তোমার জন্মশতবর্ষেই বাঙ্গালী পেলো পূর্ণ স্বাধীনতার সাধ,
জানো নেতা অনেকটা পথ পেরিয়ে বাঙ্গালী পেয়েছে আজ স্বাধীনতার সাধ।
তোমায় হত্যা করে গণতন্ত্রের নামে স্বৈরশাসন আর স্বাধীনতা বিরোধীদের বিচরণ ছিল অবাধ।
এতদিন বাঙ্গালীর স্লোগান জয় বাংলাতেও ছিল বাঁধ।
তোমার অকাল বিদায় বিশ্বকে অবাক করলেও তুমি ঠিকই বুঝেছিল,
তাইতো তুমি ঘরেই রেখে গিয়েছিলে বাঙ্গালির ঐক্যের প্রতীক নৌকার মাঝি;
তোমায় হারিয়ে মুক্তিকামী বাঙালী যখন স্বাধীনতা রক্ষায় দিশেহারা,
অথৈ সাগর পাড়ি দিতে সবহারা সে মাঝিইতো
বাঙ্গালীর হয়ে সয়েছে সব ঝড়ের ঘাত প্রতিঘাত।
সে মাঝি বৈঠা ধরেছে শক্তহাতে,
তোমারই মতো বাঙালীদের ছেড়ে যায়নি,
জীবনবাজিতে রুখে দিয়েছে স্বাধীনতা বিরোধীদের সেসব আঘাত।
অসাম্প্রদায়িক চেতনা আর সমপ্রিতী ধরে রাখতে,
জীবনটাকে হাতের মুঠোয় নিয়ে ঢাল হয়ে ফিরিয়েছেন,
বাঙ্গালীর দিকে ছুটে আসা সাম্প্রদায়িক তীরের আঘাত।
তোমারই আদর্শের সে মাঝি
মানবতার স্বার্থে মাথা নোয়াননি কোন হুঙ্কার গর্জনে,
বীরদর্পে বাঙ্গালী ঘরে এনেছে বিশ্বমানবতার মায়ের সাধ।
তোমার বাঙ্গালী কবির লিখা,
মোদের গরব মোদের আশা-আমরি বাংলা ভাষা,
আজ বিশ্ব মাতৃভাষা দিবসের প্রবাদ।
তোমার নৌকার মাঝি বঙ্গকণ্যাই যে আজ
নেতাশূণ্য শোসিত বাঙ্গালীকে ফিরিয়ে দিয়েছে শাসনের প্রভাত।
নেতা আজ তোমার বাংলা বিশ্ব অর্থনীতিতে উদিয়মান,
মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি আজ বেগবান।
আজ তোমার বাংলায় সন্ত্রাস আর দূর্নীতির হয়না স্থান,
তোমার আদর্শের আজ জয়জয়কার,
দল বোঝেনা স্বজন বোঝেনা সরকার,
সংবিধান একটাই- অপশক্তির ঠাঁই নেই দলে আর অর্থ বলে;
জেলখানাই তাদের বাসস্থান,
লুন্ঠিত সম্পদ উদ্ধার আর প্রতিষ্ঠিত হয় জনতার অধিকার।
জ্ঞানচর্চা হবেনা অজপারাগাঁয়ে ? থাকবেনা আধুনিকতার ছোঁয়া ?
তোমার কণ্যা শেখ হাসিনা নেতৃত্ব থাকাতে তা কি হয়!
তোমার সোনার বাংলায় আজ সর্বত্র আলোর ছোঁয়া,
বাঙ্গালীর রয়েছে একটি ঘর একটি খামার,
অবহেলিত গ্রাম, সেকেলে কথা আজ তা বড়ই বেমানান।
নেতা আমিই ঠিকই ধরেছি-
বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবর্ষ যখন এলো,
আজইতো বাঙ্গালী স্বধীনতার সাধ পেলো,
"জয় বাংলা" বাঙ্গালীর জাতীয় স্লোগান
এ বছরই তো স্বীকৃতি পেলো।