ইলিয়াস সাহেব তাবলীগের প্রতিষ্ঠাতা। উনি একটা নতুন বি’দাত চালু করে মৃত্যু মানুষের মিছিল সমৃদ্ধ করছে। বিশ্ব ইজতেমার নামে যেন বনভোজনের আয়োজন। তাবলীগের যেন প্রতিবাদের ভাষা নেই। তারা যেন নির্জীব, নিস্তেজ, মৃত্যুসম। ভাল একজন প্রতিবাদী মানুষও তাবলীগে এসে মৃত্যু মানুষে পরিণত হয়।
কোরআনের তারা সাংঘাতিক ভয় পায়। হাদিস কে তারা জঞ্জাল মনে করে। ফজায়েল মানে তাদের কাছে পুঁথি। যেন পুঁথির মত পড়লে সওয়াব হবে। সহীহ কোন হাদিস গ্রন্থ তারা পড়ে না। সহীহ কোন হাদিস গ্রন্থ পড়লে যে কেহ প্রতিবাদী মুসলিম হতে বাধ্য। কোরআনের যদি শানে নুজুল, ব্যাখ্যাসহ কেহ পড়ে তবে তিনি অসীম সাহসী একজন মুসলিম হতে বাধ্য। যেখানে কোরআন হাদিস বর্তমান, সেখানে ফজায়েল গ্রন্থ পড়া মানে এক ধরণের পাগলামী। তারা ভুল পথে পরিচালিত হচ্ছে।
ইসলামী শরীয়া শিক্ষা দেওয়ার মত তাদের মধ্যে কোন দ্বীনে আলিম নেই। তারা শতভাগ আধুনিক শিক্ষিত। তাদের সস্তা কিছু বক্তব্য জাতিকে বিভ্রান্ত করছে। কোন মুসলিম কথা বলবে আর ফ্যাসিবাদী, স্বৈরাচারী, শক্তিশালী সরকার তা মনে প্রাণে শুনবে অথচ কোন বিরোধিতা হবে না, এটা হাস্যকর। কোন নবী বা রাসূলের এমন দৃষ্টান্ত নেই। এমন মৃত তাবলীগ যত বৃদ্ধি পাবে ততই জাতি দূর্বল হয়ে যাবে। তারা বোবা হয়ে যাবে। এরা জাতির উপর যেন একটা মস্ত বোঝাস্বরুপ।
এরা যেন পরগাছা হয়ে বাস করছে। সালোক সংশ্লেষন প্রক্রিয়ায় পাতা যেমন সূর্যের আলো ব্যবহার করে খাদ্য তৈরী করে গাছের শিকড়ে পাঠায়, তাবলীগ তেমনি ভাবে কাজ করছে। এদের শিকড় যেন সরকার। তাবলীগকে দিয়ে এক লক্ষ বৎসর কাজ করালেও জাতির মহা বিপর্যয় কাটবে না। তারা কথনও সামান্য প্রতিবাদ করে না। এরা মৌন মেথড ব্যবহার করে। মুখে কথা নেই কিন্তু অন্তরে নাকি বিশাল জিকির।
রাসূল সা. এর উপর কোন্ ফাজায়েলের কিতাব নাজিল হয়েছিল তা মুসলিমদের জানা নেই। বর্তমানে সংবিধান থেকে মহান আল্লাহর উপর আস্থা উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে, এটা প্রথম ফেজের আলোচনায় প্রতিবাদ স্বরুপ আসুক। সরকারকে পরামর্শ দিক! পারবে? নিঃসন্দেহে তাবলীগ তা পারবে না! দেশ আজ দুর্নীতিতে আকণ্ঠ নিমজ্জিত, বেহায়াপনায় মহিলারা উন্মত্ত, কোরআনের হাদিসের অবমাননা চলছে, নারী নীতি আজ চাপানোর সিদ্ধান্ত, এসবের বিরুদ্ধে তাবলীগ কি কথা বলতে পারবে? আশা করি মৃত তাবলীগ তা কোন দিনও পারবে না।
এত লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাবেশ, শত কন্ঠে আল্লাহর মহিমা ঘোষণা, মানুষের চোখের কান্না, হৃদয়ের আকুতি, এসব যেন আজ ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে। কালিমা পড়ে আজ ভিক্ষা করে, এ কালিমা ভিক্ষা করার জন্য নয়, ঠিক এ কালিমা তাবলীগের জন্য নয়! তাদের কোটি কন্ঠের কালিমা আজ স্বৈর শাসকদের একটা পশমও নাড়াতে পারে না। তাহলে কিসের কালিমা, কিসের মুসলিম, কিসের তাবলীগ।
বিভিন্ন ফাজায়েলের বই তাদেরকে ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে নিয়ে এসেছে। তাদের নিস্তেজ করে ফেলেছে। আজ মুসলিম তাবলীগরা অন্যায়ের বিরুদ্ধে একটা কথা বলে না, অথচ, নাস্তিক, মুরতাদ, শয়তান, অমুসলিম এদেশে সংখ্যায় খুবই কম অথচ তারা ইসলামকে ক্ষতি করার জন্য কত বড় বড় বক্তব্য পেশ করছে, সরাসরি কোরআনের বিরুদ্ধে কথা বলছে, বিভিন্ন চ্যানেলে টকশো করছে। তাবলীগের কোটি কন্ঠে যদি একটিবারের জন্য ভেসে আসত এর প্রতিবাদ তবে ঐ সমস্ত নাস্তিক, মুরতাদ ভয় পেয়ে যেত। তারা সাবধান হয়ে যেত্। মৃত তাবলীগ মানে জাতির ঘাড়ে মস্ত বোঝা।
আলীর মত বীর, খালিদের মত বীর, রাসূলের মত সেনা নায়ক যে কোরআন থেকে সৃষ্টি তাবলীগ সেই কোরাআনের শিক্ষা না নেওয়ার ফলে মৃত মানুষে পরিণত হয়েছে। মৃত্ তাবলীগে পরিণত হয়েছে। ওরা যেদিন ফাজায়েলের বিধান ছেড়ে কোরআনের বিধানে চলে আসবে সেদিন ওদের মধ্যে কিছুটা হলেও প্রতিবাদের ভাষা চলে আসবে! নতুবা মৃত মানুষের মিছিল বাড়তেই থাকবে জাতির অভিশাপ স্বরুপ!