নির্দোষ দাবি করে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন গোলাম আযম
rtnnঢাকা, ১৩ ডিসেম্বর (আরটিএনএন ডটনেট)-- জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমীর অধ্যাপক গোলাম আযম নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেছেন, তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আনা হয়েছে তা অভিযোগ নয়, তা অপবাদ।
এসব অপবাদের একটিও প্রমাণ করতে পারবে না বলেও চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার বেশ কয়েকটি বেসরকারি টেলেভিশন চ্যানেলকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে গোলাম আযম এসব কথা বলেন।
প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালে যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান জামায়াতের আমীর থাকা অবস্থায় পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে সহযোগিতা করে দেশে হত্যা-ধর্ষণ-লুট-অগ্নিসংযোগ এবং ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী হত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধের এন অভিযোগ এনে গতকাল সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিল করা হয়।
ট্রাইব্যুনালে আনা ৫২টি অভিযোগ প্রসঙ্গে গোলাম আযম বলেন, ‘এগুলো অভিযোগ নয়, অপবাদ। তারা অভিযোগ এনেছে, তবে আমাকে তো কোর্টে হাজির করা হবে, তখন আমি বলবো, একটা অভিযোগ প্রমাণ করুক। আমি চ্যালেঞ্জ দিচ্ছি- একটাও প্রমাণ করতে পারবেনা।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘আসল ব্যাপার হচ্ছে, জামায়াতে ইসলামীকে নেতৃত্বহীন করতে হবে, রাজনৈতিক ময়দানে তারা যেন ভূমিকা না রাখতে পারে, এ কারণেই যুদ্ধাপরাধী গালিটা ২০০১ সালের নির্বাচনের পর থেকে চালু হয়েছে।’
গোলাম আযমের দাবি, সেনাবাহিনীকে সহযোগিতা করতে একাত্তরে রাজাকার, আল-বদর বা আল-শামস- কোন বাহিনী তিনি গঠন করেননি। এসব গঠন করেছে তৎকালীন সরকার।
তিনি বলেন, ‘আর্মিদের সহযোগিতা করার সুযোগটাই বা কী? আর্মির কাজ হচ্ছে আর্ম দিয়ে কাজ করা, আমরা সেখানে কী সহযোগিতা করবো? আর মুক্তিযুদ্ধের সময় তাদের বিরোধিতা করা- সেটা তো কোনো পত্রিকায়ও আসে না।’
হত্যা-ধর্ষণ এবং বুদ্ধিজীবী হত্যা প্রসঙ্গে জামায়াতের সাবেক এ আমীর বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, ‘এসব অভিযোগ আগে কেন করা হয়নি। এখন কেন এসব বিষয় তোলা হচ্ছে। এ প্রশ্নের জবাব কী?’
কোনো মানবতাবিরোধী অপরাধ করেননি দাবি করে তিনি পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, ‘বিচারে কি রায় হবে- তা আগেই ফয়সালা হয়ে আছে। এটা তো একটা প্রহসন মাত্র। বিচারের অভিনয় চলছে।’
যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রসঙ্গে সম্প্রতি পাট ও বস্ত্র মন্ত্রীর দেয়া বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে গোলাম আযম বলেন, ‘এইতো কিছু দিন আগে পাটমন্ত্রী বলেছেন- কোনো বিচারের দরকার নেই, সরাসরি ফাঁসি দিয়ে দাও।’
বিচারের জন্য তিনি ভীত নন, সবকিছুর জন্যই তিনি প্রস্তুত আছেন বলে জানান দেশের বৃহত্তম ইসলামী দলের নেতৃত্ব দেয়া ডাকুস’র সাবেক এ জিএস ও ভাষা সৈনিক
*