আমি এখনো তোমারই আছি।
অনুচ্চ সময়ের ঘোরে এক আশ্চর্য ভাস্বর নিয়মে শ্রান্ত দুপুরের মৌনতায়,
ক্লান্তিতে আর হতাশায় যেদিন একঝাঁক হরিয়াল উড়ে গেছে,
বলে গেছে তারা- নেই নেই নেই ...
স্থিততায়, কোথাও নেই আমি, তবু জেনো-
একটি ঝরাপাতায় আছি,
অশ্বত্থের রুখু গায়ে বনলতায়- জড়িয়ে আছি অযাচিত ব্যাপ্তিতে তোমার-
আমি তোমাতেই আছি।
অবুঝ বালিকার নাকছাবিতে
নীলপদ্ম যখন আকাশের ছায়া মেলে ধরে, আনমনা হঠাৎই তুমি-
অপর মাহেন্দ্রক্ষণে প্রেয়সীর রাঙা ঠোঁটে অস্থির চুম্বনে, চুলে-গ্রীবায়-উষ্ণতায়
চিবুকের ইতস্তত তিলে কখনো কি খুঁজেছ আমায়?
মিশে আছি সেখানেও আমি- স্বেদে আর বিচ্ছেদে।
অবরোধে বিক্ষোভে আছি, যুবকের দৃঢ় চোয়ালের খাঁজে,
একশ'চুয়াল্লিশ ধারায়, মিলিটারি বুটে আর হতাশ স্থাপত্যে, অস্থির ধূলোয়,
রাজপথের অবিচল নৈবেদ্যে আমি আছি।
আমাকে কবিতায় রাখো, হৃদয়ে না রাখো, বাক্স- পেঁটরায়- ঝাঁপিতে
ডালাবন্ধ পুরনো গন্ধের সাথে, নিদেনপক্ষে দু'ছত্রে কোন অক্ষরবৃত্তে-
ভরা ভাদরের পুর্নিমায় সেই অলস অর্গল খুলে
সুর তোলো বাঁশিতে, আমাকে বাজাও।
বারোয়ারি মুদির দোকানে নিত্য চাল-ডাল-তেলের হিসেবের খাতায়,
চায়ের মোলায়েম চুমুকে কিংবা বন্ধুর প্রাণখোলা আড্ডায়
যদি কখনো খুঁজে পাও প্রিয়,
সিগারেটে আমায় ধরে একবুক শ্বাস নিও, তারপর জ্বালিয়ে দিও।