কাঁদ বাঙ্গালী কাঁদ
৩৭ বছর আগে ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর সড়কের বাড়িতে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে প্রাণ হারাতে হয় তার স্ত্রী বেগম ফজিলাতুন্নেসা, ছেলে শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রাসেল, শেখ কামালের স্ত্রী সুলতানা কামাল, শেখ জামালের স্ত্রী রোজী জামাল, বঙ্গবন্ধুর ছোট ভাই শেখ নাসের।
ধানমণ্ডির বাড়িতে পুলিশের বিশেষ শাখার সাব ইন্সপেক্টর সিদ্দিকুর রহমান ও নিরাপত্তা কর্মকর্তা কর্নেল জামিলকেও গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়।
সেই রাতে আরো নিহত হন বঙ্গবন্ধুর বোনের স্বামী আবদুর রব সেরনিয়াবাত, তার ছেলে আরিফ, মেয়ে বেবী ও শিশুপৌত্র সুকান্ত বাবু, বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে শেখ ফজলুল হক মণি, তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মণি, নিকটাত্মীয় শহীদ সেরনিয়াবাত ও রিন্টু।
১৯৯৪ সাল থেকে খালেদা জিয়া ১৫ অগাস্ট তার জন্মদিন পালন করে আসছেন। ‘বিতর্কিত’ এই জন্মদিন পালনের মধ্য দিয়ে খালেদা জিয়া দৃশ্যত আগস্ট হত্যাকাণ্ড ‘উদযাপন’ করে থাকেন।
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর দীর্ঘ ২১ বছর ধরে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে এই দিনের স্মরণে কোনো আয়োজন ছিল না। উল্টো বঙ্গবন্ধুকে মুছে ফেলার সব চেষ্টাই চালিয়েছিল পরবর্তী শাসকরা।
১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে ১৫ অগাস্টকে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের সিদ্ধান্ত হয়। ২০০১ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারও ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস পালন করে।
তবে ২০০১ সালে বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট ক্ষমতায় এসে দিনটিকে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের সিদ্ধান্ত বাতিল করে।
বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৩৭তম মৃত্যুবার্ষিকীতে তার ঘাতকদের বিদেশ থেকে এনে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে সরকারকে তাগিদ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান।
অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ৩৭ বছর আগের ভয়াল এক রাতে ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করতে পারলেও তার আদর্শের মৃত্যু ঘটাতে পারেনি।