কি কারণে রাজাকারগো লগে সহাবস্থান চাইনা এইটা কোন সুশীলের কাছে ব্যাখ্যা দেওনের কোন দায় আমার বা বাংলাদেশের কোন নাগরিকের নাই। এই দেশে তারা (জামাত) অবৈধ ছিল। বন্দুক দিয়া তাগো বৈধ করা হইছে। করার সময় পাবলিকরে জিগানো হয় নাই। ইন্টেলেকচুয়াল প্লাটফর্মে তারা ছিল না। জামাত ইন্টেলেকচুয়াল অনুশীলনের বিরুদ্ধে। তারা এই উদ্দেশ্যই রগ কাটে, এই উদ্দেশ্যেই ১৪ ডিসেম্বর ঘটায়। লিখতে গেলে যে ইন্টেলেকচুয়াল ফ্লেক্সিবিলিটি লাগে এইটা কোন ধরণের মৌলবাদী বা ফ্যাসিস্টগো থাকে না। এই না পারাটা তাগো একটা মৌলিক অক্ষমতা। দেশের বেশীরভাগ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবির নিষিদ্ধ। রাষ্ট্রের আইনে নিষিদ্ধ না। জনমতের চাপে নিষিদ্ধ। ভোটের রাজনীতির তাগো সেই অক্ষমতায় মলম লাগাইতে চাওয়া বুদ্ধিগিগোলো বা বুদ্ধিগণিকারা খুব সহজ ফর্মুলায় ফ্যাসীবাদের ভাড়াইটা। এই ক্ষেত্রে আক্রমণের লক্ষ্য বাদে অন্য যে কেউ আক্রমণের ভাষায় আক্রান্তবোধ করা মানে আক্রান্তের সাথে তার অবস্থান হোমোজিনিয়াস, মানে তিনিও তাদের দলেই পড়েন। (এই ক্ষেত্রে তীরন্দাজের অবস্থান খুব পরিস্কার। তিনি নিজে গালি দেন না, গালাগালির বিরোধিতা করেন। কিন্তু কোন রাজাকারের ছাও ভুলেও তার পোস্টের দিক যায় না। কারণ তিনি তার অবস্থান পরিস্কার করছেন। ) এই ভাড়াইটা গুলারে দিয়া নব্বই দশকের ২য় ভাগ থিকা (আগেও করছে কিন্তু এই সময় থিকা ব্যপকভাবে) তারা উত্তরাধুণিকতার কান্দে বন্দুক রাইখা বুদ্ধিবৃত্তিক মতবিনিময় করার জায়গাগুলাতে নিজেগো হালাল করার চেষ্টা চালাইয়া যাইতেছে। সামহোয়ারইন ব্লগ খোলা প্লাটফর্ম হইলেও জায়গাটা লেখার। লিখিত ভাষায় বক্তব্য প্রকাশ করতে গেলে লিখতে জানতে হয়। সেইটা দুর্ভাগ্যবশত ধর্মীয় ফ্যাসীবাদের সমর্থকরা পারে না। তারা শুরুতে তর্ক করতে গিয়াই এইটার প্রমাণ পাইছে। সেই জন্য গালাগালি তারাই শুরু করছে। তারা একদিকে গালাগালি করছে তার পাশাপাশি প্রতিক্রিয়াশীল আর ভোদাইভাবনাপ্রসূত সাম্প্রদায়িক,মৌলবাদী পোস্ট দিয়া গেছে।
ওদের যে ইন্টেলেকচুয়াল আর ঐতিহাসিক অবস্থান তাতে ওরা কোন অবস্থাতেই অন্তত স্বাধীন বাংলাদেশের কোন ফোরামে সহাবস্থান দাবী করতে পারে না। ওরা নিজেদের প্রতিষ্ঠা করতে চাইলে গলা বাড়াইতে চাইলে সেইটা বন্ধ করতেই হইবো। সেইখানে লড়াই সেই অস্ত্রেই হইবো যেই অস্ত্র তারা নিজেরা চালাইতে পারে না।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ২:৩১