আমি রাফিয়াত রশিদের একজন মুগ্ধ ভক্ত।
তার গুণমুগ্ধ, রূপমুগ্ধ, তার ভালোবাসার গল্প মুগ্ধ।
***
গত দিন দশেক আগে সংবাদপত্রে দেখলাম, তিনি তার ভালোবাসার মানুষটির কাছে যাবার জন্য কী সংগ্রামটাই না করলেন!
"করোনার কারণে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সব ধরনের যোগাযোগ এখনো বন্ধ। আকাশপথ, রেলপথ, সড়কপথ—সবই বন্ধ।
লকডাউনের কারনে সাড়ে পাঁচ মাস রাফিয়াত রশিদ তার ভালোবাসার মানুষটির কাছ থেকে আলাদা ছিলেন। উপায় খুঁজছিলেন কীভাবে এক হওয়া যায়।
করোনার এই সময়ে ভালোবাসার মানুষটির কাছে যাবার জন্য শেষ পর্যন্ত দুই দেশের হাইকমিশনের কর্মকর্তাদের স্পেশাল পারমিশন নিয়েছেন। তারপর বিমানে করে ঢাকা থেকে যশোর। এরপর যশোর থেকে সড়কপথে বেনাপোলে যান। সেখানে এসেছিলেন তার ভালোবাসার মানুষ। তারপর বেনাপোল সীমান্তে আনুষ্ঠানিকতা সেরে সাড়ে তিন ঘন্টার সড়কপথে অনেক কষ্ট করে কলকাতায় স্বামীর বাড়িতে পৌঁছান তিনি।"
***
কেন এ কষ্ট? কিসের আশা?
আহা, ভালোবাসা, ভালোবাসা!
কেউ যদি প্রশ্ন করেন, দেশে ভালোবাসা ফেলে পরদেশীর জন্য এত কষ্ট কেন?
এ প্রশ্নের উত্তর আমার জানা নেই। আমি মানবিকের ছাত্র নই, মানবিক ব্যাপার-স্যাপার আমি একটু কম বুঝি।
আমি ব্যবসায় শিক্ষার ছাত্র। ক্লাস নাইন, টেন, ইলেভেন, টুয়েলভ-এ হিসাব বিজ্ঞান বিষয়ের পরীক্ষায় আসার মতন গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রশ্ন ছিলো--লেনদেনের বৈশিষ্ট্য আলোচনা করো।
আমরা সেই প্রশ্নের উত্তর মুখস্থ করতাম। হিসাব বিজ্ঞানে লেনদেনের অনেক গুলো বৈশিষ্ট্যের অন্যতম হচ্ছে--প্রতিটি লেনদেনই স্বয়ংসম্পূর্ণ ও স্বতন্ত্র।
আবারো বলছি, আমি মানবিকের ছাত্র নই। ব্যবসায় শিক্ষার ছাত্র। বড় জোড় ব্যবসায় শিক্ষার ভাষায় মিথিলার ভালোবাসা নিয়ে দুটি কথা বলতে পারিঃ
ভালোবাসার কোন প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় নেই।
প্রতিটি ভালোবাসাই স্বয়ংসম্পূর্ণ ও স্বতন্ত্র…