ বিকল্প আর থাকবে না। কিংবা যাতায়াতকারীদের দুবাই’এর মতো তৃতীয় কোনো দেশের মধ্য দিয়ে ব্যয়বহুল ফ্লাইট ধরতে হবে বলে অনেকেই মনে করছেন। অবশ্য নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভারতীয় শীর্ষ স্থানীয় এক কর্মকর্তা বলেছেন, পাক-ভারত যাতায়াতকারীদের কাছে সাধারণ ভাবে ওয়াগা-আত্তারি সীমান্ত বেশি জনপ্রিয়। গত বছর দিল্লির পাক হাইকমিশন ৬৪ হাজার ভিসা ইস্যু করছে।
পাক-ভারত সম্পর্ক যখন উত্তেজনার তুঙ্গে রয়েছে তখন পিআইএকে কেনা সম্পত্তি ফিরিয়ে দেয়ার নোটিশ দেয়া হলো। গত জুলাই পাক-ভারত পররাষ্ট্র সচিবদের বৈঠক বাতিলের পথ ধরে এ নোটিশ দেয়া হয়েছে বলে পাকিস্তানের এক কর্মকর্তা বলেছেন। তিনি মনে করেন, ভারত হয়ত এ জাতীয় আরো পদক্ষেপ নিবে।নতুন সময়
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:৫৮