কারাগারে যাওয়ার আগে দৈনিক সংগ্রামকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে প্রফেসর গোলাম আযম
আমাদের জন্য চিন্তা করবেন না || দেশ ও জনগণের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব সংরক্ষণে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন করুন
সামছুল আরেফীন : বর্ষিয়ান জননেতা, ভাষা সৈনিক, জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমীর অধ্যাপক গোলাম আযম কারাগারে যাওয়ার আগে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, আপনারা আমাদের জন্য চিন্তা করবেন না। চিন্তা করুন দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য, দ্বীন ইসলামের জন্য। আমাদের জন্য যদি আল্লাহ শহীদি দরজা খোলা রেখে থাকেন তাহলে তো আমাদের সৌভাগ্যের কথা। তিনি সকলের কাছে দোয়া চেয়ে বলেন, দেশের মানুষকে বাঁচাতে, দেশকে বাঁচাতে, দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব সংরক্ষণে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন করবেন। দেশের আইনের বিরোধী কোনো কিছু করবেন না। তিনি তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের বিষয়ে বলেন, যে ৬২টি অভিযোগ এসেছে সে ধরনের অভিযোগ আমার নাগরিকত্ব মামলার সময়ও আনা হয়েছিল কিন্তু সে অভিযোগ সুপ্রিমকোর্ট গ্রহণ করেনি। এরপরও তারা আবার আমাকে ঐ ধরনের অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি করছে।
গতকাল বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আদেশে কারাবন্দি হন প্রফেসর গোলাম আযম। এর আগে মঙ্গলবার রাত ৮টায় মগবাজারের কাজী অফিস লেনস্থ নিজ বাস ভবনে তিনি দৈনিক সংগ্রামকে সাক্ষাৎকার দেন। সাক্ষাৎকারে তিনি নিজের ব্যাপারে, জামায়াতে ইসলামীর আন্দোলন, তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ, যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে আরও কিছু খোলামেলা কথা বলেছেন। এ সময় তিনি দেশবাসী ও জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যেও বক্তব্য রাখেন। তিনি সকলকে দেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার আহবান জানান। সাক্ষাৎকারটির বিবরণ :
দৈনিক সংগ্রাম : কয়েকদিন আগে দৈনিক সংগ্রামে দীর্ঘ সাক্ষাৎকার দেয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আজকে আরও কিছু কথা আপনার কাছ থেকে শুনতে চাই। মানুষের মধ্যে আজ অনেক প্রশ্ন আপনাকে নিয়ে, জামায়াতকে নিয়ে। আপনার ও জামায়াতের রাজনৈতিক ভূমিকা সম্পর্কে আরও কিছু জানতে চাই আমরা।
গোলাম আযম : অনেক প্রশ্ন রয়েছে সকলের মনে, আজকে দেশের পরিস্থিতি নিয়ে ইসলামী আন্দোলনের ভূমিকা নিয়ে, দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব নিয়ে এবং মুক্তিযুদ্ধকে ঘিরে। আমি মনে করি না একটি বক্তব্য সমস্ত প্রশ্নের জবাব নিয়ে দেবে, সমস্ত সমস্যার সমাধান করে দেবে অথবা সমস্ত ষড়যন্ত্রের মুখোশ উন্মোচন করবে। আপনার জিজ্ঞাসার জন্য ধন্যবাদ। আমি নিজে থেকেও দায়বদ্ধতা অনুভব করছি দেশবাসির উদ্দেশ্যে কিছু কথা বলার জন্যে।
ছাত্রজীবন থেকে দেশ ও জাতির জন্যে আমার কাজ করা শুরু। আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফজলুল হক মুসলিম হলের জিএস ছিলাম এবং ১৯৪৭-৪৮ ও ১৯৪৮-৪৯ সেশনে আমি ডাকসুর জিএস ছিলাম। জিএস হিসেবে ১৯৪৮ সালে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খানের কাছে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করাসহ অনেক দাবি-দাওয়া সংবলিত স্মারকলিপি পেশ করেছিলাম। পূর্ব বাংলার পক্ষে থেকে এ ধরনের দাবি ছিল এই প্রথম। বলা যায় যুক্তফ্রন্টের একুশ দফার ভিত্তিও ছিল এই দীর্ঘ স্মারকলিপি। রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে আমি দু'বার কারাবরণও করেছি। এইভাবে আমি মানুষের ওপর আল্লাহর দেয়া যে দায়িত্ব সেটাই পালন করবার চেষ্টা করেছি সারাজীবন এবং আল্লাহর কাছে শেষ বিচারের দিন জবাবদিহি করবার প্রস্তুতি নিতেই সচেষ্ট ছিলাম সব সময়। তারই অংশ হিসেবে মুসলিমদের উপর আল্লাহর নির্দেশিত দায়িত্ব এবং রাসূলের পথ অনুসরণ করে ইসলামের দাওয়াতের পাশাপাশি ইকামতে দ্বীনের কাজে নিজেকে নিয়োজিত করবার লক্ষ্যে জামায়াতে ইসলামীতে যোগ দেই। ইকামতে দ্বীনের যে কাজটি সকল নবী-রাসূল এবং তাদের সাহাবা, তাবেঈন, তাবে-তাবেঈনরা করে গেছেন, তাদের পথ অনুসরণ করে সে কাজই করার চেষ্টা করেছি আমি সারাজীবন।
জামায়াতে ইসলামী সবসময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলেছে, শোষকের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের পক্ষে কাজ করেছে। আর তাই শাসকের নির্যাতনের মুখে পড়েছে জামায়াতে ইসলামী বারবার। পাকিস্তানী শাসকদের দ্বারা জামায়াত প্রধান গ্রেফতার হয়েছেন। তার ফাঁসিরও হুকুম হয়, কিন্তু বিশ্ব জনমতের কারণে তাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয় পাকিস্তান সরকার। আইউব খান জামায়াতকে ইচ্ছা অনুসারে কাজে লাগাতে না পেরে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল। সুপ্রিমকোর্ট এই আদেশকে বেআইনি ঘোষণা করলে জামায়াত মুক্ত হয়।
জামায়াতে ইসলামী স্বাধীনতার আগে শুধু পাকিস্তানী শাসকদের দ্বারাই নির্যাতিত হয়নি ক্ষমতালোভীদের হাতেও সমানভাবে নির্যাতিত হয়েছিল। ১৯৬৯ সালে টিএসসি'র এক আলোচনাকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের নেতা আব্দুল মালেককে ঢাঃবিঃ-এর ধর্মনিরপেক্ষবাদীরা হত্যা করে। ১৯৭০ সালে জামায়াতের পল্টন জনসভা আওয়ামী লীগের দ্বারা আক্রান্ত হয়, রক্তাক্ত হয় পল্টন মাঠ। তখন কিন্তু জামায়াতে ইসলামীর ‘স্বাধীনতাবিরোধী' হবার কোনো অভিযোগ ছিল না। রাজনৈতিক কারণেই শুধু জামায়াত বৈরিতার শিকার হয়।
আবার পাকিস্তানী শাসকদের হাতে যখন আওয়ামী লীগ মার খেল আমরা কিন্তু তখন অন্যায়ের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের পক্ষেই দাঁড়ালাম। ১৯৬৯ সালে শেখ মুজিবকে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা থেকে মুক্ত করার জন্যে DAC (Democratic Action Committee)-এর সাথে আমরা লড়েছিলাম। আওয়ামী লীগ নির্বাচনে জেতার পর আমরা শেখ মুজিবের হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে সামরিক জান্তাকে বিদায় নিতে বলেছিলাম। এ ব্যাপারে আমরা বারবার বক্তব্য বিবৃতি দিয়েছি। কিন্তু ক্ষমতা তার হাতে হস্তান্তর করা হয়নি। কিন্তু আন্দোলনের নেতা শেখ মুজিবুর রহমান কোনো প্রোগ্রাম না দিয়েই গ্রেফতার হয়ে পাকিস্তান চলে গেলেন এবং মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়ে গেল। তখন আমরা সংকটে পড়ে গেলাম। ভারতে যাওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব ছিল না। ভারত আশ্রয়ও দিত না। এর প্রমাণও রয়েছে। এ অবস্থায় আমরা জনগণের পাশে থাকারই সিদ্ধান্ত নিলাম। পাকিস্তানী শাসক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আমাদের নিজস্ব অভাব অভিযোগ ছিল। আমাদের এই অসন্তোষ আমরা প্রকাশ করেছি একই রাষ্ট্র কাঠামোর আওতায় পূর্ব পাকিস্তানের জন্য ব্যাপক স্বায়ত্তশাসনের পক্ষে সব সময় ছিলাম। অনুরূপভাবে বিচ্ছিন্নতা বা স্বাধীনতার বিপক্ষেও আমরা ছিলাম না। সম্মিলিত সিদ্ধান্ত নিয়ে এটা করা যেত, যেহেতু আমরা সংখ্যাগুরু ছিলাম। কিন্তু ভারতের সাহয্যে স্বাধীনতা আসবে তা আমরা মনে করিনি। আমরা মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিতে পারিনি এসব কারণেই। আমরা অখন্ড পাকিস্তানকে সমর্থন করেছি। কিন্তু কোন অপকর্মকে আমরা সমর্থন বা সহযোগিতা করিনি। আমরা মানবতার বিরুদ্ধে কোনো অপরাধও কখনো করিনি। বরং সাধ্যমত অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছি। রায়ে বিজ্ঞ বিচারপতি বলেছিলেন, ‘‘Except some news items and one photograph showing that the petitioner met General Tikka Khan of General Yahya Khan. There is nothing to directly implicate the petitioner in any of the atrocities alleged to have been perpetuated by the Pakistani Army or their associates The Rajakars, Al-Badrs or the Al-Shams. Except that the petitioner was hobnobbing with the Military Junta during the war of liberation we don't find anything that the petitioner was in any way directly involved in perpetuating the alleged atrocities during the war of independence.’’
দৈনিক সংগ্রাম : দেখা যাচ্ছে জামায়াত সব সময়ই গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ছিল। আওয়ামী লীগের সাথেও বিভিন্ন সময় আপনারা একসাথে আন্দোলন করেছেন। এখন তারা এতটা খড়গহস্ত কেন?
প্রফেসর গোলাম আযম : আমরা সবাই জানি এর কারণ কী। এর কারণ হলো রাজনৈতিক। যুদ্ধাপরাধের বিচার, পাকিস্তানী দালালদের বিচার যদি আসল উদ্দেশ্য হতো তাহলে তো তাদেরকেই প্রথমে ধরা হতো যাদেরকে শেখ মুজিবুর রহমানের সময় তার নিয়োজিত তদন্ত কমিটি যুদ্ধাপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করেছিল এবং তাদেরকেও ধরা হতো যারা সেদিন দালাল আইনে সাজাপ্রাপ্ত হয়েছিল ও মামলা হয়েছিল। তখন তো তরতাজা evidence এবং সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে তাদেরকে ধরা হয়েছিল। আজ কেন আমাদেরকে ধরা হচ্ছে যাদের বিরুদ্ধে একটা মামলাও ছিল না সেদিন? এটা সরকার সম্পূর্ণ রাজনৈতিক কারণে করছে। উদ্দেশ্য হলো, জামায়াতকে মাঠ থেকে সরিয়ে বিএনপি থেকে জামায়াতকে বিচ্ছিন্ন করা। তা করতে পারলে আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় থাকা এবং ক্ষমতায় যাওয়ার পথ সহজ হয়। এ কথাতো ইতোমধ্যে প্রমাণিত হয়েছে, বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী এক সাথে নির্বাচন করলে আওয়ামী লীগের পরাজয় হয়। চট্টগ্রামের সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন এবং সর্বশেষ কুমিল্লা সিটি নির্বাচন এর সাম্প্রতিক দৃষ্টান্ত।
দৈনিক সংগ্রাম : জনগণই দেশের মালিক। তাদের উদ্দেশ্যে কী কিছু বলবেন?
প্রফেসর গোলাম আযম : একটা কথা মনে রাখা দরকার দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের গ্যারান্টি একমাত্র ইসলাম। ইসলামকে ভিত্তি করেই দেশের সীমানা নির্ধারিত হয়েছে। সেই ইসলামই যদি দেশে না থাকে, তাহলে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব থাকতে পারে না। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত সেক্যুলার দেশ। তাদের আদর্শের থেকে আমাদেরটা আলাদা না থাকলে সীমানা থাকবে কী করে? বাংলাদেশের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়বে যদি ইসলামকে আদর্শ হিসেবে স্বীকার করা না হয়।
ইসলাম হচ্ছে একটা জীবন বিধানের নাম। এই জীবন বিধানের পক্ষে যারাই কাজ করেছেন এবং স্বৈরশাসনের পক্ষে থাকতে চাননি তারাই হয়েছেন অপবাদের শিকার, অত্যাচার-নির্যাতনের শিকার। নবী-মুহম্মদ (সা.), তার সাহাবিগণ এবং ইমাম আবু হানিফা (রহ.) ও ইমাম হাম্বল (রহ.)-এর মত ইসলামের খাদেমগণ সবাই অত্যাচারের শিকার হয়েছেন। ইমাম আবু হানিফা (রহ.) ও ইমাম হাম্বল (রহ.) এ দুজনের মতো অনেকেই কিন্তু অমুসলিমদের হাতে অত্যাচারিত হননি। তারা অত্যাচারিত হয়েছেন, শহীদ হয়েছেন ক্ষমতালোভী মুসলিম শাসকদের হাতেই। স্বৈরশাসকদের কথা না শোনাই ছিল তাদের অপরাধ। আমরা কেউ তাদের মতো অত বড় নই, কিন্তু তাদের পথ অনুসরণ করছি বলেই এই অত্যাচার। সরকার চায় দেশপ্রেমিকদের নানাভাবে জেলে ঢুকিয়ে প্রতিবাদের কণ্ঠ সরিয়ে দিয়ে দেশের সবকিছু ভারতকে দিয়ে দিতে। ওরা জানে আজ জামায়াত বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের সাথে টিপাইমুখ বাঁধের বিরুদ্ধে সক্রিয় রয়েছে, এই ট্রানজিট দেয়ার বিরুদ্ধে অত্যন্ত সোচ্চার, বন্দর দেয়ার বিরুদ্ধে জনগণের পাশে থেকে লড়বে, সেই জামায়াতসহ সব দেশপ্রেমিকদের বিভিন্ন অজুহাতে আজ জেলে পুরা হচ্ছে।
দৈনিক সংগ্রাম : দীর্ঘদিন জামায়াতে ইসলামীর আমীর ছিলেন। আপনার সেই সহকর্মীদের উদ্দেশ্যে কিছু বলবেন?
প্রফেসর গোলাম আযম : প্রিয় ভাইরা, আপনারা মনে রাখবেন স্বয়ং রাসূল (সা.)-কে যে কষ্ট করতে হয়েছে শিয়াবে আবু তালেবের অবরোধ ভূমিতে তার তুলনায় এসব কিছুই নয়। আমরা তার পথ অনুসরণ করার সিদ্ধান্ত যখন নিয়েছি কষ্টতো আমাদেরকে করতে হবেই। আপনারা আমাদের জন্য চিন্তা করবেন না, চিন্তা করুন দেশের জন্য, দেশের সকল মানুষের জন্য, দ্বীন ইসলামের জন্য। আমাদের জন্য যদি আল্লাহ শহীদি দরজা খোলা রেখে থাকেন তাহলে তো আমাদের সৌভাগ্যের কথা। আমাদের জন্য ভাববেন না। দোয়া করবেন। আর নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন করবেন দেশের মানুষকে বাঁচাতে, দেশকে বাঁচাতে, দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব সংরক্ষণে। দেশের আইনের বিরোধী কোনো কিছু করবেন না। দেশের মানুষের কষ্ট হয় তেমন কিছু করবেন না। একটা লাশ পড়লে দশটা লাশ ফেলার নির্দেশ যারা দেয় আমরা তাদের মতো নই। রাসূল (সা.)-এর নির্দেশিত পথ যে অনুসরণ করে, সে এ ধরনের অমানবিক কথা বলতে পারে না। আমি আপনাদেরকে অনুরোধ করবো দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলুন দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য, টিপাইমুখ বন্ধের জন্য, ট্রানজিট বন্ধের জন্য, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব সংরক্ষণের জন্য নিয়মতান্ত্রিকভাবে।
দৈ: সংগ্রাম: অসুস্থতা সত্ত্বেও শীতের এই সন্ধ্যায় সাক্ষাৎকার দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।
প্রফেসর গোলাম আযম : আপনাদের ধন্যবাদ দেশবাসীর সামনে এই কথাগুলো বলার সুযোগ দেয়ার জন্য।