ভারতের দিল্লিতে আবারো সহিংসতা। দেশটির রাজধানীতে সোমবার থেকে শুরু হওয়া সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়েছে মুসলিম অধ্যুষিত এলাকা গুলোতে। মুসলমানদের ঘর-বাড়ি, প্রতিষ্ঠানে হামলা, মসজিদে আগুন দিয়ে মিনারের চূড়ায় সাম্প্রদায়িক উগ্র হিন্দুত্ববাদের প্রতীক হনুমানে?'র পতাকা ওড়ানো হয়ছে । বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মৌলবাদ হিন্দু সম্প্রদায়ের হামলায় ৩৪ জন নিহত ও ২ শতাধিক আহতের খবর জানিয়েছে দেশি বিদেশি মিডিয়া। এ ছাড়া এই নির্যাতনের বিষয়টি সারাবিশ্বেই দাগ কেটেছে। পাশাপাশি টানা তিন দিন ধরে সংঘর্ষ চললেও এখনও তা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায় দিল্লি পুলিশের তীব্র সমালোচনা করে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট দেশটির পুলিশ বিভাগের পেশাদারিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
সম্প্রতি চীন মিয়ানমার ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে মুসলিমদের ওপর এই সাম্প্রদায়িক হত্যাযজ্ঞ চলছে। এই সাম্প্রদায়িক তথ্য যখন বিশ্ব মিডিয়ায় বারবার শিরোনাম হচ্ছ তখন গোটা বিশ্ব ভয়ংকর কোন যুদ্ধের দিকেই অগ্রসর হচ্ছে বলেই চিন্তা করাটা অস্বাভাবিক নয়। বাংলাদেশকে ঘিরে রাখা অমুসলিম প্রধান দেশগুলোতে মুসলিমদের উপর নির্যাতন চলছ আর মুসলিম প্রধান অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে প্রতিবাদ হচ্ছে,আলোচনা সমালোচনায়ও সাম্প্রদায়িক মৌলবাদি হামলার শিকার মুসলমানদের পক্ষে নিতীগত অবস্থান। দিল্লতে সংঘর্ষ ও মুসলিম নির্যাতন আর পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার ঘটনায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে দায়ী করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল। তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বিপজ্জ্বনক, মুসলিম বিদ্বেষী ও সাম্প্রদায়িক বলে অভিহিত করেন তিনি। একইসাথে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে মোদিকে নিমন্ত্রণ করা বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতি চরম অবমাননাকর বলেও উল্লেখ করেন তিনি। বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেয়া এক স্ট্যাটাসে ড. আসিফ নজরুল একথা বলেন। [চলবে]