শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে আমাদের দেশে মসজিদে মসজিদে দোয়া হলো মজলুম মুসলিমরা ভারতের দিল্লিসহ বিশ্বের যে সব প্রান্তে নির্যাতিত হচ্ছে তাদের জন্য। বিক্ষোভ ও প্রতিবাদও হচ্ছে বিভিন্ন স্থানে। বাংলাদেশের চারপাশ ঘিরে থাকা রাষ্ট্রগুলোতেই চলছে মুসলমানদের ওপর। আর বাংলাদেশ হলো মুসলিম প্রধান অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র। এখানকার মুসলিমরা ধর্মভিরু তবে উগ্রবাদি না। ঠিক এখানটাতেই সরকারকে অধিকতর সতর্ক হতে হবে। এখানকার মুসলিমদের প্রতিবাদের ফাঁকে যেন উগ্রতা ছড়িয়ে না দেয় কোন রাজনৈতীক দল। হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গার কথা ভুলে গেলে চলবেনা। আর তৎকালীন দাঙ্গার ভয়াবহতা থেকে এখনকার দাঙ্গা কতটা বেশি ভয়াবহ হবে তা একটু ভাবতে হবে। কোন মতেই যাতে ওই ধরনের পরিস্থিতীর সামান্যতম নাড়া দিয়ে উঠতে না পারে। সরকারি দলের উচিৎ হবে মুসলিমদের প্রতিবাদ নিয়ে কোন ধরনের পাল্টা বক্তব্য না দেয়া। সরকারের তরফ থেকে স্পষ্ট বুঝিয়ে দিতে হবে কোন ধরনের সন্ত্রাসবাদের পক্ষে নেই বাংলাদেশ। মিয়ানমারে নির্যাতিত মুসলিমদের আশ্রয় দিয়েছে এই বাংলাদেশ সরকার। পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রের বা যে কোন রাষ্ট্রের সন্ত্রাসবাদকে ফলো করে এই দেশে কোন সাম্প্রদায়িকতা ও সন্ত্রাসবাদের উত্থান ঘটতে দেয়া যাবেনা। সরকারকে স্পষ্ট জানিয়ে দিতে হবে দেশের স্বার্থে পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রের কর্তাদের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে একটা বাধ্য বাধকতা থাকে। শুধুমাত্র এতটুকুই। সরকারকে বলতে হবে এটা এমন একটা দেশ, যে দেশ শুধু মুসলিম নয়, মানবতার পক্ষের। যখানেই মানবতার প্রতি অবিচার হবে, সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন হয়,সন্ত্রাসবাদ প্রতিষ্ঠা হয় তার বিরুদ্ধেই এদেশের অবস্থান। স্পষ্ট কথা হলো ভারত প্রেমী পসকিস্থান বিদ্বেষ সরকার এই যায়গা থেকে বেরিয়ে সরকারকে প্রতিষ্ঠিত হওয়া উচিৎ সন্ত্রাসবাদ সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরোধী এই সরকার। যার সাথেই সরকারের সু সম্পর্ক থাকুক না কেন নিতীর বিরুদ্ধে গেলে সেই সু সম্পর্কের অবসান ঘটাতে জানে বাংলাদেশ।
বিশ্ব নেতৃত্বকে বলবো মুখে কুলুপ না এঁটে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াও। সাম্প্রদায়িক শক্তির উত্থান ঠেকাতে না পারলে সব ধর্ম জাতের লোকেরই কাল স্থান ভেদে শিকার হতে হবে। তোমরা যারা বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠা করার কথা বলছো তারা শুধূ সাদ্দাম গাদ্দাফিকে নয়, অং খানকি সুচি ও চুদির পোলা মোদিকেও ধরো
তোমাদের দেয়া কথাটাই রাখো সন্ত্রাসীদের কোন ধর্ম নেই জাত নেই। ধর্মীয় সরসুরির কারনে সাম্প্রদায়িক বিচির তলে মাথানত করোনা। এতে বিশ্ব শান্তি নয় অশান্তিই প্রতিষ্ঠিত হবে। খোদাই গজবের কথা বাদই দিলাম। কারণ ওইটা বুঝতে হলে যে বিচক্ষণ হতে হবে,সেই বোধ তোমাদের হবে না,যতক্ষন না তোমরা তার শিকার না হবে। আরবিশ্ব শান্তি যদি চাও তাহলে মুসলিমদের মূল জিহাদকে ভয় পাও। কারণ কোন দেশে মুসলিম বা ইসলামের ওপর আঘাত আসলে সে দেশের অভ্যন্তরে তা প্রতিহত করতে ব্যার্থ হয় তবে পাশের রাষ্ট্রের মুসলিমদের জন্য তার প্রতিবাদ প্রতিহত করতে জিহাদের ডাক ওয়াজিব। এই ওয়াজিবকে মুসলিমরা যখন গুরুত্ব দেয়া শুরু করবে তখন কিন্তু তা ঠেকদেয়া কষ্টকর হয়ে যাবে ইবলিশের দোসরদের।
মুসলিম ভাইদের বলবো, আমার মনে হয় আমাদের আমলে ঘাঁটতি হচ্ছে। তাই জুলুম শাসক প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। নির্যাতিত হচ্ছি আমরা। ইসলামের পরিপূর্ণ বিধান মুখে মুখে নয় নিজেদের মধ্যে পরিপূর্ণ প্রতিষ্ঠিত হলে নিশ্চই মাওলা শান্তির ফয়সালা করে দেবে। সকলকে বোঝার ও মানার তৌফিক দান করুন মাওলা। (সমাপ্ত)
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৭