একটা প্রতারণা আমাকে দেখিয়ে দিল বিশ্বাসঘাতকদের পৈশাচিক রূপ কতটা ভয়ঙ্কর।পৃথিবীতে সবচেয়ে কুৎসিত ভয়ঙ্কর চেহেরাটা হলো দীর্ঘ সময়ের ঘনিষ্ট জনদের চিরচেনা প্রিয় মুখের বিবর্তিত স্বার্থপর অচেনা মুখগুলো। আমার মনে হয়, কোন মাংসভোজী ক্ষুধার্ত হিংস্র জানোয়ারের রূপও এতটা ভয়ঙ্কর নয়,যতটানা ভয়ঙ্কর সমমনা নিঃস্বার্থ ঘনিষ্টজন হিসেবে বিশ্বাস করা লোক গুলোর স্বার্থপর রূপ।
গা ছম ছম করে ! কি ভয়ঙ্কর রূপ তাদের ! বিশ্বাসী চোখগুলো যেন আগুনের কুন্ডলীতে পরিণত হয়েছে। যেনো এখনই আমার সবা পুড়ে ছাঁই করে দেয়। ভাবতেই চোখ কপালে ওঠে কি আবেগি খোলসের মধ্যে, ভয়ঙ্কর স্বার্থপর রূপকে ঢেকে রেখেছে ওরা। সময় ও সুযোগের অপেক্ষাকারী ওরা যে কতটা ভয়ঙ্কর প্রতারক ছদ্মবশী , তা কোন ভাবেই বোঝার উপায় নেই প্রতারিত সরল মনের বিশ্বাসীদের। বরং ওই সরল বিশ্বাসকে স্বার্থহাসিলে কাজে লাগিয়ে, স্বার্থ হাসিলে মিথ্যে অঙ্গিকার ও প্রতিশ্রুতির আশ্রয় গ্রহণ করে স্বার্থপরগুলো। তাদের এই রূপ কতটা ভিতীকর আর হৃদয় বিদারক অনুভূতি সৃষ্টি হয় আসলে বর্ণনা করে বোঝানো যাবেনা। একমাত্র বাস্তবতার কষাঘাতে এই রূপের মুখোমুখি হওয়া একজনই বুঝবেন কতটা কুৎসিত চরিত্রের রূপ এটা।
অতি সরল বিশ্বাস যে ভালোনা ; সেই শিক্ষা পেতে আমার আসলে লঘু পাপে গুরুদণ্ড হয়ে গেছে !
৯৬ এর গুন্ডা- ০৮ এর ভন্ডা -২০ এর শন্ডা ; লোভি নির্লজ্জগুলো অহেতুক হিংসা বিদ্বেষে লিপ্ত হয়েছে আসক্তির চাহিদা মেটাতে। এন্টারটেইনমেন্ট যে আসক্তিতে রূপ নিলে এমনই হওয়ার কথা। তখন আর নিজের বিবেক কাজ করেনা। পরের পেটে লাথি দিয়ে, তখন তারা ঠাকুর ঘরের বাতি জালনোকেই পূণ্য মনে করে। নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গকরে তারা। তাদের আসক্তি বেপরোয়া নাহলেকি, ব্যাক্তিত্ব বিসর্জন দিয়ে চাটুকারিতা আর গীবতের পথ বেছে নেয়। খোদাভিরু সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ, ভালো মনের মানুষ, চরিত্রবান বা সত্যবাদি লোক হলেকি পথ দেখানো মানুষটির সঙ্গে বিশ্বাস ভঙ্গ করতে পারে ! আসক্তির করণে জ্ঞান বুদ্ধি হারিয়ে নির্বোধ না হলে, সামান্যতম বোধ যদি থাকে, তাহলে যে মানুষটি তোমার দুঃসময়ে হাজারো বিপত্তির কথা চিন্তা না করে তোমার সঙ্গ দিয়েছে, তোমার ঘর গড়েছে নিজের হাতে, তোমার ভুলেই সৃষ্ট ঝড়ে সেইঘর তছনছ হওয়া থেকে রক্ষা দেয়ালের ভূমিকা নিয়েছে যে মানুষটি, তার সঙ্গে বিশ্বাস ঘাতকতার কথা চিন্তা করা যায়। অভাবের নদী পাড়ি দেয়ার জন্য নৌকা যোগার করে, নিজে ড্রাইভ করে অপর তীরে নিয়ে গেলো যে লোকটি,তাকেই ক্লান্তবস্থায় হাত পা বেঁধে নদীতে ফেলে দিলে এই ভেবে ; তোমার ভাগে কম পড়তে পারে। আরে হতবাগারা কারো রিজিক কেউ কেড়ে নিতে পারেনা, ইমানি পরীক্ষায় অকার্য্যকর হয় শুধুমাত্র। ঘৃণ এই হীনমনতার পরিচয় পেলে সমাজ তোমাদের ছি ছি করবে,জেনে যাবে তোমাদের আসল রূপ সেটাও বুঝতে পারছো,তাই আবার মিথ্যে অপবাদের দেয়াল তৈরী করছো। ভুলে যেওনা অন্তরজামী আল্লাহর পাকড়াও থেকে রক্ষা হবেনা কারোরই যে যত শক্তিশালী,বিত্তবান আর মহাজ্ঞানী মনে করোনা নিজেকে।
বলি স্বার্থপর তোমরা পরের ভলোতে এতটা হিংসাত্বক কেন !
হালাল আর হকের পথের অঙ্গীকার করে তা ভঙ্গ করেছো। যা সরল পথে সম্ভব মিথ্যা অহংকার আর লোভে নিমজ্জিত হয়ে বাঁকাপথ বেছে নিয়েছো, কতটা নিচে নেমেছ একবার চিন্তা করো পরের অনিষ্টকারীরা। মিছে বড়ত্ব আর আমিত্বের বড়াই করছো। মনে রেখ তোমার আমার সৃষ্টিকর্তা যদি একই হন তবে শ্রষ্ঠা অবশ্যই হককে প্রতিষ্ঠা করবেনই, বেইনছাফি ধ্বংস করে।
আমরা যে ধর্ম-কর্ম নিয়েই সামনের দিকে অগ্রসর হচ্ছি কিনা ? তা নিয়ে গর্বিত বা অহঙ্কার করার কিছুই নেই। প্রত্যেকের হকের বিচার অতি সন্নিকটেই। ধর্ম-কর্মের হিসাব কড়ায় গন্ডায় দেয়া থেকে আমরা কেউই পার পাবোনা। ধন সম্পদ, পেশি শক্তি, স্বজন বা ক্ষমতা, কোনকিছুই সেদিন রক্ষা করতে পারবেনা অসৎকার্য কারী দলের সব সদস্যদেরকে।
হীন চরিত্রের স্বার্থে,মিথ্যার আশ্রয় আর প্রতারণা করে কাউকে ঠকিয়ে- অর্থকরী কামিয়ে বেশ আয়েশ করছো। অন্যের পেটে লাথি দিয়ে স্ত্রী সন্তান স্বজন নিয়ে বেশ আছো! আর অহংকার করে বুক উঁচু করে বীর দর্পে দাবড়াচ্ছো কালো পেশীশক্তিতে। এক মুহূর্তেই সব কেড়ে নিতে পারেন হযরত আদম (আঃ) থেকে শুরু করে হযরত ইব্রাহিম (আঃ) হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) সৃষ্টিকর্তা পালন কর্তা,ফেরউন -নমরুদের সৃষ্টিকর্তা, পালনকর্তা,ধ্বংসকারী, তোমার আমার সৃষ্টিকর্তা পালন কর্তা। তোমার দ্বারা জুলুমের শিকার ব্যাক্তি তোমার কাছে যতটানা অসহায়,তার চেয়ে বেশি ধৈর্য্যশীল। আমার ওপর জুলুমের বিচার রবের কাছে। আমি বিশ্বাসকরী আমার রবের পক্ষথেকে সামনেই তারচেয়ে উচিৎ গুনবেশী অসহায়ত্ব তোমার জন্য অপেক্ষমান। সেদিন আর শোধরাবার কোন সুযোগ রাখা হয়নি,ক্ষমার পথগুলোও সব বন্ধ রাখবেন আমার রব। রহমানের রাহিম সেদিন আবির্ভূত হবেন ক্বাহার রূপে।
অতএব মিথ্যে লোভ-হিংসায় নিমজ্জিত হয়ে নিজেকেই বিপদগ্রস্ত করছো। মিথ্যে অহংকারে তুমি ভুলে যেতেপারো জান, ইমান, আমল, মাল, ইজ্জত সবই পরম করুণাময়ের কৃপা।
কিন্তু মনে রেখো তিনিই- পরম দয়ালু আর রহমান , অতিশয় মেহেরবান আর রাহিম, সর্ব কর্তৃত্বময় আল মালিক,নিষ্কলুষ অতি পবিত্র আল কুদ্দুস, নিরাপত্তা দানকারী শান্তি দানকারী আস সালাম, নিরাপত্তা দানকারী ইমান দানকারী আল মুমিন,পরিপূর্ণ রক্ষণাবেক্ষণকারী আল মুহাইমিন, পরাক্রমশালী অপরাজেয় আল আজীজ,দুর্নিবার আল জাব্বার,নিরঙ্কুশ শ্রেষ্ঠত্বের অধিকারী আল মুতাকাব্বিইর,সৃষ্টিকর্তা আল খালিক্ব,সঠিকভাবে সৃষ্টিকারী আল বারী,আকৃতি দানকারী আল মুছউইর,পরম ক্ষমাশীল আল গফ্ফার, কঠোর আল ক্বাহার,সবকিছু দানকারী আল ওয়াহ্হাব,রিযিকদাতা আর রাজ্জাক্ব,বিজয়দাকারী আল ফাত্তাহ,সর্বজ্ঞ আল আলীম,নিয়ন্ত্রণকারী সরলপথ প্রদর্শনকারী আল ক্ববিদ,প্রশস্তকারী আল বাসিত, কাফের ও মুশরিকদের অবনতকারী আল খাফিদ্বু,উন্নতকারী আর রফিই,সম্মানদানকারী আল মুইজ্ব,অবিশ্বাসীদের বেইজ্জতকারী আল মুদ্বিল্লু,সর্বশ্রোতা আস সামি,সর্ব দর্শনকারী আল বাছীর,অটল বিচারক আল হাকাম,পরিপূর্ণ বিচারক আল আদল, সকল গোপন বিষয়ে অবগত আল লাতীফ,সকল বেপারে জ্ঞাত আল খবির,অত্যন্ত ধৈর্যশীল আল হালিম,সর্বোচ্চ মর্যাদাশীল আল আজীম,পরম ক্ষমশীল আল গফুর,গুগ্রাহী আশ শাকুর,সুমহান আল কাবিইর,সংরক্ষণকারী আল হাফীজ,সকলের জীবনোপকরণ দানকারী আল মুক্বীত,হিসাব গ্রহণকারী আল হাসিব,পরম মর্যাদার অধিকারী আল জালীল,সুমহান দাতা আল কারীম,তত্বাবধায়ক আল রক্বীব,সাড়া দানকারী কবুলকারী আল মুজীব,সর্বত্র বিরাজমান আল ওয়াসি,পরম প্রজ্ঞাময় আল হাকীম,বান্দাদের প্রতি সদয় আল ওয়াদুদ,সকল মর্জাদার অধিকারী আল মাজীদ,পুনুরুজ্জীবিতকারী আল বাইছ,সর্বজ্ঞ সাক্ষী আশ্ শাহিদ,পরম সত্য আল হাক্ব,পরম নির্ভরযোগ্য কর্মসম্পাদন কারী আল ওয়াকিল,পরম শক্তির অধিকারী আল ক্বউইউ,সুদৃঢ় আল মাতীন,অভিভাবক ও সাহায্যকারী আল ওয়ালিইউ,সকল প্রশংসার অধিকারী আল হামীদ,সকল সৃষ্টির বেপারে অবগত আল মুহছী,প্রথম সৃষ্টিকারী আল মুব্দি,পুনরায় সৃষ্টিকর্তা আল মুঈদ,জীবন দানকারী আল মুহয়ী,মৃত্যুদানকারী আল মুমীত,চিরঞ্জীব আল হাইয়্যূ,সমস্তকিছুর ধারক ও সংরক্ষণকারী আল ক্বাইয়্যুম,অফুরন্ত ভান্ডারের অধিকারী আল ওয়াজিদ,শ্রেষ্ঠত্বের অধিকারি আল মাজিদ,এক ও অদ্বিতীয় আল ওয়াহিদ, এক আল আহাদ,অমুখাপেক্ষী আছ্ ছামাদ,সর্ব শক্তিমান আল ক্বদীর,নিরঙ্কুশ সিদ্ধান্তের অধিকারী আল মুক্ব্তাদীর,অগ্রসারক আল মুক্বদিম,অবকাশ দানকারী আল মিয়াক্খির,অনাদি আল আউয়াল,অনন্ত;সর্বশেষ আল আখির,সম্পূর্নরুপে প্রকাশিত আজ জাহির,দৃষ্টি হতে অদৃশ্য আল বাত্বিন,সমস্ত কিছুর অভিভাবক আল ওয়ালি,সৃষ্টির গুনাবলীর উর্দ্ধে আল মুতাআলী,পরম উপকারী অনুগ্রহশীল আল বার্,তাওবার তৌফিক দানকারী ও কবুলকারী আত্ তাওয়াব,প্রতিশোধ গ্রহণকারী আল মুনতাক্বীম,পরম উদার আল আফউ,পরম স্নেহশীল আর রউফ,সমগ্র জগতের বাদশাহ্ মালিকুল মুলক,মহিমান্বিত ও দয়াবান সত্ত্বা যুল জালালি ওয়াল ইকরাম,হকদারের হক আদায়কারী আল মুক্ব্সিত,একত্রকারী বা সমবেতকারী আল জামিই,অমুখাপেক্ষী ধনী আল গণিই,পরম অভাব মোচনকারী আল মুগণিই,অকল্যান রোধক আল মানিই,ক্ষতিসাধনকারী আয্ যর,কল্যানকারী আন নাফিই,পরম আলো আন্ নূর,পথ প্রদর্শক আল হাদী,অতুলনীয় আল বাদীই,চিরস্থায়ী অবনিশ্বর আল বাক্বী,উত্তরাধিকারী আল ওয়ারিস,সঠিক পথ প্রদর্শক আর রাশীদ,অত্যধিক ধৈর্য ধারণকারী আস সবুর।
তোমার সীমালঙ্ঘনের জন্য মুহর্তেই সবকেড়ে নিতে পারেন আমার রব। দম্ভভুলে একবার ভেবে দেখো, আমরা আমাদের জন্য বরাদ্ধকৃত নির্দিষ্ট সময় পার করছি এর বেশিকিছু নয় এবং গন্তব্যও একদিকেই, মৃত্যু পর্যন্ত। ভূমিষ্ট হবার পর থেকেই আমাদের যাত্রা একই স্থানে, পরম করুণাময় সৃষ্টিকর্তার বিচারের ময়দানে। আমরা প্রত্যকেই ইহকাল থেকে ধাবিত হচ্ছি অনন্ত কালের সুরঙ্গ পথ কবরের দিকে ! সবার হাতেই কিছুটা সময় রয়েছে। তবে কতটা সময় হাতে আছে তা কারো জানা নেই। মুহর্তেই বাকি সময়টা শেষ হবে এটাই সবার জানা। জীবনের বাকিটা সময় পার করে ফেলেছি। বাকিমাত্র কিছুক্ষণ।
আমার রব কঠিন হাশরের ময়দানে ইচ্ছে করলেই সব মাফ করে দিতে পারেন কিন্তু পরের হকের মাফের অধিকার নিজে রাখেননি। দিনে অন্ততো দুইবার কবরের পাশদিয়ে হাটো তোমরা, দিনটা কাটাও কবরের পাশে বসে। রাসুলের সুন্নতের বেশ ধরে ভদ্রবেশি মাদকাশক্তদের নিয়ে, কবরের পাশে বসে প্রতারণার ফাঁদ নিয়ে বসেছো! আল্লাহ এই জুলুম সহ্য করবেনা। অঘাত বিশ্বাস নিয়ে জীবনের ঝুঁকিসহ সব ধরনের ঝুঁকি নিয়ে তোমাদের জরুরত পুরো করতে এক কদমও পিছপা হয়নি। এর প্রতিদান দিয়ছো মিথ্যা অপবাদ। আমার হক খিয়ানত করে পরিবার পরিজন নিয়ে আয়েশ করছো। পরগাছা তোমরা গীবতকে বানিয়েছো অশ্র।
এখনও সময় আছে নিজেদের ভুলের জন্য মনে অনুসূচনা এনে তাওবা করার তৌফক ও কবুলের জন্য প্রার্থনা করো আত্ব তাওবয়াবের কাছে। নইলে আমার রবের আল মুক্বসীত নামের কসম,আল মুনতাক্বীম নামের কসম অচিরেই আমার রব তোমাদের ধংস করে দিতে পারেন। মুহর্তেই তোমাদের অহংকার গর্ব কেড়ে নিতে পারেন। কথাগুলো পড়ে এখন অট্টহাসি হাসছো, এটাই তোমাদের সভাব। এ অট্টহাসি একদিন থেমে যাবে, মৃত্যু ও শেষ বিচার থেকে পালবার কোন উপায় রাখেননি সর্ব শক্তিমান প্রথম সৃষ্টকারী পুনরুত্থান কারী সর্বজ্ঞ অমুখাপেক্ষী আল ক্বাহার।
সকল শুভাকাঙ্খীর কাছে দোয়া চাই আমি যেন ধৈর্য্য সহকারে সঠিক পথে অটল থাকতে পারি। যারা বিপথগামী আল্লাহ যেন তাদের সঠিক বুঝ দান করে হেদায়েত নসিব করেন। নসিবে হেদায়েত না থাকলে আল্লাহ যেন ওদের প্রতি হকের বিচার করেন।###