somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রাজনীতিদানব ও চ্যাপ্টাজীবন

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:০০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বেশ ক’বছর ধরে ঢাকা শহরে রুমেলের যাতায়াতের বাহন সিএনজি অটোরিক্সা। তিন চাকার প্রতিটি বাহনেই আছে একটি ‘শোপিস’ মিটার। থাকা না থাকায় কিছু যায় আসে না। একইভাবে সব রাস্তার মোড়েই আছে, সিগনাল বাতি, লাল-হলুদ-সবুজ। এগুলো অনুসরণ করে, কে কবে শেষ গাড়ি চালিয়েছেন বলা কঠিন। গত ক’দিন ধরে রুমেলের মনে একটি প্রশ্ন জাগছে, ক্ষমতার রাজনীতিতে আমাদের জীবনটাও কী এমন ‘শোপিস’! ক্ষমতায় থাকা আর যাওয়ার যে লড়াই, সে লড়াইয়ে আমার জীবন কেন চিরে’র মতো চ্যাপ্টা হবে?

বাজারে জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। আরও বাড়বে, বলছে দোকানিরা। দেখাও যাচ্ছে বাড়ার আশঙ্কাটা ভুল নয়। পত্রিকায় ছবি ছেপেছে, বগুড়া থেকে ঢাকামুখী আলুভর্তি ট্রাকে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। দুর্বৃত্ত বলতে অবরোধ সমর্থকদেরই ইঙ্গিত করা হচ্ছে। খবর পড়ে রুমেল আরও জেনেছে, সে বাড়তি দামে কিনলেও, চরম সঙ্কটেই পড়েছে কৃষক। কারণ প্রান্তে দাঁড়িয়ে ঘাম ঝড়িয়ে ফসল ফলালেও বিক্রি করতে পারছে না। ন্যায্য দাম দূরে থাক, অনেক ক্ষেত্রে অর্ধেকের অর্ধেক দামও মিলছে না। মাথায় হাত দিয়ে বসে বসে অন্ধকার ভবিষ্যতের দুশ্চিন্তা করা ছাড়া কীইবা করার আছে কৃষকের!

রবীন্দ্রনাথ বলেছেন, ইতিহাসের আদিপর্বে, প্রতাপশালী দানব সব লণ্ডভণ্ড করেছিল গদা-হাতে মুষল-হাতে। এখন রুমেল দেখছে তার সবই এমনি এমনি লণ্ডভণ্ড হয়ে যাচ্ছে। একপ্রাপ্তে কৃষক, অন্যপ্রান্তে নির্দিষ্ট আয়ের শ্রমজীবী মানুষ, অনিশ্চিত ভবিষ্যত ভেবে কূল-কিনারা দেখে না। কী হবে শেষে? উৎকণ্ঠায় থাকতে থাকতে যেন শ্বাস-প্রশ্বাসে কষ্ট হচ্ছে। দম বন্ধ হয়ে যেতে চায়। চোরগোপ্তা হামলায় প্রাণ হারাচ্ছে নিরীহ স্কুল শিক্ষিক। রাজনীতির নামে ক্ষমতার লড়াইয়ের ভার আর বইতে পারছে না রুমেলরা। ঘুরেফিরে ভাবনা আসে বিদেশে পালানোর।

আরেকটি প্রশ্ন আসে রুমেলের মনে, ‘শোপিস’ই যদি ভাববে, তাহলে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা কেন! সাবেক ক্ষমতাসীনদের দাবি, ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) প্রধান অমিত শাহ তাদের পার্টি প্রধানকে টেলিফোন করেছে। আবার বর্তমান ক্ষমতাসীনরা ব্যস্ত, এই দাবি মিথ্যা প্রমাণে। বোঝা মুশকিল, কেন এত ‘ইম্পর্টেন্ট’ এই ফোন কল। সাবেক ক্ষমতাসীনদের পক্ষে আবার মার্কিন কংগ্রেসম্যানের স্বাক্ষর জালিয়াতির মতো ঘটনাও ঘটানো হয়েছে।

সবমিলে যা দাঁড়ায় তাহলো ‘রাজনীতিতে শেষ কথা নেই’ বলে যে কথা প্রচলিত আছে, তা সত্য নয়। বাংলাদেশের রাজনীতিতে শেষ কথা ক্ষমতা। সেটা যদি না হতো তাহলে, কৃষক-শ্রমজীবী কেন মূল্য দিচ্ছ।
নতুন নসয়
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:১২
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=বেলা যে যায় চলে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯



রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।

সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন

মার্কিন নির্বাচনে এবার থাকছে বাংলা ব্যালট পেপার

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:২৪


আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাংলার উজ্জ্বল উপস্থিতি। একমাত্র এশীয় ভাষা হিসাবে ব্যালট পেপারে স্থান করে নিল বাংলা।সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর খবর অনুযায়ী, নিউ ইয়র্ক প্রদেশের ব্যালট পেপারে অন্য ভাষার সঙ্গে রয়েছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সত্যি বলছি, চাইবো না

লিখেছেন নওরিন হোসেন, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:০৮



সত্যি বলছি, এভাবে আর চাইবো না।
ধূসর মরুর বুকের তপ্ত বালির শপথ ,
বালির গভীরে অবহেলায় লুকানো মৃত পথিকের... ...বাকিটুকু পড়ুন

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা কি 'কিংস পার্টি' গঠনের চেষ্টা করছেন ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:১০


শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর থেকেই আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন নামক সংগঠন টি রাজনৈতিক দল গঠন করবে কিনা তা নিয়ে আলোচনা চলছেই।... ...বাকিটুকু পড়ুন

শেখস্থান.....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:১৫

শেখস্থান.....

বহু বছর পর সম্প্রতি ঢাকা-পিরোজপু সড়ক পথে যাতায়াত করেছিলাম। গোপালগঞ্জ- টুংগীপাড়া এবং সংলগ্ন উপজেলা/ থানা- কোটালিপাড়া, কাশিয়ানী, মকসুদপুর অতিক্রম করার সময় সড়কের দুইপাশে শুধু শেখ পরিবারের নামে বিভিন্ন স্থাপনা দেখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×